মাগুরায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র–জনতার আন্দোলনে হামলার অভিযোগে করা মামলায় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) দুই চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টা ও ১০টার দিকে শহরের ঢাকা রোড এলাকা থেকে সদর থানা–পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তার দুজন হলেন জেলার মহম্মদপুর উপজেলার বিনোদপুর ইউপির চেয়ারম্যান শিকদার মিজানুর রহমান ও নহাটা ইউপির চেয়ারম্যান তৈয়েবুর রহমান (তুরাপ)। পৃথক দুই মামলায় সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

সদর থানা–পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল ৯টা ১৫ মিনিটের দিকে শিকদার মিজানুর রহমানকে ঢাকা রোড এলাকা থেকে আটক করা হয়। তাঁকে গত বছরের ৪ আগস্ট শহরের ঢাকা রোড এলাকায় হামলার অভিযোগে শ্রীরামপুর গ্রামের কামরুজ্জামান জুয়েলের বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। মামলায় আসামি হিসেবে ৩৫৯ জনের নাম আছে। মিজানুর রহমানকে সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার করার কথা জানিয়েছে পুলিশ।

অন্যদিকে ৫ আগস্ট শহরের পিটিআই স্কুলের সামনে মহাসড়কে মিছিলে বোমা হামলা ও মারধরের অভিযোগে সদর উপজেলার পাটকেলবাড়িয়ার মো.

শাকিল মোল্লা নামের এক ব্যক্তি ১০৪ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করেন। মামলায় নহাটা ইউপির চেয়ারম্যান তৈয়েবুর রহমানকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তিনিও মামলার এজাহারভুক্ত আসামি নন।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আইয়ুব আলী বিকেলে বলেন, সকালে অল্প সময়ের ব্যবধানে ওই দুজনকে ঢাকা রোড এলাকা থেকে আটক করা হয়। তাঁদের আগস্টের ঘটনায় হওয়া দুটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর র ড এল ক র রহম ন

এছাড়াও পড়ুন:

সরকারের ভেতরে একটা অংশ নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে: এনসিপি

সরকারের ভেতরের একটি পক্ষ ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশের বাইরে গিয়ে নিজেরাই ঐকমত্য কমিশন হওয়ার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেন, এই চেষ্টার কারণে নির্বাচন ঝুঁকিতে পড়বে।

আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আখতার হোসেন এ কথা বলেন।

আখতার হোসেন বলেন, তাঁদের কাছে স্পষ্টতই প্রতীয়মান যে সরকারের ভেতরের কোনো একটা অংশ সংস্কারকে ভন্ডুল করে নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে।

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ–আলোচনার ভিত্তিতেই কমিশন সুপারিশ উপস্থাপন করেছে উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সেই সুপারিশের ভিত্তিতেই সরকার আদেশ জারি করবে, সেটাই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যখন সরকারের তরফ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে আরও এক সপ্তাহ রাজনৈতিক দলগুলোকে আলাপ–আলোচনার কথা বলা হয়, তখন মনে হয় যে সরকার আসলে এই সংস্কারের বিষয়গুলো নিয়ে সাপ-লুডো খেলছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ৯৬-তে পৌঁছে গিয়েছিলাম, সেটাকে আবার তিনে নিয়ে আসা হয়েছে সাপ কেটে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের বর্তমান যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি, তাতে সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে।’

অতি দ্রুত সরকারকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানিয়ে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সরকারকে নিজেকেই দায়িত্ব নিয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করতে হবে। সামনের সংসদকে গাঠনিক ক্ষমতা প্রদান করার মধ্য দিয়ে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। গণভোটের মাধ্যমে অর্জিত জনগণের অভিপ্রায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে যেন বাস্তবায়িত হয়, সেই সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ