মাগুরায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলার মামলায় ২ ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
Published: 18th, March 2025 GMT
মাগুরায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র–জনতার আন্দোলনে হামলার অভিযোগে করা মামলায় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) দুই চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টা ও ১০টার দিকে শহরের ঢাকা রোড এলাকা থেকে সদর থানা–পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার দুজন হলেন জেলার মহম্মদপুর উপজেলার বিনোদপুর ইউপির চেয়ারম্যান শিকদার মিজানুর রহমান ও নহাটা ইউপির চেয়ারম্যান তৈয়েবুর রহমান (তুরাপ)। পৃথক দুই মামলায় সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
সদর থানা–পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল ৯টা ১৫ মিনিটের দিকে শিকদার মিজানুর রহমানকে ঢাকা রোড এলাকা থেকে আটক করা হয়। তাঁকে গত বছরের ৪ আগস্ট শহরের ঢাকা রোড এলাকায় হামলার অভিযোগে শ্রীরামপুর গ্রামের কামরুজ্জামান জুয়েলের বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। মামলায় আসামি হিসেবে ৩৫৯ জনের নাম আছে। মিজানুর রহমানকে সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার করার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
অন্যদিকে ৫ আগস্ট শহরের পিটিআই স্কুলের সামনে মহাসড়কে মিছিলে বোমা হামলা ও মারধরের অভিযোগে সদর উপজেলার পাটকেলবাড়িয়ার মো.
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আইয়ুব আলী বিকেলে বলেন, সকালে অল্প সময়ের ব্যবধানে ওই দুজনকে ঢাকা রোড এলাকা থেকে আটক করা হয়। তাঁদের আগস্টের ঘটনায় হওয়া দুটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর র ড এল ক র রহম ন
এছাড়াও পড়ুন:
অমর একুশে বইমেলা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক
অমর একুশে বইমেলা বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের মেলা। মূলত প্রকাশকদের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ উত্তর বাংলাদেশে এই বইমেলার সূত্রপাত। সম্প্রতি এই বইমেলা নানা কারণে-অকারণে ডিসেম্বরে করার কথা শোনা যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে সুস্পষ্টভাবে বলতেই হচ্ছে -ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলা করা যাবে না। কারণ সেসময় সারাদেশে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা চলবে।
বইমেলার প্রধান পাঠক আমাদের শিক্ষার্থী। তারা ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলায় আসতে পারবে না। প্রধান পাঠকই যদি মেলায় আসতে না পারে তাহলে মেলা প্রাণহীন হয়ে পড়বে। বইমেলায় অংশগ্রহণকারি প্রকাশকরাও ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে। তাছাড়া একুশের চেতনাকে ধারণ করে যে অমর একুশে বইমেলা, সেটা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক। ভাষা শহীদদরর প্রতি বইমেলার মাধ্যমে আমাদের যে শ্রদ্ধাঞ্জলি, তা অক্ষুন্ন থাকুক।
আরো পড়ুন:
রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী
‘গল্পকারের পছন্দের ৫০ গল্প’ গ্রন্থ প্রকাশিত
সর্বোপরি ৫ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, এই সময়ে বইমেলা হতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। অথবা তারিখ দুই একদিন এদিক-সেদিক করে নেয়া যেতে পারে। এ সময়ে রোজা নেই, নির্বাচনও নেই। নির্বাচনী ক্যাম্পেইন চলবে। এই মাঠে বইমেলা চলাকালীন সর্বদলীয় সিদ্ধান্তে কেউ সভা-সমাবেশ না করার সিদ্ধান্ত নিলে অনায়াসে এই সময়টাতে বইমেলা করা যেতে পারে। আমার বিশ্বাস- সব দলই অমর একুশে বইমেলার জন্য এই ছাড়টুকু দেবেন।
প্রায় পঞ্চাশ বছরের অধিক সময়ের প্রচেষ্টায় অমর একুশে বইমেলা মহিরুহ হয়ে আমাদের কাছে আবির্ভূত, হঠকারি কোন সিদ্ধান্তে তা যেনো ধ্বংস হওয়ার উপক্রম না হয়। জেনে শুনে বাঙালির এতো বড় একটি সাংস্কৃতিক উৎসবকে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না করে বরং তা যে কোন মূল্যে আমাদের রক্ষা করা উচিত।
জানুয়ারিতে বাণিজ্যমেলায়ও হয়ে থাকে। এতে অমর একুশে বইমেলার ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আমি তা মনে করি না। বইমেলার প্রধান পাঠক শিক্ষার্থী। তারা বইমেলায় আসার জন্য মুখিয়ে থাকে। বাণিজ্য মেলায় যাওয়ার লোকজন বেশির ভাগই আলাদা। তবে অনেকেই বইমেলা এবং বাণিজ্যমেলা দুটোতেই যান। এটা তারা ম্যানেজ করে নিতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।
আমি বলেছি শুধুমাত্র মেলার মাঠ প্রাঙ্গনে সভা-সমাবেশ না করার মাধ্যমে যদি সর্বদলীয় একটা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তাহলে জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মিলিয়ে বইমেলা করা সম্ভব।আমার মনে হয়, বইমেলা চলাকালীন এই মাঠ কোন দলকে সভা-সমাবেশের জন্য সরকার বরাদ্দ না দিলে, অথবা বইমেলা চলাকালীন দলগুলো নিজের থেকেই এই মাঠের বরাদ্দ না চাইলে সমস্যা আর থাকে না।
লেখক: প্রকাশক পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড
ঢাকা/লিপি