যুবকের মৃত্যু নিয়ে রহস্য, বাবার দাবি হত্যা, স্ত্রী বলছেন আত্মহত্যা
Published: 4th, April 2025 GMT
কুড়িগ্রামের রাজারহাটে আমানুর রহমান নামে এক যুবকের মৃত্যু নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। আমানুরের বাবার দাবি, স্ত্রীর নামে জমি রেজিস্ট্রি করে দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে হত্যা করে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। অন্যদিকে শ্বশুর বলছেন, বায়না করার পর জমির মালিক রেজিস্ট্রি করে দিতে টালবাহানা করায় আমানুর আত্মহত্যা করেছেন।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, সদরের বোতলার পাড় ছাট মল্লিকবেগ গ্রামের মঞ্জিল হকের ছেলে আমানুর রহমান দেবিচরণ মণ্ডলের বাজার গ্রামের বাচ্চা বাইয়োর মেয়েকে বিয়ে করেন। তিনি শ্বশুর বাড়িতে থাকতেন। সম্প্রতি আমানুর জমি কিনতে বায়না করেন। ঈদের ছুটি শেষে সেই জমি রেজিস্ট্রির কথা চলছিল। আমানের স্ত্রী আকলিমা আক্তার, শ্বশুর বাচ্চা বাইয়ো ওই জমি আকলিমার নামে রেজিস্ট্রির করে দিতে চাপ দেন। অস্বীকৃতি জানালে বুধবার রাত ১টার দিকে আমানুরকে তারা নির্যাতন করেন। বেধড়ক মারধরে আমানুর অসুস্থ হলে জোর করে তার মুখে বিষ ঢেলে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি খারাপ দেখে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসক কুড়িগ্রাম সরকারি হাসপাতাল নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে বৃহস্পতিবার বিকেলে আমানের মৃত্যু হয়। রাতে আমানের বাবা মঞ্জিল হক রাজারহাট থানায় চারজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।
তবে আমানুরের শ্বশুর বাচ্চা বাইয়ো সাংবাদিকদের জানান, আমানুর জমি কিনতে বায়না করেন। জমির মালিক টাকা নিয়েও দলিল করে দিতে টালবাহানা করেন। এ কারণে সে বিষ পানে আত্মহত্যা করেছে। এ ঘটনায় আমানুরের স্ত্রী আকলিমা জমির মালিকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন।
রাজারহাট থানার এস আই রেজাউল হক বলেন, দু’পক্ষই অভিযোগ দিয়েছে। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন
প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।
শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।
আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেনরাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।
কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।
দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।
২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।
প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।
আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।
সূত্র: এনবিসি নিউজ
আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫