গুলশানে পুলিশ প্লাজার সামনে যুবককে গুলি করে হত্যা
Published: 20th, March 2025 GMT
রাজধানীর গুলশানে পুলিশ প্লাজার সামনের সড়কে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
নিহতের নাম সুমন মিয়া ওরফে টেলি সুমন (৩৩)। তিনি বাসাবাড়ি ও প্রতিষ্ঠানে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগের ব্যবসা করতেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশের গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মারুফ আহমেদ জানান, পুলিশ প্লাজার সামনের সড়কে সুমন মিয়ার সঙ্গে কয়েকজন ব্যক্তির ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে ওই ব্যক্তিকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।
রাতে সাড়ে ১১টার দিকে ওই এলাকায় গিয়ে জানা যায়, পুলিশ প্লাজার পশ্চিম পাশে ফজলে রাব্বী পার্কের কোনায় ঘটনাটি ঘটেছে। তখন সেখানে পুলিশ, র্যাব ও গোয়েন্দা কর্মকর্তারা অবস্থান করছিলেন। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রথমে সুমনকে গুলি করা হয়। এ সময় সুমন গুলশান-১ এর দিকে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। তখন সড়কের মধ্যে আবারও তাঁকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।
সুমনের স্ত্রীর বড় ভাই বাদশা মিয়া জানান, সুমনের বাড়ি রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায়। তাঁর বাবার নাম মাহফুজুর রহমান। তিনি রাজধানীর ভাষানটেক এলাকায় থাকতেন। তাঁর এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স মন র
এছাড়াও পড়ুন:
আমরা যে চূড়ান্ত পরিবর্তন চেয়েছিলাম, তা সম্ভব হয়নি: আসিফ মাহমুদ
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, ১/১১ প্রতিষ্ঠা করতে না পারলেও নানাভাবে এই সরকারকে বাধা দেওয়া হয়েছে। ফলে আমরা যে চূড়ান্ত পরিবর্তন চেয়েছিলাম, তা সম্ভব হয়নি। তবে সুংসবাদ, আজ থেকে তিনদিন পর, ৫ আগস্ট আমরা জুলাই সনদ ঘোষণার সিদ্ধান্তে আসতে পেরেছি।
শনিবার (২ আগস্ট) বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা মিলনায়তনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে ‘রিবিল্ডিং দ্য ন্যাশন: বাংলাদেশ ২.০’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা বলেন, ‘‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে যে বড় পরিবর্তন জনগণের মধ্যে হয়েছে, তা হলো রাজনৈতিক সচেতনতা। যে প্রেক্ষাপটে গণ-অভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে, জুলাই সনদের ঘোষণাপত্র সেটিকে জাস্টিফাই করে।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সেন্ট্রাল কানেক্টিং পয়েন্ট, পরবর্তীকালে অনেকেই এই ব্যানারটিকে মিস ইউজ করেছে। যে জায়গা থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কমিটি স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তাতে সাধুবাদ। তবে আমি প্রত্যাশা করবো, তারা তাদের কার্যক্রম পরিচালনা রাখবে।’’
গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ মরদেহ সম্পর্কে উপদেষ্টা আসিফ মাহমদু বলেন, ‘‘৬টি মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আছে। হয়তো বেশিদিন রাখা সম্ভব হবে না। তাদের ডিএনএ স্যাম্পল রাখা হবে। তাদের পরিবার যোগাযোগ করে নিয়ে যেতে পারবেন। আগামী ৪ আগস্ট তাদের দাফন করা হবে।’’
‘‘ডিএনএ টেস্ট করে গণকবরে যারা সমাহিত হয়েছেন, তাদের শনাক্ত করা হবে এবং তাদের পরিবারের কেউ নিয়ে যেতে চাইলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবো’’, যোগ করেন তিনি।
ঢাকা/রাহাত//