বাফুফেতে সিন্ডিকেটের প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেবে সরকার
Published: 19th, March 2025 GMT
ফটোশুট দলীয় সংবাদ সম্মেলনসহ নানা আনুষ্ঠানিকতা। যেন নিঃশ্বাস ফেলার ফুরসত পাচ্ছিলেন না হামজা চৌধুরী। মধ্যাহ্ন ভোজের মধ্যে আবার তাড়াহুড়ো, যেতে হবে ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভুঁইয়ার অফিসে, নগর ভবনে।
বুধবা (১৯ মার্চ) দুপুরে হামজা যখন মধাহ্ন ভোজে ব্যস্ত তখন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি অপেক্ষা করছিলেন হামজার জন্য। কয়েক মিনিট পর হামজাকে নিয়ে নগর ভবনের পথ ধরেন তাবিথ।
বাফুফে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আসিফের বৈঠক ছিল পূর্বনির্ধারিত। ইতালি প্রবাসী ফুটবলার ফাহামিদুল ইসলামকে জাতীয় দলে ফেরানো নিয়ে সমর্থকদের আন্দোলনকে ঘিরে তাবিথের সঙ্গে বৈঠকের ঘোষণা দেন আসিফ। একই সঙ্গে হামজার সঙ্গেও হয় সৌজন্য সাক্ষাত।
আরো পড়ুন:
কোচ বললেন ফাহামিদুল ‘রেডি না’, সুর মেলালেন জামালও
ক্রিকেটেও হামজা হাওয়া
বৈঠক শেষে আসিফ মাহমুদ বলেছেন বাফুফেতে যদি কোনো সিন্ডিকেটের প্রমাণ পান তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেবে সরকার।
“দেশের স্বার্থেই যোগ্য খেলোয়াড়দের বঞ্চিত করার কোন সুযোগ নেই। প্লেয়ার সিলেকশনে যেনো স্বজনপ্রীতি বা সিন্ডিকেটের শিকার কেউ না হোন সে বিষয়ে বাফুফেকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে, এ বিষয়ে দুর্নীতির প্রমাণ পেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে সরকার”
এর আগে দলীয় সংবাদ সম্মেলনে কোচ বলেছিলেন ফাহামিদুলকে আপাতত ফেরানোর কোনো সুযোগ নেই। এ ছাড়া সে জাতীয় দলের জন্য প্রস্তুত না বলেও মন্তব্য করেন কোচ হ্যাভিয়ের কাবরেরা। এ ছাড়া সমর্থকদের সঙ্গে বৈঠকও করেন তাবিথ।
এদিকে হামজার উপস্থিতি প্রতিপক্ষের জন্য চাপ হবে বলে মন্তব্য করেন ক্রীড়া উপদেষ্টা, “হামজার মতো খেলোয়াড়ের উপস্থিতি প্রতিপক্ষের জন্য চাপের কারণ হবে।’’
ক্রীড়া উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাত শেষে হামজা বলেন, “বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসায় আমি আপ্লুত, দেশের ফুটবলকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার জন্য আমার আপ্রাণ চেষ্টা থাকবে।”
ঢাকা/রিয়াদ/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
সরকারের ভেতরে একটা অংশ নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে: এনসিপি
সরকারের ভেতরের একটি পক্ষ ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশের বাইরে গিয়ে নিজেরাই ঐকমত্য কমিশন হওয়ার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেন, এই চেষ্টার কারণে নির্বাচন ঝুঁকিতে পড়বে।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আখতার হোসেন এ কথা বলেন।
আখতার হোসেন বলেন, তাঁদের কাছে স্পষ্টতই প্রতীয়মান যে সরকারের ভেতরের কোনো একটা অংশ সংস্কারকে ভন্ডুল করে নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ–আলোচনার ভিত্তিতেই কমিশন সুপারিশ উপস্থাপন করেছে উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সেই সুপারিশের ভিত্তিতেই সরকার আদেশ জারি করবে, সেটাই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যখন সরকারের তরফ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে আরও এক সপ্তাহ রাজনৈতিক দলগুলোকে আলাপ–আলোচনার কথা বলা হয়, তখন মনে হয় যে সরকার আসলে এই সংস্কারের বিষয়গুলো নিয়ে সাপ-লুডো খেলছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ৯৬-তে পৌঁছে গিয়েছিলাম, সেটাকে আবার তিনে নিয়ে আসা হয়েছে সাপ কেটে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের বর্তমান যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি, তাতে সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে।’
অতি দ্রুত সরকারকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানিয়ে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সরকারকে নিজেকেই দায়িত্ব নিয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করতে হবে। সামনের সংসদকে গাঠনিক ক্ষমতা প্রদান করার মধ্য দিয়ে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। গণভোটের মাধ্যমে অর্জিত জনগণের অভিপ্রায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে যেন বাস্তবায়িত হয়, সেই সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে।