সড়ক দুর্ঘটনায় উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক নিহত
Published: 3rd, April 2025 GMT
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিতে যাওয়ার সময় মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে সিএনজি চাপায় পৌর কৃষক দলের আহ্বায়ক মোশারফ হোসেন (৫৭) নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে বাঞ্ছারামপুর-নবীনগর সড়কের দড়িভেলানগর গ্রামের কবরস্থান এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মোশারফ হোসেন পৌর এলাকার নতুন হাটি গ্রামের মৃত বারিক মিয়ার ছেলে।
পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ছয়ফুল্লাকান্দি গ্রামে মহিলা দলের একটি দলীয় কর্মসূচিতে যোগদান করতে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দলীয় কর্মী বাহার উদ্দিন বাহারকে নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে ছয়ফুল্লাকান্দি গ্রামে যাওয়ার সময় বাঞ্ছারামপুর-নবীনগর সড়কের দড়ি ভেলানগর গ্রামের কবরস্থান এলাকায় পৌঁছালে তিনি মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে যান। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি সিএনজির নিচে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হন তিনি।
গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার মাহমুদ মিয়া জানান, হাসপাতালে আনার আগেই অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে।
নিহতের ছেলে মামুন হাসান জানান, আমার বাবা দলীয় সাংগঠনিক কাজে ছয়ফুল্লাকান্দি ও ফরদাবাদ যাওয়ার উদ্দেশ্যে দুপুরে ছয়ফুল্লাকান্দি যাওয়ার সময় দড়ি ভেলানগর গ্রাম এলাকায় মোটরসাইকেল থেকে পড়ে যান। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি সিএনজির নিচে পড়ে গুরুতর আহত হন। আহত অবস্থায় আমার বাবাকে হাসপাতালে আনলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।
পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সালে মুসা জানান, মোশারফ বিএনপির একজন নিবেদিত কর্মী ছিলেন। বিগত সময়ে তিনি অনেক নির্যাতন ও মামলার শিকার হয়েছিলেন। তার শূন্যতা পূরণ হওয়ার নয়। পৌর বিএনপি ও উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে শোক প্রকাশ করছি।
বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদুল আলম চৌধুরী জানান, দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার বিষয়টি জানা নেই। সেখানে পুলিশ পাঠিয়েছি খবর নিতে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সরকারের ভেতরে একটা অংশ নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে: এনসিপি
সরকারের ভেতরের একটি পক্ষ ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশের বাইরে গিয়ে নিজেরাই ঐকমত্য কমিশন হওয়ার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেন, এই চেষ্টার কারণে নির্বাচন ঝুঁকিতে পড়বে।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আখতার হোসেন এ কথা বলেন।
আখতার হোসেন বলেন, তাঁদের কাছে স্পষ্টতই প্রতীয়মান যে সরকারের ভেতরের কোনো একটা অংশ সংস্কারকে ভন্ডুল করে নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ–আলোচনার ভিত্তিতেই কমিশন সুপারিশ উপস্থাপন করেছে উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সেই সুপারিশের ভিত্তিতেই সরকার আদেশ জারি করবে, সেটাই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যখন সরকারের তরফ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে আরও এক সপ্তাহ রাজনৈতিক দলগুলোকে আলাপ–আলোচনার কথা বলা হয়, তখন মনে হয় যে সরকার আসলে এই সংস্কারের বিষয়গুলো নিয়ে সাপ-লুডো খেলছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ৯৬-তে পৌঁছে গিয়েছিলাম, সেটাকে আবার তিনে নিয়ে আসা হয়েছে সাপ কেটে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের বর্তমান যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি, তাতে সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে।’
অতি দ্রুত সরকারকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানিয়ে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সরকারকে নিজেকেই দায়িত্ব নিয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করতে হবে। সামনের সংসদকে গাঠনিক ক্ষমতা প্রদান করার মধ্য দিয়ে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। গণভোটের মাধ্যমে অর্জিত জনগণের অভিপ্রায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে যেন বাস্তবায়িত হয়, সেই সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে।