ভাগনে-ভাগনি, ভাতিজা-ভাতিজি, জুনিয়র সহকর্মী, এলাকার ছোট ভাইবোন, পাড়া-প্রতিবেশী সব মিলিয়ে অন্তত শখানেক ব্যক্তিকে ঈদের সময় সালামি দেন  ব্যবসায়ী রাশেদুল আলম। তাদের কেউ থাকেন কাছে, কেউবা দূরে। তবে সবার সঙ্গেই  সমানভাবে আনন্দ ভাগ করে নিতে চান তিনি। এবার আগে থেকেই বিকাশে সেন্ড মানি গ্রুপ তৈরি করে রেখেছেন, যাতে ঈদের চাঁদ দেখার পর এবং ঈদের দিন সকালে গ্রুপ সেন্ড মানির মাধ্যমে প্রিয়জনদের সালামি দিতে পারেন। রাশেদুল বলেন, ‘এক সময় চকচকে টাকায় সালামি দেওয়া হতো; কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে বিকাশেই দিই সালামি। সালামির রূপান্তর ঘটেছে ক্যাশ থেকে ডিজিটালে। তবে আনন্দ কমেনি এতটুকুও।’

মুসলিম দেশগুলোয় বিশেষ করে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও ইরানে বহু আগে থেকেই ঈদ উদযাপনের অন্যতম অনুষঙ্গ হয়ে আছে সালামি। সালামি বা ঈদি নামে পরিচিত এই প্রথায় বড়দের কাছ থেকে ছোটদের ‘বকশিশ’ পাওয়া ঈদের খুশিকে বহু গুণ বাড়িয়ে তোলে। চিরাচরিত সেই প্রথায় প্রযুক্তির ছোঁয়া লেগেছে দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বিকাশের কল্যাণে। গত কয়েক বছর ধরেই দেশের সব ধরনের মানুষের কাছে ঈদ উদযাপনে অন্যতম অনুষঙ্গ হয়ে উঠেছে বিকাশে সালামি।

ঈদের আমেজকে সামনে রেখে বিকাশ অ্যাপে যুক্ত হয়েছে অনেক বর্ণিল ঈদকার্ড, যা বিকাশে  ডিজিটাল সালামিকে করে তুলেছে আরও আকর্ষণীয়। শুভেচ্ছা বার্তাসহ রঙিন  কার্ডগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করার সুবিধা ঈদে যোগ করছে বাড়তি মাত্রা। পাশাপাশি ‘ঈদের চাঁদ আকাশে, সালামি দিন বিকাশে’, ‘সালাম লাগবে সালাম নিন-সালামিটা বিকাশে দিন’, ‘বিকাশে সালামি দিয়ে কেউ দেউলিয়া হয় না’, ‘চৌধুরী সাহেব গরিব হতে পারি, কিন্তু সালামি নিই বিকাশে’, ‘বিকাশে সালামি না দিলে বন্ধু কথা কয়ো না’– এমন অসংখ্য ডিজিটাল স্টিকারে পুরোনো দিনের স্টিকার কার্ডের আমেজ ফিরিয়ে এনেছে ডিজিটাল সালামি।
একটি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত নাইমুল করিম বলেন, ‘ঈদ আনন্দের একটি বড় অংশজুড়েই থাকে সালামি, বিশেষ করে ছোটদের জন্য। আর এ যুগে সালামি দেওয়া বা চাওয়ার ধরনে পরিবর্তন এসেছে প্রযুক্তির কল্যাণে। ঈদের সময় সহকর্মী বা আত্মীয়স্বজন সবার সঙ্গে দেখা হওয়াটা কঠিনই বটে। ছোটদের ঈদ আনন্দ সালামিতে গত কয়েক বছরের মতো এবারও তাই সবাইকে মজার মেসেজসহ সালামি পাঠিয়ে দেবো বিকাশে।’

নাইমুলের মতো কোটি গ্রাহক স্নেহভাজনদের ঈদ সালামি পাঠাতে এ বছরও ব্যবহার করবেন বিকাশের সেন্ড মানি সেবা। সঙ্গে বিকাশ অ্যাপে থাকা ঈদকার্ড অথবা গ্রাহক চাইলে নিজের পছন্দমতো সেই কার্ডে কোনো খরচ ছাড়াই লিখে দিতে পারবেন আবেগ-অনুভূতি সংবলিত মেসেজ। বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষাতেই মেসেজ লেখার সুযোগ রয়েছে।
এদিকে ছোট ভাইবোনকে সঙ্গে নিয়ে প্রিয়জনদের কাছ থেকে সালামি আদায়ের একটি লিস্ট করে তৈরি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া নওরিন। এই তরুণী বলেন, ‘চাচা-মামা-ফুফু-খালা এবং কাজিনদের অনেকেই বাস করেন অন্যান্য জেলায়। ঈদের সময় তাদের অনেকের সঙ্গেই দেখা হওয়ার সুযোগ হয়ে ওঠে না। তাই বলে তো আর সালামি মিস করা যায় না। এ কারণে ঈদের আগেই কল করে, মেসেজ দিয়ে, বিকাশ অ্যাপ থেকে রিকোয়েস্ট মানি করে তাদের বিকাশে সালামি পাঠিয়ে দেওয়ার আবদার জানাচ্ছি।
যেভাবে সালামি পাঠানো যায় বিকাশ অ্যাপ থেকে
সালামি পাঠাতে বিকাশ অ্যাপের সেন্ড মানি আইকনে ক্লিক করে যে নম্বরে সালামি পাঠাতে চান, সেই নম্বরট সিলেক্ট করে টাকার অঙ্ক বসাতে হবে। এর পর নিচের দিকে থাকা গিফট কার্ড সেকশন থেকে ‘ঈদ মোবারক’ লেখা অংশে প্রেস করলে ঈদকার্ডের লিস্ট চলে আসবে। সেখান থেকে পছন্দের কার্ডটি সিলেক্ট করে নিচের দিকে ‘ভিউ মেসেজ’-এ ট্যাপ করে নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী মেসেজ যোগ করে দেওয়া যাবে। সবশেষে ‘সেভ অ্যান্ড কন্টিনিউ’-এ ক্লিক করে পরের ধাপে বিকাশ পিন দিলেই সালামি চলে যাবে প্রিয়জনের কাছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আনন দ

এছাড়াও পড়ুন:

তিনি চাকরি ছাড়বেন শুনলেই সহকর্মীরা হাসাহাসি করেন

নাটক, সিনেমা কিংবা ওয়েব—সব প্ল্যাটফর্মেই তিনি সরব। তবে অনেকেই হয়তো জানেন না, এই অভিনেতা চাকরির ফাঁকে শুটিং করেন। একসঙ্গে দুই জায়গায় মানিয়ে নিতে পারছিলেন না। এ কারণে দু–তিন মাস পরপরই সিদ্ধান্ত নেন, চাকরি ছাড়বেন। তাঁর এই চাকরি ছাড়ার কথা শুনলেই এখন সহকর্মীরা হাসাহাসি করেন। এই অভিনেতার নাম মোস্তফা মন্ওয়ার। আজ তাঁর জন্মদিন।

এই অভিনেতা এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, চাকরি ছাড়ার কথা তিন-চার মাস পরপর বলবেন—এটা সহকর্মীরা ধরেই নিয়েছেন। কারণ, শুটিংয়ে সময় দিতে হয়। অফিসেও দায়িত্ব পালন করতে হয়।

মোস্তফা মন্ওয়ার বলেন, ‘দীর্ঘ দুই দশকের বেশি সময় ধরে আমি অভিনয় ও চাকরি একসঙ্গে করছি। অনেকবার চেয়েছি চাকরি ছেড়ে শুধু শুটিং শুরু করি। কিন্তু কোনোভাবেই এটা হচ্ছে না। অর্থনৈতিক কারণে অভিনয়কেই শুধু পেশা হিসেবে নিতে পারছি না। চাকরিও ছাড়তে পারছি না। এর আগে চার-পাঁচবার চাকরি ছেড়েছি। কিন্তু আবার চাকরিতেই ফিরতে হয়েছে। ছুটির দিনে পরিবারকে সময় দিতে পারি না। শুটিংয়ে যাই।’

মোস্তফা মন্ওয়ার। ছবি: ফেসবুক থেকে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • তিনি চাকরি ছাড়বেন শুনলেই সহকর্মীরা হাসাহাসি করেন