১৮ মাসের প্রেম, গৌরীকে যেভাবে আড়ালে রেখেছিলেন আমির
Published: 16th, March 2025 GMT
বলিউডের মিস্টার পারফেক্টশনিস্ট আমির খানের নতুন প্রেমিকার সঙ্গে ২৫ বছরের পরিচয়। গত ১৮ মাস দু’জন চুটিয়ে প্রেম করলেও কেউ টের পায়নি। এতোদিন প্রেমের খবর আড়ালেই ছিল। তবে নিজের জন্মদিনে লুকিয়ে রাখা সম্পর্ক প্রকাশ্যে এনেছেন আমির। শুধু তাই নয়, কীভাবে মিডিয়ার আড়ালে রেখেছিলেন বিষয়টা সে কথাও জানিয়েছেন অভিনেতা।
বেঙ্গালুরুর কন্যা গৌরীকে ইতিমধ্যেই পরিচয় করে দিয়েছেন আমি। প্রেমের সম্পর্ক আড়াল রাখা নিয়েও কথা বলেছেন তিনি। আমির বলেন, ‘গৌরী তো বেঙ্গালুরুতে থাকেন। এতদিন পর্যন্ত ওখানেই থাকতেন। আমি তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যেতাম। সেখানে মিডিয়ার নজরদারিও কম। আমরা আসলে সমস্ত নজরদারির আড়ালে থাকতে চেয়েছিলাম।’
গ্ল্যামার দুনিয়ার সঙ্গে তেমন সংযোগ নেই গৌরীর। তবে আমিরের বেশ কিছু সিনেমায় কাজ করেছেন তিনি। অভিনেতা বলেন, ‘আমি এমন একজনকে চেয়েছিলাম জীবনে যাঁর মধ্যে মায়া-দয়া রয়েছে। সত্যিকারের ভদ্র এবং অত্যন্ত যত্নশীল হবে সে। গৌরী আমাকে একজন সুপারস্টার হিসেবে নয়, বরং ভালো সঙ্গী হিসেবে পছন্দ করেছেন।’
বর্তমানে আমির খানের প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গেই যুক্ত গৌরী। তবে সবার মনে এখন একটাই প্রশ্ন। তৃতীয় বার বিয়ে করবেন অভিনেতা? মাসখানেক আগেই অবশ্য সে বিষয়ে কথা বলেছিলেন অভিনেতা। তবে পরিবারের সকলে তাঁর জীবনের সমস্ত সিদ্ধান্তে পাশে আছেন বলেও জানিয়েছেন অভিনেতা।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আম র খ ন
এছাড়াও পড়ুন:
কড়া নজরদারি সুন্দরবন সীমান্তে
দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন জলসীমানা প্রায় দেড়শো কিলোমিটার। ভারতীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এ সীমানা দিয়ে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বাড়তি তৎপরতা নেওয়া হচ্ছে। খবর আনন্দবাজারের।
খবরে বলা হয়েছে, নদী ও বনভূমি এলাকায় সীমান্ত বরাবর বিএসএফ মোতায়েন আছে। ভাসমান বর্ডার আউটপোস্ট, বঙ্গোপসাগর অংশে কোস্ট গার্ডের নজরদারি চলছে। ড্রোন, সেন্সর ও ক্যামেরা, কিছু জায়গায় নাইট ভিশন ক্যামেরা ব্যবহার করা হচ্ছে। পাশাপাশি, পুলিশের তরফেও উপকূল এলাকায় দিনরাত নজরদারি চলছে।
উপকূল থানাগুলোর পক্ষ থেকে নদীপথে নিয়মিত টহল দেওয়া হচ্ছে। রাতেও উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে নজর রাখা হচ্ছে। নদীপথে কোনো জলযান দেখলেই তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। মৎস্যজীবীদের পরিচয়পত্রও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নদী বা সমুদ্রে এখন মাছ ধরার উপরে নিষেধাজ্ঞা চলছে। মৎস্যজীবীদের জলযান চলাচল করার কথা নয়। তাই জলযান দেখলেই তল্লাশি চলছে। বাংলাদেশি জাহাজগুলোতেও পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে।
সুন্দরবন পুলিশ জেলার সুপার কোটেশ্বর রাও নালাভাট বলেন, আগেও উপকূলবর্তী এলাকায় পুলিশের নজরদারি চলত। এখন বাড়তি জোর দেওয়া হচ্ছে। দু’বেলা নদী ও স্থলপথে পুলিশের টহল বৃদ্ধি পেয়েছে। নাকা চেকিং হচ্ছে। চলছে তল্লাশিও।
উত্তর ২৪ পরগনাতেও উপকূল এলাকায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। নিরাপত্তা বেড়েছে জল ও স্থলসীমান্তে। জল, ভূমি ও আকাশে অত্যাধুনিক ইজ়রাইল রাডারের মাধ্যমে নজরদারি চালাচ্ছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী।
ইতোমধ্যে ভারতীয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দফতর জানিয়েছে, বাংলাদেশের আকাশ ব্যবহার করে ভারতকে আক্রমণ করতে পারে সশস্ত্র সংগঠনগুলো। ফলে সুরক্ষা বাড়াতে বিএসএফের তৎপরতা শুরু হয়েছে। বসিরহাট মহকুমার স্বরূপনগর থেকে হিঙ্গলগঞ্জের হেমনগর কোস্টাল থানা পর্যন্ত ৯৪ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। তার মধ্যে ৫০ কিলোমিটার জলসীমান্ত। স্থলসীমান্ত ৪৪ কিলোমিটার। সীমান্ত সুরক্ষায় অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর।