বন্দুকের প্রতি হয়তো তাঁর অন্য রকম একটা টান আছে। আর না হলে বারবার বন্দুকের ছবি বা ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দিয়ে কি নিষিদ্ধ হন জা মোরান্ট! শুধু কি তাই, ন্যাশনাল বাস্কেটবল অ্যাসোসিয়েশনের (এনবিএ) এই তারকা খেলোয়াড় আঙুল দিয়ে গুলি করার ভঙ্গি করে জরিমানাও গুনেছেন।

এনবিএর দল মেম্ফিস গ্রিজলিসের খেলোয়াড়কে ৭৫ হাজার মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৯০ লাখ টাকা) জরিমানা করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার এক বাস্কেটবল ম্যাচে দুবার তিনি আঙুল উঁচিয়ে বন্দুক দিয়ে গুলি করার ভঙ্গি করার কারণেই এই জরিমানা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে এনবিএ।

এর আগে তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বন্দুক দেখিয়ে দুবার নিষিদ্ধ হয়েছেন। এনবিএ জানিয়েছে, এর আগে মোরান্টকে লিগ অফিস থেকে এ ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছিল। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার মায়ামি হিটের বিপক্ষে গ্রিজলিসের জয়ের ম্যাচে সেই সতর্কতা মানেননি বলেই জরিমানা গুনতে হচ্ছে মোরান্টকে।

দুইবার এনবিএর অলস্টার দলে জায়গা পাওয়া মোরান্টকে গ্রিজলিস দলে ভেড়ায় ২০১৯ সালে। এরপর ২০২৩ সালে ইনস্টাগ্রামে বন্দুক নিয়ে উল্লাসরত লাইভ ভিডিও দিয়ে আট ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হন। এ ছাড়া ২০২৪-২৫ মৌসুমে অনলাইনে বন্দুক নিয়ে পোজ দেওয়া ছবির জন্য ২৫ ম্যাচ নিষিদ্ধ হয়েছিলেন মোরান্ট।

আরও পড়ুনখেলার দুনিয়ায় যত বিলিয়নিয়ার২ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: বন দ ক এনব এ

এছাড়াও পড়ুন:

খেলাপি ঋণ আরও বেড়ে ৪ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা

লুকানো খেলাপি ঋণের আসল চিত্র সামনে আসায় আরও বেড়েছে খেলাপি ঋণ। মার্চে খেলাপি ঋণ আরও বেড়ে হয়েছে ৪ লাখ ২০ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকা। মোট ঋণের যা ২৪ দশমিক ১৩ শতাংশ। তিন মাস আগে গত ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছিল তিন লাখ ৪৫ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকায়। মোট ঋণের যা ছিল ২০ দশমিক ২০ শতাংশ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর সাম্প্রতিক এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, খেলাপি ঋণের কোনো তথ্য আমরা লুকিয়ে রাখবো না। সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছানোর পর এটা আদায় জোরদারের মাধ্যমে কমানো হবে। নতুন করে বিতরণ করা ঋণ যেন খেলাপি না হয় সে জন্য বিভিন্ন আইনি কঠোরতা আনার কথা জানান তিনি।

আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে কয়েকটি গ্রুপ ঋণের নামে বিপুল অর্থ বের করে নিয়েছে। যাদের বেশিরভাগই এখন পলাতক। কেউ কেউ গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন। গত ৫ আগস্টের আগে ঋণ পরিশোধ না করেও বিভিন্ন উপায়ে নিয়মিত দেখানোর সুযোগ ছিল। তবে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর এখন সেই সুযোগ বন্ধ হওয়ায় এখন তারা খেলাপি। এরই মধ্যে এস আলম, বেক্সিমকোসহ শীর্ষ ঋণগ্রহীতাদের অনেকেই খেলাপিতে পরিণত হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত মার্চ পর্যন্ত বিতরণ করা মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৪১ হাজার ৯৯২ কোটি টাকা। গত ডিসেম্বর শেষে যা ছিল ১৭ লাখ ১১ হাজার ৪০২ কোটি টাকা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ