চট্টগ্রামের রাউজানে গরুচোর সন্দেহে গণপিটুনি দিয়ে মো. রবিউল হোসেন (৩৬) নামের এক যুবককে হত্যা করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার পূর্ব গুজরা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের হোয়ারাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

দুপুরে পুলিশ স্থানীয় মোবারক খালের পূর্ব পাশে খোলা জমি থেকে ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে। নিহত রবিউল চট্টগ্রাম নগরের বায়েজিদ এলাকার নুরুল আলমের ছেলে। বিকেলে পুলিশ লাশের ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের ভাষ্য, স্থানীয় টিপু বড়ুয়া নামের এক ব্যক্তির গোয়ালঘর থেকে একটি গরু চুরি করে নিয়ে যাচ্ছিলেন রবিউল। এ সময় স্থানীয় লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে তাঁকে ধরে ফেলেন। পরে পটিয়ে হত্যা করে লাশ বিলের মাঝখানে ফেলে রাখেন তাঁরা।

রাউজান থানা-পুলিশ জানায়, নিহত রবিউলের বিরুদ্ধে আগে ডাকাতি, চুরি, অস্ত্রসহ চারটি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে।

জানতে চাইলে রাউজানের পূর্ব গুজরা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক দীপ্তেশ রায় প্রথম আলোকে বলেন, রবিউল ওই এলাকা থেকে একটি গরু চুরি করে পালিয়ে যাচ্ছিলেন। ওই সময় জনতা তাঁকে ধরে ফেলে গরুটি উদ্ধার করেন। পরে তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করেন গ্রামবাসী।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সমালোচনা নিয়ে মুখ খুললেন ভাবনা

ছোটপর্দা থেকে বড়পর্দা—দু’জায়গাতেই নিজের অভিনয়গুণে জায়গা করে নিয়েছেন অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনা। পর্দার চরিত্রে যেমন সাহসী, বাস্তব জীবনেও তেমনি সরব ও স্পষ্টভাষী।

বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার উপস্থিতি সবসময়ই আলোচনায় থাকে। নিয়মিত ছবি ও ভাবনার টুকরো প্রকাশ করায় অনেক সময় কটাক্ষের মুখে পড়েছেন এই অভিনেত্রী। তবে এবার সেই সমালোচনা নিয়ে খোলামেলা মুখ খুললেন ভাবনা। 

আরো পড়ুন:

সিনেমায় জুটি বাঁধলেন ইয়াশ-তটিনী

‘বেহুলা দরদী’ রূপে পর্দায় স্নিগ্ধা

এক সাক্ষাৎকারে নিজের অবস্থান জানাতে গিয়ে ভাবনা বলেন, “একজন লুকিয়ে লুকিয়ে লিখছে, যার নামহীন একটা ফেসবুক অ্যাকাউন্ট—না কোনো নাম, না কোনো পরিচয়! এখন সে কোথায় বসে কী লিখছে, তাতে আমার কিছু যায় আসে না।” 

তার মতে, ফেক অ্যাকাউন্ট থেকে আসা সমালোচনা বা বিদ্বেষমূলক মন্তব্য কখনো তার মনোযোগ নষ্ট করতে পারে না। ভাবনা বলেন, “যারা নিজেদের মুখ লুকিয়ে কথা বলে, তাদের মতামত আমার কাছে কোনো গুরুত্ব রাখে না।”

অভিনেত্রীর ভাষায়, নিজের কাজ আর ব্যক্তিগত জীবনের মধ্যে পার্থক্য বজায় রাখাই তার মূল নীতি। সমালোচনা বা প্রশংসা—দুটোই তিনি সামলান এক ধরনের ভারসাম্যের সঙ্গে। ভাবনা বলেন, “আমি জানি, আমি কী করছি। কারো ভালো লাগা বা খারাপ লাগা আমার কাজের মান নির্ধারণ করে না। আমি আমার পথেই থাকব, এটাই আমার বিশ্বাস।”

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ