নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রাইজদিয়া গ্রামে বেড়েছে ডাকাত ও চোর, মাদক ব্যবসায়ীদের আনাগোনা। গ্রামবাসী অতিষ্ঠ হয়ে মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) বিকালে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্কুলের মাঠে মাদক, চুরি ও ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যোগে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এলাকাবাসীর দাবি, চুরি,ডাকাতি ও মাদক ব্যবসায় রাইজদিয়া গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দারা  জড়িত রয়েছে। মাদক ব্যবসায়ীদের একটি মহল স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা কর্মীদের টাকা দিয়ে এই মাদক ব্যবসা করে।

এই অর্থ পেয়ে মাদক ব্যবসায়ীদের মাদক বিক্রয় সহযোগিতা করছেন বলে অভিযোগ উঠে। মাদক ব্যবসায়ীদের নির্মূল করা না গেলে এলাকায় চুরি-ডাকাতি বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। 

গ্রামের সুশীল সমাজের অভিযোগ, মাদক নির্মূলে পারিবারিক সচেতনতা জরুরি। রাইজদিয়া গ্রামে সর্বত্রই মাদকের ছড়াছড়ি। হাত বাড়ালেই সহজে মিলছে বিভিন্ন ধরণের মাদক। এর ফলে দিন দিন আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে মাদকসেবী ও মাদক কারবারির সংখ্যা।

এলাকার তরুণ সমাজ ক্রমেই ধাবিত হচ্ছে নেশার জগতের দিকে। নেশার টাকা সংগ্রহ করতে সমাজে বৃদ্ধি পাচ্ছে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধ প্রবণতা।

সভায় রাইজদিয়া গ্রামের স্থানীয় এলাকাবাসী মাদক নির্মূলে সবাই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়। মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়। মাদক ব্যবসায়ী এবং যারা মাদক গ্রহণ করে তাদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে মাদক নির্মূল করতে এলাকাবাসী মতামত প্রদান করেন।

প্রশাসনের কাছে গ্রামবাসী এই মহলটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স ন রগ ও ন র য়ণগঞ জ ছ নত ই অপর ধ র ইজদ য়

এছাড়াও পড়ুন:

বিতর্কিত তিন নির্বাচনে জড়িতদের ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশ

বিতর্কিত তিন জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে জড়িত সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনারগণ ও নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিবদের ভূমিকা তদন্তে অবিলম্বে একটি কমিটি গঠনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

সোমবার (১৬ জুন) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এক বৈঠকে আলোচনা শেষে এ নির্দেশ দেন তিনি। অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রধান।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান, সফর রাজ হোসেন ও ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।

আরো পড়ুন:

প্রধান উপদেষ্টা অনেক বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছেন: ফখরুল

ইউনূস-তারেক বৈঠক
রমজান শুরুর আগের সপ্তাহেও নির্বাচন হতে পারে: যৌথ বিবৃতি

বৈঠকে কমিশন সদস্যগণ জুলাই সনদ তৈরির কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন। 

কমিশনের সহ-সভাপতি প্রফেসর আলী রীয়াজ বলেন, ‍“বেশকিছু বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। খুব শিগগিরই সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সনদ চূড়ান্ত করে ফেলা সম্ভব হবে।”

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “সবাই জুলাই সনদের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। আমি আশা করি, আগামী জুলাই মাসের মধ্যে আমরা এটি জাতির সামনে উপস্থাপন করতে পারব।”

বৈঠকে লন্ডন সফরের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে তিনি বলেন, “লন্ডনে বাংলাদেশি কমিউনিটির যাদের সঙ্গেই দেখা হয়েছে, তারা সংস্কার নিয়ে জানতে চেয়েছে। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা খুব আগ্রহী। তারা বিস্তারিতভাবে ঐকমত্য কমিশনের কাজ নিয়ে আমার সঙ্গে আলোচনা করেছে, মতামত দিয়েছে। যেখানেই গেছি, সেখানকার প্রবাসী বাংলাদেশিরা আমাকে জিজ্ঞেস করছেন, ‘আমরা আগামী নির্বাচনে ভোট দিতে পারব তো?’ আমাদের প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিতের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। পোস্টাল ব্যালট এবং আর কী কী অপশন আছে সেগুলো নিয়ে ভাবতে হবে, সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে।”

বৈঠকে নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশন প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেন, “সব রাজনৈতিক একমত হয়েছে যে, অতীতের তিনটি বিতর্কিত নির্বাচন আয়োজনে কর্মকর্তাদের ভূমিকা তদন্ত ও জবাবদিহিতার আওতায় আনা প্রয়োজন।”

ঢাকা/হাসান/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ