বিএনপির চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী ও জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সমন্বয়ক শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস বলেছেন, ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করা পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের ইবাদতের অংশ। তিনি বলেন, ঈদ এলেই ঘরমুখী মানুষ জনদুর্ভোগে পড়েন। অতীতে অনেকে পথে অভুক্ত থেকেছেন, তখন তাঁদের মনের ভেতর থেকে একটি অভিশাপ আসে।

বুধবার ঢাকা মহানগর নাট্যমঞ্চে পুলিশ বিভাগ, বিআরটিএ এবং ফুলবাড়িয়া-গুলিস্তান বাস টার্মিনাল-সংশ্লিষ্ট শ্রমিক-মালিকদের এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শামসুর রহমান এসব কথা বলেন। সভায় আসন্ন ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে করণীয় বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়।

জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সমন্বয়ক বলেন, ঈদযাত্রায় অতিরিক্ত ভাড়া এবং পরিবহন খাতে চাঁদাবাজি নিয়মিত বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। অতিরিক্ত ভাড়া এবং পরিবহন খাতে চাঁদাবাজি কঠোর হস্তে দমন করতে হবে। চাঁদাবাজ ও দখলবাজমুক্ত রাষ্ট্র গঠনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

সভায় আরও বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার সরোয়ার হোসেন, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার এনামুল হক, ট্রাফিক বিভাগের ডিসি (মতিঝিল) জালাল উদ্দিন, মালিক সমিতির সাইফুল ইসলাম, আবদুল বাতেন, শ্রমিক ফেডারেশনের আবদুর রহিম প্রমুখ।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ঈদয ত র পর বহন

এছাড়াও পড়ুন:

সরকারের ভেতরে একটা অংশ নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে: এনসিপি

সরকারের ভেতরের একটি পক্ষ ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশের বাইরে গিয়ে নিজেরাই ঐকমত্য কমিশন হওয়ার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেন, এই চেষ্টার কারণে নির্বাচন ঝুঁকিতে পড়বে।

আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আখতার হোসেন এ কথা বলেন।

আখতার হোসেন বলেন, তাঁদের কাছে স্পষ্টতই প্রতীয়মান যে সরকারের ভেতরের কোনো একটা অংশ সংস্কারকে ভন্ডুল করে নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে।

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ–আলোচনার ভিত্তিতেই কমিশন সুপারিশ উপস্থাপন করেছে উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সেই সুপারিশের ভিত্তিতেই সরকার আদেশ জারি করবে, সেটাই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যখন সরকারের তরফ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে আরও এক সপ্তাহ রাজনৈতিক দলগুলোকে আলাপ–আলোচনার কথা বলা হয়, তখন মনে হয় যে সরকার আসলে এই সংস্কারের বিষয়গুলো নিয়ে সাপ-লুডো খেলছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ৯৬-তে পৌঁছে গিয়েছিলাম, সেটাকে আবার তিনে নিয়ে আসা হয়েছে সাপ কেটে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের বর্তমান যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি, তাতে সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে।’

অতি দ্রুত সরকারকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানিয়ে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সরকারকে নিজেকেই দায়িত্ব নিয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করতে হবে। সামনের সংসদকে গাঠনিক ক্ষমতা প্রদান করার মধ্য দিয়ে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। গণভোটের মাধ্যমে অর্জিত জনগণের অভিপ্রায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে যেন বাস্তবায়িত হয়, সেই সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ