হঠাৎ বুকে ব্যথা, হাসপাতালে ভর্তি এআর রহমান
Published: 16th, March 2025 GMT
বুকে ব্যথা নিয়ে চেন্নাইয়ের বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এআর রহমান। জরুরি বিভাগে চলছে চিকিৎসা। খবর আনন্দবাজারের। ঘটনাচক্রে গত সপ্তাহেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী সায়রা বানু। এআর রহমান ২৯ বছরের বিবাহিত জীবনে ইতি ঘোষণা করেছিলেন গত বছরই।
সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী তাঁকে চেন্নাইয়ের গ্রিমস রোডের এক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। এ দিন সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ তাঁকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই প্রাথমিক পরীক্ষানিরীক্ষা করেন চিকিৎসকদের একটি দল। সঙ্গীত পরিচালকের অ্যাঞ্জিয়োগ্রাফিও করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। আপাতত নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে রহমানকে। একটি সূত্রে আবার দাবি করা হয়েছে, ঘাড়ে ব্যথার সমস্যা নিয়ে বিদেশ থেকে ফিরেছিলেন রহমান। তার পরই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হাসপাতালে যান তিনি।
গত বছর আচমকাই প্রকাশ্যে এসেছিল রহমান ও তাঁর স্ত্রী সায়রা বানুর বিবাহবিচ্ছেদের ঘটনা। টানা ২৯ বছরের দাম্পত্যে ইতি টানার এই ঘটনা অনুরাগীরাই মেনে নিতে পারেননি সহজে। দম্পতির আইনজীবীও জানিয়েছিলেন, তাঁরা বুকে পাথর রেখেই বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিচ্ছেদের পরে মন ভার করা পোস্ট করেছিলেন সুরকার নিজেও। অন্তত ৩০টা বছর একসঙ্গে কাটাতে পারলে ভাল হত, দাবি করেছিলেন রহমান।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: রহম ন
এছাড়াও পড়ুন:
দেশে গাছপালা নিধনের জন্য বন বিভাগ কম দায়ী নয়: উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা
পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারা দেশে বনভূমি উজাড় ও গাছপালা কমে যাওয়ার জন্য বন বিভাগের দায় রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে রাঙামাটি শহরের জিমনেশিয়াম মাঠে সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই মন্তব্য করেন তিনি।
সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে যে অবস্থা দাঁড়িয়েছে যদি বলা হয় যে আর কোনো কিছু অবশিষ্ট নেই, তাহলে খুব বেশি ভুল হবে না। ৮০ সাল পর্যন্ত এখানে বন ছিল, গাছপালা ছিল, ঝোপঝাড় ছিল। এই অঞ্চলে বা দেশে গাছপালা নিধনের জন্য বন বিভাগ কোনো অংশ কম দায়ী নয়।
সুপ্রদীপ চাকমা আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের চেয়ে বড় আকারের বনভূমি এখন মুন্সিগঞ্জ, নরসিংদী কিংবা সিলেটে দেখা যায়। পার্বত্য অঞ্চলে এই অবস্থা কেন সৃষ্টি হলো সবার ভাবতে হবে।
পার্বত্য উপদেষ্টা আরও বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে সাধারণত ভাদ্র মাসের প্রথম দিকে শীতের অনুভূতি পাওয়া যেত। এখন কার্তিক মাসেও শীতের অনুভূতি পাওয়া যায় না। যারা আদিকাল থেকে এই অঞ্চলে বসবাস করে আসছে, তারা প্রকৃতি সচেতন ছিল। তাই তাদের ওপর খুব বেশি ভূমি ধস হয়েছে শোনা যায় না। তাদের বাড়িঘরেও হয়নি। প্রকৃতিকে যারা চেনে না, তাদের ওপর ভূমিধস হয়।
বৃক্ষমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ। এ ছাড়া বক্তব্য দেন পরিকল্পনা কমিশনের জ্যেষ্ঠ সচিব এ কে এম আকমল হোসেন আজাদ, রাঙামাটি সার্কেলের বন সংরক্ষক মো. আবদুল আওয়াল সরকার, জেলা পুলিশ সুপার এস এম ফরহাদ হোসেন, সিভিল সার্জন নূয়েন খীসা, দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এস এসম সাজ্জাদ হোসেন প্রমুখ। এর আগে ফিতা কেটে ও বেলুন উড়িয়ে বৃক্ষমেলার উদ্বোধন করা হয়। ৮ আগস্ট পর্যন্ত এই মেলা চলবে। বৃক্ষমেলায় ২১টি স্টল অংশগ্রহণ করেছে।