সোনারগাঁয়ে বাড়ির দেয়ালে চিঠি দিয়ে ডাকাতির হুমকি
Published: 4th, April 2025 GMT
আমরা ১৫ এপ্রিল আসবো, সবকিছু রেডি রাখবি, নইলে কোপ দিমু’ লিখে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ পৌরসভার দুটি বাড়িতে ডাকাতির হুমকি দিয়ে চিঠি দিয়েছেন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা।
গত ২৫ মার্চ এই চিঠি প্রথম পাঠানো হয়। এরপর আবারও গত মঙ্গলবার গভীর রাতে একই ধরনের হুমকি দিয়ে সাদা কাগজে লিখে বাড়ির দেয়ালে টানিয়ে রেখে যায়।
পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কমিশনার আমির হোসেন ভূঁইয়া ও দলিল লেখক আব্দুর রউফ ভূঁইয়া বিষয়টি স্থানীয় এলাকাবাসীকে জানান। পরে তাঁরা সোনারগাঁ থানাকে অবহিত করে একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
ভুক্তভোগী হাজী আমির হোসেন ভূঁইয়া বলেন, গত ২৫ মার্চ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা আমার বাড়ি ও দলিল লেখক আব্দুর রউফের বাড়িতে ডাকাতির হুমকি দিয়ে চিঠি ফেলে যায়। এরপর আবারও মঙ্গলবার গভীর রাতে আমাদের বাড়ির দেয়ালে লিখে রাখে ‘‘আমরা আসবো, সবকিছু রেডি রাখবি, নইলে কোপ দিমু, তোদের কাছের মানুষ।
এ ঘটনায় আমরা পরিবার নিয়ে চরম আতঙ্কে আছি। আমাদের কারও সঙ্গে শত্রুতা নেই, তবে জায়গা-জমি নিয়ে প্রতিবেশীর সঙ্গে একটি মামলা চলমান রয়েছে।
এ বিষয়ে সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স ন রগ ও ন র য়ণগঞ জ স ন রগ
এছাড়াও পড়ুন:
মরিচখেতে তাজা গ্রেনেড, নিষ্ক্রিয় করলেন সেনাসদস্যরা
সুনামগঞ্জে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় এক কৃষকের মরিচখেতে একটি তাজা গ্রেনেড পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর একটি দল গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার সলুকাবাদ ইউনিয়নের চালবন গ্রামের কৃষক সাইদুর রহমান তাঁর মরিচখেতে গিয়ে মাটি খোঁড়ার সময় ওই গ্রেনেড পান। বিষয়টি জানাজানি হলে উৎসুক লোকজন সেখানে ভিড় করেন। এরপর বিষয়টি বিশ্বম্ভরপুর থানার পুলিশকে জানানো হয়।
বিশ্বম্ভরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মখলিছুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গ্রেনেড সাদৃশ্য ওই বস্তু দেখতে পায়। এরপর সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলায় থাকা সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে ঘটনাটি জানানো হয়। আজ দুপুরে সেখান থেকে লেফটেন্যান্ট আল হোসাইনের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি দল এসে প্রথমে এটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। পরে সেটি নিষ্ক্রিয় করার উদ্যোগ নেন তাঁরা। নিষ্ক্রিয় করার সময় গ্রেনেডটি বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। চারপাশের মাটি গর্ত হয়ে যায়।
সেনা কর্মকর্তা আল হোসাইন সাংবাদিকদের বলেন, গ্রেনেডটি বিশ্বযুদ্ধ কিংবা মুক্তিযুদ্ধের সময়ে কোনোভাবে আসতে পারে। এটি মাটির নিচে ১০০ বছরের কমবেশি সময়ে সক্রিয় থাকে। তিনি আরও বলেন, এলাকাবাসীর উচিত ছিল আগেই বিষয়টি সেনাবাহিনীকে জানানো। এটি বিস্ফোরিত হলে জানমালের অনেক ক্ষতি হতে পারত।