ঝিকরগাছায় তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ, ছাত্রদলের দুই নেতাসহ আটক ৪
Published: 16th, March 2025 GMT
যশোরের ঝিকরগাছায় এক তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার বিকেলে ঝিকরগাছা উপজেলার একটি লিচুবাগানে এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষণের অভিযোগে স্থানীয় ছাত্রদলের দুই নেতাসহ চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। আর পুলিশি হেফাজতে ভুক্তভোগী তরুণীকে চিকিৎসা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
আটক চারজন হলেন ঝিকরগাছার গদখালী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন (বাপ্পী) ও দপ্তর সম্পাদক ইয়াসিন আরাফাত, তাঁদের দুই সহযোগী জাবেদ হোসেন ও আমিনুর রহমন। গদখালী বাজারে আমিনুরের ফুলের দোকান আছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোববার বিকেলে গদখালী বাজারে আমিনুরের দোকানে ২০ বছর বয়সী ওই তরুণী ফুল কিনতে যান। এ সময় আমিনুর মিথ্যা তথ্য দিয়ে মেয়েটিকে নাটুয়াপাড়া গ্রামে জাবেদের লিচুবাগানে নিয়ে যান। সেখানে আমিনুল, জাবেদের সঙ্গে আবদুল্লাহ ও ইয়াসিন যোগ দেন। পরে চারজনে মিলে তাঁকে ধর্ষণ করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঝিকরগাছা উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আশরাফুল আলম বলেন, কোনো ব্যক্তির দায় সংগঠন নেবে না। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলে কোনো অপরাধীর ঠাঁই নেই। অভিযুক্ত দুজনকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
পুলিশের ভাষ্য, ওই তরুণী বেনাপোলে তাঁর এক স্বজনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। ফেরার পথে গদখালী বাজারে নামেন। এরপর গদখালী বাজারের ফুলের দোকানি আমিনুর রহমানের দোকানে গেলে তাঁর চার বন্ধুর সঙ্গে পরিচয় হয় তরুণীর। এ সময় তাঁরা তরুণীকে গদখালী এলাকায় ফুলবাগান দেখাতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে কৌশলে পটুয়াপাড়া গ্রামের জাবেদ হোসেনের লিচুবাগানে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণ করেন।
খবর পেয়ে যশোরের নাভারন সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নুর ই আলম সিদ্দিকী, এএসপি নিশাত আল নাহিয়ান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাবলুর রহমান খান বলেন, বিকেলে মেয়েটি ফোন করে জানান, চারজন মিলে তাঁকে ধর্ষণ করেছেন। পরে মেয়েটিকে উদ্ধার করে থানা-পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়। অভিযুক্ত চারজনকে আটক করা হয়েছে। মেয়েটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার প্রক্রিয়া চলছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ছ ত রদল র আম ন র র ঝ করগ ছ গদখ ল
এছাড়াও পড়ুন:
সাভারে তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে মামলা, গ্রেপ্তার ১
সাভারে এক তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় দেলোয়ার (৩৫) নামে যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার বিকেলে সাভারের তেঁতুলঝড়া ইউনিয়নের রাজফুলবাড়িয়া এলাকা থেকে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রবিবার (১ নভেম্বর) সকালে সাভার মডেল থানার ট্যানারি ফাঁড়ির ইনচার্জ সিরাজুল ইসলাম সবুজ গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। গ্রেপ্তার দেলোয়ার একই এলাকার বাসিন্দা।
আরো পড়ুন:
গাইবান্ধায় চোর সন্দেহে মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা
১০০ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ, জাহাঙ্গীরের নামে মামলা
পুলিশ জানায়, ভুক্তভোগী তরুণী সঙ্গে দেলোয়ারের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পরিচয় হয়। এরপর থেকে তাদের মধ্যে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ হত। তরুণী বিদেশে যাবে বলে ওই যুবককে জানায়। অভিযুক্ত দেলোয়ার তার মায়ের মাধ্যমে তরুণীকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
এ কথা শুনে দেলোয়ারকে তার মাকে নিয়ে বাসায় আসতে বলেন তরুণী। বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) রাতে দেলোয়ার তার মা এবং অন্তর নামে এক বন্ধুকে নিয়ে তরুণীর বাসায় যান। আলোচনা শেষে দেলোয়ারের মা তরুণীর বাসা থেকে চলে যান। দেলোয়ার ও তার বন্ধু বাসায় অবস্থান করেন। বাসায় কেউ না থাকার সুযোগে তারা তরুণীকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যান। শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে ভুক্তভোগী তরুণী সাভার মডেল থানায় দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ করেন।
সাভার মডেল থানার ট্যানারি ফাঁড়ির ইনচার্জ সিরাজুল ইসলাম সবুজ বলেন, ভুক্তভোগী তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতেই সাভার মডেল থানায় একটি দায়ের হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত দেলোয়ারকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে আদালতে পাঠানো হবে। অপর আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ঢাকা/সাব্বির/মাসুদ