ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বেড়ে উঠেছেন দেশটির নিপ্রোপেত্রভক্স অঞ্চলের ক্রিভি রিহ শহরে। এ শহরের একটি আবাসিক এলাকায় রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ৯ শিশুসহ অন্তত ১৮ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো কয়েক ডজন।

আজ শনিবার কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার (৪ এপ্রিল) রুশ বাহিনী এই হামলা চালায়।  চলতি বছর এখন পর্যন্ত এটিই রাশিয়ার সবচেয়ে বড় প্রাণঘাতি হামলা। 

আরো পড়ুন:

ট্রাম্প-পুতিন আলোচনা চলতি সপ্তাহে

ট্রাম্পের অনুরোধের পর ইউক্রেনের সেনাদের আত্মসমর্পণের আহ্বান পুতিনের

রাশিয়া–ইউক্রেন সংঘাত বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উদ্যোগের মধ্যেই এ হামলার ঘটনা ঘটল। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি মস্কোর ওপর আরো চাপ প্রয়োগের জন্য পশ্চিমাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

নিপ্রোপেত্রভক্সের গর্ভনর সেরহি লিসাক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বার্তা আদানপ্রদানের অ্যাপ টেলিগ্রামে লিখেছেন, শুক্রবারের হামলায় সেখানকার আবাসিক এলাকার কয়েকটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাও ঘটেছে।

নিপ্রোপেত্রভক্সের গর্ভনর আরো বলেন, জরুরি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো জানিয়েছে হামলায় অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। ইতিমধ্যে ৪০ জনেরও বেশি আহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৩ মাসের শিশুও রয়েছে।

স্থানীয় একটি মানবাধিকার সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, হামলায় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে রুশ বাহিনী। এই ধরনের অস্ত্র লক্ষ্যবস্তুতে পৌঁছাতে মাত্র কয়েক মিনিট সময় নেয়। অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ছাড়া এগুলো ধ্বংস করা কঠিন।

ক্রিভি রিহ পূর্ব ইউক্রেনের ফ্রন্ট লাইন থেকে প্রায় ৪০ মাইল (৭০ কিমি) দূরে অবস্থিত এবং ৬০০,০০০ জনসংখ্যার এই শহরটি ইউরোপের দীর্ঘতম শহর হিসেবে পরিচিত।

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র শ য় ইউক র ন য দ ধ ইউক র ন ইউক র ন র

এছাড়াও পড়ুন:

কার্টুন, মিমে অভ্যুত্থানের ভিন্ন ধারার দৃশ্যায়ন

টাকার বস্তার ভেতর থেকে মাথা উঁচিয়ে আছেন শুভ্র কেশ, সফেদ দাড়ি, চশমা পরিহিত এক লোক। তাঁর ছবি দেখে তো বটেই, এই বর্ণনা থেকেও তাঁকে চিনবেন দেশবাসী। বর্তমানে কারাগারের বাসিন্দা পতিত স্বৈরশাসকের এই উপদেষ্টা বলছেন, ‘টাকার ওপর আমার বিশ্বাস উঠে গেছে।’ এই ছবির পাশেই এক কাটআউট। সেখানে ‘শেখ হাসিনা পালায় না’ বলতে বলতে দৌড়ে পালাচ্ছেন ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতার মসনদ থেকে উৎপাটিত শেখ হাসিনা।

এমন মজার মজার কার্টুন, মিম, গ্রাফিতি, ভিডিও স্থাপনাকর্মসহ বৈচিত্র্যময় সৃজনসম্ভার নিয়ে শুরু হয়েছে ‘বিদ্রূপে বিদ্রোহ’ নামের ব্যতিক্রমী এক প্রদর্শনী। আয়োজন করেছে অনলাইনভিত্তিক স্যাটায়ার সাময়িকী ‘ইয়ারকি’। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের লা গ্যালারিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দিনের এ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। সবার জন্য প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা।

গত বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে উত্তাল ছিল জুলাই। একটি বৈষম্যহীন, উদার গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য পথে নেমেছিলেন অগণিত মানুষ। শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকারকে উৎখাত করতে জীবন উৎসর্গ করেছেন তাঁদের অনেকে। আহত হয়েছেন বেশুমার। রক্তরঞ্জিত রাজপথ বেয়ে এসেছে জনতার বিজয়।

প্রদর্শনীতে প্রবেশপথটির দুই পাশে লাল রঙের পটভূমিতে বড় বড় ডিজিটাল পোস্টার। সেখানে ২ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিনের বিভিন্ন ঘটনার আলোকচিত্র, সংবাদপত্র, অনলাইন পোর্টাল, টেলিভিশনের রিপোর্ট, ছবি, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট—এসব তুলে আনা হয়েছে এ পোস্টারগুলোতে। প্রবেশপথটিও লাল রঙের। ‘জুলাই করিডর’ নামে এই রক্তিম পথটি বেয়ে দর্শনার্থীরা প্রদর্শনীতে প্রবেশের সময় অভ্যুত্থানের উত্তাল দিনগুলোর উত্তাপ ফিরে পাবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ