কী দেখে ৬০ বছর বয়সি আমিরের প্রেমে পড়েছেন, জানালেন গৌরী
Published: 17th, March 2025 GMT
গত ১৪ মার্চ নিজের ৬০ তম জন্মদিনের বিশেষ চমক হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন নতুন প্রেমিকার সঙ্গে। যার সঙ্গে বলিউডের অন্দরে ভেসে বেড়াচ্ছে আমির খানের বিয়ের গুঞ্জন। তবে আমিরের নতুন প্রেমিকার নাম গৌরী স্প্র্যাট।
বলিউডের সঙ্গে গৌরীর কোনও যোগ নেই। আমিরের মাত্র দু’টি ছবি দেখেছেন তিনি। তবুও কীভাবে অভিনেতার প্রেমে পড়লেন?
জানা গেছে, এই জুটির প্রথম সাক্ষাৎ হয়েছিল ২৫ বছর আগে। তারপরে আর যোগাযোগ ছিল না। তবে দুই বছর আগে আবারও দেখা হয় দু’জনের।
আমির বলেছেন, ‘এমন কাউকে খুঁজছিলাম, যার সঙ্গে থেকে একটু শান্তি খুঁজে পাওয়া যায়। ঠিক সেই সময়েই গৌরীর সঙ্গে দেখা। একজন ভদ্র, নরম মনের যত্নশীল মানুষকে চাইতাম আমি।’
এটা শুনেই পাশ থেকে সঙ্গে সঙ্গে আমির খোঁচা দিয়ে বলেন, ‘এই গুণগুলো চাইতে। আর শেষে আমাকে খুঁজে পেলে তুমি?’ দুজনেই এরপর হেসে ওঠেন।
মুম্বাইয়ে আমির তার বাড়িতে গৌরীকে তার দুই তারকা বন্ধু শাহরুখ খান ও সালামান খানের সঙ্গেও পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন অভিনেতা।
সাংবাদিকদের আমির বলেন, ‘এখন আর লুকোচুরির কিছু নেই। কাল যদি গৌরীর সঙ্গে কোথায় কফি খেতে যাই, আপনারাও আমাদের সঙ্গে আসতে পারেন। ’
গৌরীর সঙ্গে বিয়ে নিয়ে আমির খান বলেন, ‘আমি জানি না ৬০ বছর বয়সে বিয়ে করাটা শোভা পায় কী না। তবে গৌরীকে নিয়ে আমার বাচ্চারা খুশি। এবং আমি ভাগ্যবান যে আমার সাবেক স্ত্রীদের সঙ্গে গৌরীর ভালো সম্পর্ক দাঁড়িয়েছে। ’
আমির প্রথম বিয়ে করেছিলেন ১৯৮৬ সালে রীনা দত্তকে, তখনো তিনি অভিনয়ে আসেননি। ওই সংসারে আমিরের দুই ছেলে মেয়ে ইরা খান ও জুনাইদ খান। ২০০২ সালের ডিসেম্বরে আমির-রীনার বিবাহবিচ্ছেদ হয়। এরপর ২০০৫ সালে চিত্রপরিচালক কিরণ রাওকে বিয়ে করেন আমির খান। এই দম্পতির ছেলে আজাদ খান। ২০২১ সালের জুলাইয়ে আনুষ্ঠানিক এক বিবৃতিতে আমির-কিরণ বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আম র খ ন আম র খ আম র র
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দীদের ফুল দিয়ে বরণ, চালু হলো ফেনীর দ্বিতীয় কারাগার
সংস্কার শেষে ফেনীর দ্বিতীয় কারাগার চালু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে বন্দীদের ফুল দিয়ে বরণ করার মধ্য দিয়ে এ কারার যাত্রা শুরু হয়। এতে চট্টগ্রাম বিভাগের আটটি কারাগারের সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের ও ফেনী জজ আদালতে বিচারাধীন মামলার আসামিদের রাখা হবে।
কারা সূত্র জানায়, দেশের পুরোনো চারটি কারাগারের মধ্যে ফেনী-২ কারাগার একটি। শত বছরের পুরোনো এ কারাগার ভবন ছিল জরাজীর্ণ। এ কারণে ২০১৯ সালে ১২ জানুয়ারি এ কারাগার থেকে বন্দীদের ফেনীর শহরতলির রানীরহাট এলাকার নতুন কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। এরপর থেকে কারাগারটি অনেকটা ‘পরিত্যক্ত’ অবস্থায় ছিল।
নতুন করে চালু হওয়া কারাগারটির অবস্থান ফেনী শহরের মাস্টারপাড়ায়। এটি ১৯১৫ সালে সাবজেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর ১৯৯৮ সালে জেলা এটিকে কারাগারে উন্নীত হয়। এ কারাগারের বর্তমান ধারণক্ষমতা ১৭২ জন। এর মধ্যে ১৭০ জন পুরুষ ও ২ জন নারী। কারাগার চালু করার জন্য গতকাল কুমিল্লা জেলা কারাগার থেকে ২৪ জন ও চট্টগ্রাম থেকে চারজন বন্দীকে আনা হয়েছিল। তাঁরা সবাই সশ্রম সাজাপ্রাপ্ত। এ কারাগারে তাঁরা রান্নার দায়িত্বে থাকবেন।
কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, ধাপে ধাপে সাজাপ্রাপ্ত ও বিচারাধীন বন্দীদের ফেনীর দ্বিতীয় কারাগারে আনা হবে। আপাতত এতে কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২৬ জন, কুমিল্লা থেকে ৭৪ জন, নোয়াখালী থেকে ১৫ জন, লক্ষ্মীপুর থেকে ৪ জন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ৩৩ জন বন্দী এখানে স্থানান্তর করা হবে। এতে সেল, রান্নাঘর, কিশোর ওয়ার্ড, মসজিদসহ প্রয়োজনীয় সুবিধা রয়েছে। এ কারাগার নিয়ে বর্তমানে দেশে কারার সংখ্যা ৭১।
জানতে চাইলে ফেনী-২–এর জেল সুপার মো. দিদারুল আলম বলেন, ‘রাষ্ট্র চায়, কারাগার শুধু শাস্তির জায়গা নয়, সংশোধনের কেন্দ্র হোক। এরই অংশ হিসেবে সংস্কার শেষে ফেনী কারাগার-২ চালু হয়েছে।’
কারাগারের ভারপ্রাপ্ত জেলার ফেরদৌস মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ কারাগারে স্থানান্তরিত বন্দীদের সব সুযোগ-সুবিধা ইতিমধ্যে নিশ্চিত করা হয়েছে। চিকিৎসক ও প্রশিক্ষিত নার্সও যোগদান করেছেন। বেশির ভাগ পদে কর্মচারীরাও কাজ শুরু করেছেন।’