গুলশানে হত্যা: এক আসামির রিমান্ড, আরেকজন কারাগারে
Published: 27th, March 2025 GMT
রাজধানীর গুলশানে পুলিশ প্লাজার সামনে ডিশ ব্যবসায়ী সুমনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় মো. ওয়াসির মাহমুদ সাঈদ নামে এক আসামির তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। মামুন ওরফে বেলাল নামে আরেক আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার সাব-ইন্সপেক্টর মারুফ আহমেদ তাদের আদালতে হাজির করেন। মামুন স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।তাকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্রের আদালতে নেওয়া হয়। সেখানে যাওয়ার পর মামুন স্বীকারোক্তীমূলক জবানবন্দি দিতে অস্বীকৃতি জানান।পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো.
তার পক্ষে অ্যাডভোকেট সাফায়েত হোসেন (সজিব) রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। তিনি বলেন, “আসামির বয়স ৬০ বছর। তার বাড়ি ঝালকাঠিতে। ইন্টারনেটের ব্যবসা করেন গুলশানে। আসামি তো ওই এলাকায় থাকে না।”
এ সময় তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, “আসামি জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন।”
তখন আসামিপক্ষের আইনজীবী বলেন, “প্রকাশ্যে এমন কথা বলা ঠিক না।” এরপর আদালত তার তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
গুলশান থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার সাব-ইন্সপেক্টর মোক্তার হোসাইন বলেন, “দুই আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। এর মধ্যে ওয়াসির মাহমুদ সাঈদ নামে এক আসামির তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বেলাল নামের আরেক আসামি জবানবন্দি দিতে অস্বীকার করে। তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।”
২৫ মার্চ র্যাব-১ এর অভিযানিক দল র্যাব-৮ এর অভিযানিক দলের সহযোগিতায় মাস্টারমাইন্ড মো. ওয়াসির মাহমুদ সাঈদ ওরফে বড় সাঈদকে পটুয়াখালী থানার চৌরাস্তা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মামুন ওরফে বেলালকে টঙ্গী পূর্ব থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এদিকে, এ মামলায় গত ২৩ মার্চ হাবিবুর রহমান ওরফে সুজন নামে এক ব্যক্তির পাঁচ দিন এবং ২৪ মার্চ বশির সিকদারেরও পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
জানা গেছে, গত ২০ মার্চ রাত ৯টার দিকে পুলিশ প্লাজার পাশে ফজলে রাব্বি পার্কের পূর্বদিকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয় ডিশ ব্যবসায়ী সুমনকে। এ ঘটনায় গুলশান থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের স্ত্রী মৌসুমী আক্তার।
ঢাকা/মামুন/এসবি
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জ র কর কর ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলায় ৩ পুলিশ নিহত
যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যে বন্দুক হামলায় তিন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন আরো দুই পুলিশ।
পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় দুপুর ২টার কিছু পর এক পারিবারিক বিরোধের তদন্তে গিয়ে হামলার মুখে পড়ে পুলিশ। খবর বিবিসির।
আরো পড়ুন:
শেরপুরে পুলিশের উপর হামলা: থানায় মামলা, গ্রেপ্তার ৪
ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদ ও থানায় হামলা, ভাঙচুর-আগুন
পেনসিলভানিয়া স্টেট পুলিশের কমিশনার কর্নেল ক্রিস্টোফার প্যারিস জানান, অভিযুক্ত বন্দুকধারী পুলিশের গুলিতে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছে।
গুলির ঘটনার পর ইয়র্ক কাউন্টির নর্থ কোডোরাস টাউনশিপের স্প্রিং গ্রোভ এলাকার একটি স্কুল জেলা সাময়িকভাবে ‘শেল্টার ইন প্লেস’ ঘোষণা করে। তবে পরে জানানো হয়, স্কুল কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জনসাধারণের জন্য বর্তমানে কোনো সক্রিয় হুমকি নেই। এ ঘটনা ঘটে ফিলাডেলফিয়া থেকে প্রায় ১০০ মাইল (১৬০ কিমি) পূর্বে অবস্থিত ইয়র্ক কাউন্টির এক গ্রামীণ এলাকায়।
তারা বলছে, আগের দিন শুরু হওয়া একটি তদন্তের অংশ হিসেবে কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছিলেন। তবে তদন্ত চলমান থাকায় বিস্তারিত কিছু প্রকাশ করা হয়নি।
পেনসিলভানিয়ার গভর্নর জোশ শাপিরো বিকেলে ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি বলেন, “আমরা তিনজন মহামূল্যবান প্রাণ হারালাম, যারা এই দেশকে সেবা দিয়েছেন। এই ধরনের সহিংসতা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। সমাজ হিসেবে আমাদের আরো ভালো করতে হবে।”
নিহত তিন কর্মকর্তার সম্মানে গভর্নর শাপিরো রাজ্যের সব সরকারি ভবন ও স্থাপনায় পতাকা অর্ধনমিত রাখার নির্দেশ দেন।
ঢাকা/ইভা