যশোরের ঝিকরগাছায় এক তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার বিকেলে ঝিকরগাছা উপজেলার একটি লিচুবাগানে এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষণের অভিযোগে স্থানীয় ছাত্রদলের দুই নেতাসহ চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। আর পুলিশি হেফাজতে ভুক্তভোগী তরুণীকে চিকিৎসা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

আটক চারজন হলেন ঝিকরগাছার গদখালী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন (বাপ্পী) ও দপ্তর সম্পাদক ইয়াসিন আরাফাত, তাঁদের দুই সহযোগী জাবেদ হোসেন ও আমিনুর রহমন। গদখালী বাজারে আমিনুরের ফুলের দোকান আছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোববার বিকেলে গদখালী বাজারে আমিনুরের দোকানে ২০ বছর বয়সী ওই তরুণী ফুল কিনতে যান। এ সময় আমিনুর মিথ্যা তথ্য দিয়ে মেয়েটিকে নাটুয়াপাড়া গ্রামে জাবেদের লিচুবাগানে নিয়ে যান। সেখানে আমিনুল, জাবেদের সঙ্গে আবদুল্লাহ ও ইয়াসিন যোগ দেন। পরে চারজনে মিলে তাঁকে ধর্ষণ করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঝিকরগাছা উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আশরাফুল আলম বলেন, কোনো ব্যক্তির দায় সংগঠন নেবে না। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলে কোনো অপরাধীর ঠাঁই নেই। অভিযুক্ত দুজনকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

পুলিশের ভাষ্য, ওই তরুণী বেনাপোলে তাঁর এক স্বজনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। ফেরার পথে গদখালী বাজারে নামেন। এরপর গদখালী বাজারের ফুলের দোকানি আমিনুর রহমানের দোকানে গেলে তাঁর চার বন্ধুর সঙ্গে পরিচয় হয় তরুণীর। এ সময় তাঁরা তরুণীকে গদখালী এলাকায় ফুলবাগান দেখাতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে কৌশলে পটুয়াপাড়া গ্রামের জাবেদ হোসেনের লিচুবাগানে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণ করেন।

খবর পেয়ে যশোরের নাভারন সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নুর ই আলম সিদ্দিকী, এএসপি নিশাত আল নাহিয়ান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাবলুর রহমান খান বলেন, বিকেলে মেয়েটি ফোন করে জানান, চারজন মিলে তাঁকে ধর্ষণ করেছেন। পরে মেয়েটিকে উদ্ধার করে থানা-পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়। অভিযুক্ত চারজনকে আটক করা হয়েছে। মেয়েটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার প্রক্রিয়া চলছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ছ ত রদল র আম ন র র ঝ করগ ছ গদখ ল

এছাড়াও পড়ুন:

সিলেটে সহপাঠীর সঙ্গে বেড়াতে যাওয়া স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ

সিলেটের জকিগঞ্জে সহপাঠীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে দশম শ্রেণির এক ছাত্রী (১৬) দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা প্রথমে দুই শিক্ষার্থীর ছবি ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন বলে এ ঘটনায় করা মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

গত শনিবার সকালে উপজেলার বারহাল ইউনিয়নের পরিত্যক্ত একটি ইটভাটায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরী আজ বুধবার সকালে জকিগঞ্জ থানায় মামলা করেছে।

মামলায় আসামি হিসেবে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তাঁরা হলেন উপজেলার বারহাল ইউনিয়নের নিদনপুর গ্রামের ইমরান আহমদ (২৩), খিলগ্রামের তানজিদ আহমদ (১৮), মাইজগ্রামের শাকের আহমদ (২৪), একই গ্রামের শাকিল আহমদ (২১) ও মনতৈল গ্রামের মুমিন আহমদ (২০)।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রী ২৬ জুলাই সকালে বারহাল ইউনিয়নের একটি পরিত্যক্ত ইটভাটায় এক সহপাঠীকে নিয়ে বেড়াতে যায়। সেখানে অভিযুক্ত পাঁচ তরুণ গোপনে তাঁদের ছবি ধারণ করেন। পরে ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করেন। পরে দুজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ সময় অভিযুক্ত তরুণেরা দুই শিক্ষার্থীকে বিষয়টি কাউকে জানানো হলে তাঁদের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হবে বলে ভয় দেখান।

এদিকে ঘটনার তিন দিন পর বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। অন্যদিকে এলাকার একটি পক্ষ বিষয়টি সালিস বৈঠকে মীমাংসার চেষ্টা করছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। তবে গতকাল মঙ্গলবার রাতে জকিগঞ্জ থানা-পুলিশ ওই স্কুলছাত্রীকে তার বাড়ি থেকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান–স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অভিযোগ দিতে বিলম্ব ও বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ায় অভিযুক্ত তরুণেরা গা ঢাকা দিয়েছেন। এ ছাড়া জকিগঞ্জ ভারত সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় অভিযুক্ত তরুণেরা অবৈধ পথে সীমান্ত পাড়ি দিতে পারেন বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় লোকজন।

জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল রাতে খবর পেয়ে পুলিশ ভুক্তভোগীকে তার বাড়ি থেকে উদ্ধার করে। আজ সকালে মামলা হওয়ার পর থেকে আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সিলেটে সহপাঠীর সঙ্গে বেড়াতে যাওয়া স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ