লাঙ্গলবন্দকে ধর্মীয় পর্যটন নগরী গড়তে শিগগিরই কাজ শুরু : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
Published: 5th, April 2025 GMT
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অবঃ) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, বিদেশী কিছু গণমাধ্যম অর্থ উপার্জনের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশকে নিয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করছে। তাদের অপপ্রচার রোধ করতে হলে দেশের গণমাধ্যম গুলোতে সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করতে হবে। তাহলে ওইসব বিদেশী গণমাধ্যমের মিথ্যা সংবাদের ওপর চুনকালি পড়বে।
শনিবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার লাঙ্গলবন্দে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মহাঅষ্টমী পূণ্যস্নান উৎসবের বিভিন্ন স্নান ঘাট পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা “বাংলাদেশের মতো ধর্মীয় ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি পৃথিবীর আর কোথাও নেই” এমন মন্তব্যও করেন।
তিনি জানান, লাঙ্গলবন্দের পূণ্যস্নান উৎসব এলাকাকে ধর্মীয় পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সাথে কথা হয়েছে। সেটি বাস্তবায়নে খুব শিগগিরই কাজ শুরু করা হবে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো.
সেই সাথে সকল রকমের ব্যবস্থা রয়েছে সেবার দেয়ার জন্য। আমরা সবাই একসাথে কাজ করছি। হিন্দু মুসলমান বৌদ্ধ খ্রিষ্টান কোনো ভেদাভেদ নেই। আমরা সবাই বাংলাদেশি। বাংলাদেশি হিসেবেই আমরা সবাই আসছি।
এ সময় পাশাপাশি এখানকার ধর্মীয় ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে সবার প্রতি আহ্বান জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অবঃ) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা, জেলা পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, স্লান উৎসব উপদেষ্টা কমিটির সদস্য শিখন সরকার শিপন, সংকর সাহা ও জয় কে রায় চৌধুরী বাপ্পি সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
ভালো ফলনের আশায় গাছকে খাওয়ান তাঁরা
চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পাহাড়ি প্রদেশ গুইঝৌতে প্রাচীনকাল থেকে ‘গেলাও’ জনগোষ্ঠীর বসবাস। ভিয়েতনামেও এই জনগোষ্ঠীর মানুষ বাস করেন। চীনে তাঁদের সংখ্যা প্রায় ৬ লাখ ৭৭ হাজার।
কৃষিনির্ভর গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা আজও প্রাচীনকালের পুরোনো এক ঐতিহ্য আগলে রেখেছেন। বছরের নির্দিষ্ট দিনে তাঁরা গাছকে খাওয়ান, যা চীনা ভাষায় ‘ওয়েই শু’ রীতি নামে পরিচিত।
এই প্রাচীন রীতি মূলত একধরনের প্রার্থনা। স্থানীয় অধিবাসীদের বিশ্বাস, এতে প্রকৃতি তুষ্ট হয়, ফসল ভালো হয়, পরিবারে শান্তি ও সমৃদ্ধি আসে। প্রতিবছর দুটি উৎসবের সময় এই অনুষ্ঠান পালন করা হয়—চীনা নববর্ষে, যা বসন্ত উৎসব নামে পরিচিত। আর গেলাও নববর্ষে, যা চান্দ্র পঞ্জিকার তৃতীয় মাসের তৃতীয় দিনে পালিত হয়।
অনুষ্ঠানের দিন সকালে আত্মীয়স্বজন ও গ্রামবাসী পাহাড়ের ঢালে জড়ো হন। তাঁরা সঙ্গে করে চাল থেকে তৈরি মদ, শূকরের মাংস, মাছ ও লাল আঠালো চাল নিয়ে আসেন। পাহাড়ে পৌঁছে প্রথমে আতশবাজি পোড়ানো হয়। এতে করে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
এর মধ্যেই একটি পুরোনো ও শক্তিশালী গাছ বাছাই করা হয়। এরপর সবাই ধূপ জ্বালিয়ে নতজানু হয়ে প্রার্থনা করেন। সবশেষে মূল পর্ব ‘গাছকে খাওয়ানো’ শুরু হয়।
একজন কুঠার বা ছুরি দিয়ে গাছে তিনটি জায়গায় ছোট করে কেটে দেন। সেই ক্ষতস্থানে চাল, মাংস ও মদ ঢেলে দেওয়া হয়, যাতে গাছ তাঁদের দেওয়া ভোগ গ্রহণ করতে পারে। পরে ওই জায়গা লাল কাগজে মুড়ে দেওয়া হয়।
এ ছাড়া গাছের গোড়া ঘিরে আগাছা পরিষ্কার করা হয়, মাটি আলগা করে দেওয়া হয়। এতে নতুন জীবনের বার্তা মেলে বলে মনে করেন গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা।
যে গাছকে খাওয়ানো হয়, সেটি যদি ফলদ হয়, তাহলে ভোগ দানকারীরা একটি আশাব্যঞ্জক শ্লোক উচ্চারণ করেন। বলেন, ‘তোমায় চাল খাওয়াই, ফল দিয়ো গুচ্ছ গুচ্ছ; তোমায় মাংস খাওয়াই, ফল দিয়ো দলা দলা।’