নরসিংদীর বেলাব উপজেলায় এনজিও কার্যালয়ে এক নারীকে সঙ্ঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

রবিবার (১৬ মার্চ) তৈরি পোশাক শ্রমিক ওই নারী দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। বেলাব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মাহবুবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

গ্রেপ্তার দেলোয়ার হোসেন রাজু বেলাব গ্রামের বাসিন্দা এবং এনজিও কার্যালয়ের সহকারী। অপর আসামি উপজেলার বটেশ্বর গ্রামের ফার্নিচার ব্যবসায়ী শাহজাহান মিয়া।

মামলার বরাতে পুলিশ জানায়, দুই সন্তানের মা ওই নারীর স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়েছে। তিনি শিবপুর উপজেলায় ভাড়া বাসায় থেকে একটি গামের্ন্টেসে চাকরি করেন। মোবাইল ফোনে তার সঙ্গে পরিচয় হয় ফার্নিচার ব্যবসায়ী শাহজাহান মিয়ার। 

শুক্রবার (১৪ মার্চ) শাহজাহান মিয়া তাকে এনজিও কার্যালয়ে নিয়ে যায় এবং সেখানে তিনি ও দেলোয়ার হোসেন রাজু মিলে তাকে ধর্ষণ করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে। 

এ ব্যাপারে বিষয়ে জানতে শাহজাহান মিয়ার বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। 

তবে তার ছেলে রিফাত ভূঁইয়া বলেন, “ওই নারী আমাদের পূর্বপরিচিত। সেই সুবাদে ওই নারী আমার বাবার কাছ থেকে আগে টাকা ধার নিয়েও ফেরত দেননি। নতুন করে শুক্রবার আমাদের দোকানে এসে দেড় লাখ টাকার ফার্নিচার বাকি নিতে চান। তাকে বাকিতে মাল না দেওয়ার কারণেই বাবার নামে মিথ্যা মামলা করেছেন বলে আমাদের ধারণা।”

বেলাব থানার ওসি মীর মাহবুবুর রহমান বলেন, “মামলার পর তাৎক্ষণিকভাবে দেলোয়ার হোসেন রাজুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পলাতক অপর আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।”

ঢাকা/হৃদয়/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শ হজ হ ন ম য় ওই ন র

এছাড়াও পড়ুন:

বাগেরহাটে চার আসন বহালের দাবিতে নতুন কর্মসূচি 

বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন বহাল রাখার দাবিতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি। আগামী শুক্র ও শনিবার (১৯ ও ২০ সেপ্টেম্বর) গণস্বাক্ষর সংগ্রহ এবং রবি ও সোমবার (২১ ও ২২ সেপ্টেম্বর) জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের সামনে অর্ধদিবস অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের করে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতা এম এ সালাম নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

এম এ সালাম বলেছেন, “বাগেরহাটের চারটি আসন অক্ষুণ্ন রাখার দাবিতে আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। আদালতের প্রতি আমাদের আস্থা আছে, তবে জনগণের দাবি প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।”

এর আগে আসন কমানোর প্রতিবাদে জেলা জুড়ে হরতাল, বিক্ষোভ ও মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। পাশাপাশি উচ্চ আদালতে রিট করা হয়েছে।

ঢাকা/শহিদুল/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ