সোনারগাঁয়ে ধর্ষণ চেষ্টা মামলার ভিকটিমের পাশে এডভোকেট আসমা হলেন বিথি
Published: 17th, March 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ এলাকায় ধর্ষণের চেষ্টা মামলার ভিকটিমের দায়িত্ব নিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল কর্তৃক গঠিত নিপীড়িত নারী ও শিশুদের আইন সহায়তা সেল (নারায়ণগঞ্জ জেলা) এর সদস্য এডভোকেট আসমা হেলেন বিথি।
রবিবার (১৬ মার্চ) ৪ বছরের শিশুটিকে ২২ ধারার জবানবন্দির জন্য ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে আনা হলে শিশুটির পরিবারের পাশে আইনজীবী হিসেবে উপস্থিত থেকে সব ধরনের আইনি সহায়তা প্রদান করেন এডভোকেট আসমা হেলেন বিথী। শিশুটির জবানবন্দীর শেষে শিশুটিকে পরিবারের কাছে যথাযথভাবে বুঝিয়ে দেন তিনি।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি কতৃক গঠিত নিপীড়িত নারী ও শিশুদের আইন সহায়তা সেল (নারায়ণগঞ্জ জেলা) এর সদস্য এডভোকেট আসমা হলেন বিথি জানান, ধর্ষণ চেষ্টা মামলার ভিকটিম শিশুটির পরিবার আমার সাথে যোগাযোগ করে আইনগত সহায়তা চাইলে আমি পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করি এবং তাদেরকে সব রকম আইনি সহযোগিতা প্রদান করি এবং ভবিষ্যতে সকল প্রকার আইনি সহায়তা প্রদানের প্রতিশ্রুতি প্রদান করি।
উল্লেখ থাকে যে, গত ১৩ মার্চ বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানার ৪ বছরের কন্যা শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মনসুর আলী নামে এক ব্যক্তিকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনতা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শিশুটির বাবা-মা পোশাককর্মী। চাকরির সুবাদে তারা বাচ্চাকে পাশের বাসার এক নারীর কাছে রেখে যান। বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটার দিকে বাড়ির উঠানে বাচ্চাটি খেলাধুলা করছিলো। এ সময় তাকে একা পেয়ে খাবারের লোভ দেখিয়ে কৌশলে এক রুমে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন মনসুর আলী।
এ সময় ওই বাড়ির অন্যান্য ভাড়াটিয়ারা বিষয়টি টের পেয়ে যাওয়ায় বাচ্চাটি রক্ষা পায়। রাতে বিষয়টি জানতে পেরে এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে অভিযুক্তকে ধোলাই দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স ন রগ ও ন র য়ণগঞ জ ন র য ণগঞ জ পর ব র সহ য ত র আইন
এছাড়াও পড়ুন:
সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত আদালত গঠন করা হয়েছে: আইএসপিআর
রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ ওঠা সেনা কর্মকর্তাকে রাজধানীর উত্তরা থেকে আটক করে সেনা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। গত ১৭ জুলাই তাঁকে আটক করা হয় বলে জানানো হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত আদালত গঠন করা হয়েছে এবং প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।
আজ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে আইএসপিআর এ খবর জানিয়েছে। আইএসপিআর বলেছে, সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জনৈক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা–সংক্রান্ত অভিযোগ পাওয়া যায়। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করেছে।
প্রাপ্ত তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে তদন্ত শেষে ওই সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর প্রচলিত আইন ও বিধি অনুযায়ী যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে আইএসপিআর। এ ব্যাপারে পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার সঙ্গে সমন্বয়ের কাজ চলছে।
ওই সেনা কর্মকর্তার কর্মস্থল থেকে অনুপস্থিত থাকা–সংক্রান্ত ব্যত্যয়ের বিষয়ে আরেকটি তদন্ত আদালত গঠন করা হয়েছে। তদন্ত শেষে আদালতের সুপারিশ ও সেনা আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকাসংলগ্ন একটি কনভেনশন সেন্টারে ‘গোপন বৈঠক’ ঘিরে কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগ, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগসহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের ২২ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ওই বৈঠকে মেজর পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তার সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগ ওঠে। গতকাল বৃহস্পতিবার সেনা সদরের প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন। আজ এ নিয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিস্তারিত জানাল আইএসপিআর।
আরও পড়ুননিষিদ্ধ ছাত্রলীগ-আ.লীগ নেতা–কর্মীদের ‘গোপন বৈঠক’ ঘিরে গ্রেপ্তার ২২, সেনা হেফাজতে এক মেজর১৫ ঘণ্টা আগেএ ঘটনায় রাজধানীর ভাটারা থানায় একটি মামলা করেছে পুলিশ। তাতে বলা হয়েছে, গত ৮ জুলাই বসুন্ধরাসংলগ্ন কেবি কনভেনশন সেন্টারে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ একটি গোপন বৈঠকের আয়োজন করে। সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত বৈঠকে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ ও অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীরা মিলে ৩০০-৪০০ জন অংশ নেন। তাঁরা সেখানে সরকারবিরোধী স্লোগান দেন। বৈঠকে পরিকল্পনা করা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ পাওয়ার পর সারা দেশ থেকে লোকজন এসে ঢাকায় সমবেত হবেন। তাঁরা ঢাকার শাহবাগ মোড় দখল করে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি এবং জনগণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে দেশে শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করবেন। তাঁরা সেখানে এসব ষড়যন্ত্র করেছিলেন।