জেলেনস্কির শহরে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত ১৮
Published: 5th, April 2025 GMT
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বেড়ে উঠেছেন দেশটির নিপ্রোপেত্রভক্স অঞ্চলের ক্রিভি রিহ শহরে। এ শহরের একটি আবাসিক এলাকায় রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ৯ শিশুসহ অন্তত ১৮ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো কয়েক ডজন।
আজ শনিবার কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার (৪ এপ্রিল) রুশ বাহিনী এই হামলা চালায়। চলতি বছর এখন পর্যন্ত এটিই রাশিয়ার সবচেয়ে বড় প্রাণঘাতি হামলা।
আরো পড়ুন:
ট্রাম্প-পুতিন আলোচনা চলতি সপ্তাহে
ট্রাম্পের অনুরোধের পর ইউক্রেনের সেনাদের আত্মসমর্পণের আহ্বান পুতিনের
রাশিয়া–ইউক্রেন সংঘাত বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উদ্যোগের মধ্যেই এ হামলার ঘটনা ঘটল। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি মস্কোর ওপর আরো চাপ প্রয়োগের জন্য পশ্চিমাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
নিপ্রোপেত্রভক্সের গর্ভনর সেরহি লিসাক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বার্তা আদানপ্রদানের অ্যাপ টেলিগ্রামে লিখেছেন, শুক্রবারের হামলায় সেখানকার আবাসিক এলাকার কয়েকটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাও ঘটেছে।
নিপ্রোপেত্রভক্সের গর্ভনর আরো বলেন, জরুরি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো জানিয়েছে হামলায় অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। ইতিমধ্যে ৪০ জনেরও বেশি আহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৩ মাসের শিশুও রয়েছে।
স্থানীয় একটি মানবাধিকার সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, হামলায় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে রুশ বাহিনী। এই ধরনের অস্ত্র লক্ষ্যবস্তুতে পৌঁছাতে মাত্র কয়েক মিনিট সময় নেয়। অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ছাড়া এগুলো ধ্বংস করা কঠিন।
ক্রিভি রিহ পূর্ব ইউক্রেনের ফ্রন্ট লাইন থেকে প্রায় ৪০ মাইল (৭০ কিমি) দূরে অবস্থিত এবং ৬০০,০০০ জনসংখ্যার এই শহরটি ইউরোপের দীর্ঘতম শহর হিসেবে পরিচিত।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র শ য় ইউক র ন য দ ধ ইউক র ন ইউক র ন র
এছাড়াও পড়ুন:
অমর একুশে বইমেলা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক
অমর একুশে বইমেলা বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের মেলা। মূলত প্রকাশকদের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ উত্তর বাংলাদেশে এই বইমেলার সূত্রপাত। সম্প্রতি এই বইমেলা নানা কারণে-অকারণে ডিসেম্বরে করার কথা শোনা যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে সুস্পষ্টভাবে বলতেই হচ্ছে -ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলা করা যাবে না। কারণ সেসময় সারাদেশে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা চলবে।
বইমেলার প্রধান পাঠক আমাদের শিক্ষার্থী। তারা ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলায় আসতে পারবে না। প্রধান পাঠকই যদি মেলায় আসতে না পারে তাহলে মেলা প্রাণহীন হয়ে পড়বে। বইমেলায় অংশগ্রহণকারি প্রকাশকরাও ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে। তাছাড়া একুশের চেতনাকে ধারণ করে যে অমর একুশে বইমেলা, সেটা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক। ভাষা শহীদদরর প্রতি বইমেলার মাধ্যমে আমাদের যে শ্রদ্ধাঞ্জলি, তা অক্ষুন্ন থাকুক।
আরো পড়ুন:
রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী
‘গল্পকারের পছন্দের ৫০ গল্প’ গ্রন্থ প্রকাশিত
সর্বোপরি ৫ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, এই সময়ে বইমেলা হতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। অথবা তারিখ দুই একদিন এদিক-সেদিক করে নেয়া যেতে পারে। এ সময়ে রোজা নেই, নির্বাচনও নেই। নির্বাচনী ক্যাম্পেইন চলবে। এই মাঠে বইমেলা চলাকালীন সর্বদলীয় সিদ্ধান্তে কেউ সভা-সমাবেশ না করার সিদ্ধান্ত নিলে অনায়াসে এই সময়টাতে বইমেলা করা যেতে পারে। আমার বিশ্বাস- সব দলই অমর একুশে বইমেলার জন্য এই ছাড়টুকু দেবেন।
প্রায় পঞ্চাশ বছরের অধিক সময়ের প্রচেষ্টায় অমর একুশে বইমেলা মহিরুহ হয়ে আমাদের কাছে আবির্ভূত, হঠকারি কোন সিদ্ধান্তে তা যেনো ধ্বংস হওয়ার উপক্রম না হয়। জেনে শুনে বাঙালির এতো বড় একটি সাংস্কৃতিক উৎসবকে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না করে বরং তা যে কোন মূল্যে আমাদের রক্ষা করা উচিত।
জানুয়ারিতে বাণিজ্যমেলায়ও হয়ে থাকে। এতে অমর একুশে বইমেলার ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আমি তা মনে করি না। বইমেলার প্রধান পাঠক শিক্ষার্থী। তারা বইমেলায় আসার জন্য মুখিয়ে থাকে। বাণিজ্য মেলায় যাওয়ার লোকজন বেশির ভাগই আলাদা। তবে অনেকেই বইমেলা এবং বাণিজ্যমেলা দুটোতেই যান। এটা তারা ম্যানেজ করে নিতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।
আমি বলেছি শুধুমাত্র মেলার মাঠ প্রাঙ্গনে সভা-সমাবেশ না করার মাধ্যমে যদি সর্বদলীয় একটা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তাহলে জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মিলিয়ে বইমেলা করা সম্ভব।আমার মনে হয়, বইমেলা চলাকালীন এই মাঠ কোন দলকে সভা-সমাবেশের জন্য সরকার বরাদ্দ না দিলে, অথবা বইমেলা চলাকালীন দলগুলো নিজের থেকেই এই মাঠের বরাদ্দ না চাইলে সমস্যা আর থাকে না।
লেখক: প্রকাশক পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড
ঢাকা/লিপি