রাজশাহীতে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের জামায়াতে দেশের মানুষে মানুষে সম্প্রীতির জন্য দোয়া করা হয়েছে। এছাড়া জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রেখে আগামীর সুন্দর বাংলাদেশ কামনা করেও দোয়া করা হয়।

সোমবার (৩১ মার্চ) সকাল ৮টায় রাজশাহীর হযরত শাহ মখদুম রূপোশ (রহ.) কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। 

এখানে ঈদের নামাজ আদায় করেন সাবেক সিটি মেয়র মিজানুর রহমান মিনু, মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেদসহ প্রশাসনের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তা এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ।

সর্বস্তরের মুসল্লিদের উপস্থিতিতে সকালেই লোকে লোকারন্য হয়ে ওঠে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ প্রান্তর। কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয় প্রতিটি কাতার। প্রধান এই জামাতে ইমামতি করেন নগরের রাজারহাতা জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মো.

কাওসার হোসাইন। তাকে সহযোগিতা করেন তেরোখাদিয়া জামে মসজিদের পেশ ইমাম মোহাম্মদ সোয়েব হোসেন।

এর আগে সকাল সাড়ে ৭টায় রাজশাহীতে ঈদের দ্বিতীয় বৃহত্তর জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে মহানগর (টিকাপাড়া) ঈদগাহ ময়দানে। এরপর সকাল সোয়া ৮টায় ঈদের তৃতীয় বৃহত্তর জামায়াত হয় সাহেববাজার বড় মসজিদ সংলগ্ন বড় রাস্তায়। নামাজের পর দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় দোয়া করা হয়।

সকাল ৭টা থেকে সাড়ে ৮টার মধ্যে রাজশাহীর বিভিন্ন ঈদগাহে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জেলা ও মহানগরের প্রায় চার শতাধিক ঈদগাহে অংশ নেন মুসল্লিরা।

ঢাকা/কেয়া/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ঈদগ হ

এছাড়াও পড়ুন:

৪,৫০০ কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক

ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ আমদানি চুক্তিতে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতির অভিযোগ অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সচিব আহমদ কায়কাউসের বিরুদ্ধে অভিযোগটি অনুসন্ধানের দায়িত্ব পেয়েছেন দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক রেজাউল করিম। গতকাল বুধবার এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন। 

দুদক গত ১৬ এপ্রিল এ নিয়ে আদেশ জারি করলেও গতকালই বিষয়টি জানাজানি হয়। দুদকের আদেশে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) পাশ কাটিয়ে আদানির সঙ্গে চুক্তি করে সরকারের সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকি দিয়েছেন আহমদ কায়কাউস। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে এ চুক্তি-সংক্রান্ত কাগজপত্র খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। এ জন্য চুক্তির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যাবতীয় নথিপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি, বিদ্যুৎ কেনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীর নাম, পদবি, বর্তমান ঠিকানা এবং এ নিয়ে কোনো বিভাগীয় তদন্ত করা হয়েছে কিনা– খতিয়ে দেখতে হবে।   

আদানি গ্রুপের কাছ থেকে বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তিটি শুরু থেকেই বিতর্কিত। ২৫ বছরের এ চুক্তির পদে পদে রয়েছে অসমতা। চুক্তিতে এমন অনেক শর্ত রয়েছে, যেগুলোর কারণে ২৫ বছরে প্রায় ৩ লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকা বাড়তি নিয়ে যাবে আদানি। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ