ফটোশুট দলীয় সংবাদ সম্মেলনসহ নানা আনুষ্ঠানিকতা। যেন নিঃশ্বাস ফেলার ফুরসত পাচ্ছিলেন না হামজা চৌধুরী। মধ্যাহ্ন ভোজের মধ্যে আবার তাড়াহুড়ো, যেতে হবে ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভুঁইয়ার অফিসে, নগর ভবনে।

বুধবা (১৯ মার্চ) দুপুরে হামজা যখন মধাহ্ন ভোজে ব্যস্ত তখন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি অপেক্ষা করছিলেন হামজার জন্য। কয়েক মিনিট পর হামজাকে নিয়ে নগর ভবনের পথ ধরেন তাবিথ।

বাফুফে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আসিফের বৈঠক ছিল পূর্বনির্ধারিত। ইতালি প্রবাসী ফুটবলার ফাহামিদুল ইসলামকে জাতীয় দলে ফেরানো নিয়ে সমর্থকদের আন্দোলনকে ঘিরে তাবিথের সঙ্গে বৈঠকের ঘোষণা দেন আসিফ। একই সঙ্গে হামজার সঙ্গেও হয় সৌজন্য সাক্ষাত।

আরো পড়ুন:

কোচ বললেন ফাহামিদুল ‘রেডি না’, সুর মেলালেন জামালও

ক্রিকেটেও হামজা হাওয়া

বৈঠক শেষে আসিফ মাহমুদ বলেছেন বাফুফেতে যদি কোনো সিন্ডিকেটের প্রমাণ পান তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেবে সরকার।

“দেশের স্বার্থেই যোগ্য খেলোয়াড়দের বঞ্চিত করার কোন সুযোগ নেই। প্লেয়ার সিলেকশনে যেনো স্বজনপ্রীতি বা সিন্ডিকেটের শিকার কেউ না হোন সে বিষয়ে বাফুফেকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে, এ বিষয়ে দুর্নীতির প্রমাণ পেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে সরকার”

এর আগে দলীয় সংবাদ সম্মেলনে কোচ বলেছিলেন ফাহামিদুলকে আপাতত ফেরানোর কোনো সুযোগ নেই। এ ছাড়া সে জাতীয় দলের জন্য প্রস্তুত না বলেও মন্তব্য করেন কোচ হ্যাভিয়ের কাবরেরা। এ  ছাড়া সমর্থকদের সঙ্গে বৈঠকও করেন তাবিথ।

এদিকে হামজার উপস্থিতি প্রতিপক্ষের জন্য চাপ হবে বলে মন্তব্য করেন ক্রীড়া উপদেষ্টা, “হামজার মতো খেলোয়াড়ের উপস্থিতি প্রতিপক্ষের জন্য চাপের কারণ হবে।’’

ক্রীড়া উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাত শেষে হামজা বলেন, “বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসায় আমি আপ্লুত, দেশের ফুটবলকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার জন্য আমার আপ্রাণ চেষ্টা থাকবে।”

ঢাকা/রিয়াদ/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

নেতানিয়াহু অঞ্চলজুড়ে আগুন লাগাতে চাইছেন: ইরানের প্রেসিডেন্টকে এরদোয়ান

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু পুরো মধ্যপ্রাচ্যে আগুন লাগাতে চাইছেন বলে মন্তব্য করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। তিনি আরও অভিযোগ করেছেন, নেতানিয়াহু ইরানে হামলা চালিয়ে পারমাণবিক আলোচনায় ব্যাঘাত ঘটিয়েছেন। গতকাল শনিবার ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের সঙ্গে এক ফোনালাপে এরদোয়ান এ কথাগুলো বলেছেন।

এরদোয়ানের দপ্তরের দেওয়া এক বিবৃতি থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ইরানি প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ানের সঙ্গে ফোনালাপে এরদোয়ান বলেছেন, গাজায় হওয়া জাতিগত হত্যার ঘটনা থেকে বিশ্বের দৃষ্টি সরাতে ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।

ইরানি প্রেসিডেন্ট ছাড়াও সৌদি আরব, পাকিস্তান, জর্ডান ও মিসরের রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গেও কথা বলেছেন এরদোয়ান। ইসরায়েল-ইরান সংঘাত এবং আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন তিনি।

শনিবার সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে ফোনালাপে এরদোয়ান সতর্ক করে বলেন, নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন ইসরায়েলই এখন এই অঞ্চলের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি। তুরস্ক সরকারের যোগাযোগবিষয়ক দপ্তরের বিবৃতি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

দপ্তরের পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলা হয়, এরদোয়ান মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির সঙ্গেও ফোনে কথা বলেছেন। সিসিকে এরদোয়ান বলেন, ইসরায়েলের হামলা গভীরভাবে আঞ্চলিক নিরাপত্তা ক্ষুণ্ন করেছে। আইনের তোয়াক্কা না করার যে মনোভাব নেতানিয়াহুর মধ্যে দেখা গেছে তা বিশ্বের স্থিতিশীলতার জন্য হুমকির।

এরদোয়ান আরও সতর্ক করেন, এ ধরনের কর্মকাণ্ড শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়, বরং পুরো বিশ্বের নিরাপত্তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ