নদী পাড়ের অপেক্ষায় যানবাহনের দীর্ঘ সারি, ভোগান্তি
Published: 6th, April 2025 GMT
পরিবারের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি শেষে কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ। শনিবার কর্মস্থলগামী এসব মানুষের ঢল নামে গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায়। তাদের বয়ে আনা অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে ফেরিঘাট এলাকায় নদী পাড়ের অপেক্ষায় আটকা পড়ে অসংখ্য যানবাহন। তীব্র রোদ ও প্রচণ্ড গরমের মধ্যে আটকে পড়া যাত্রীরা চরম দুর্ভোগের শিকার হন।
ঈদের পর গত কয়েকদিন মানুষ কর্মস্থলে যাওয়া শুরু করলেও দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে পর্যাপ্ত ফেরি, লঞ্চ ও মহাসড়কে যানজট না থাকায় সহজেই ঘাট পার হয়ে কর্মস্থলে যেতে পেরেছে যাত্রীরা। তবে শনিবার দৌলতদিয়া ঘাটে ভিন্ন চিত্র দেখা যায়। সকাল থেকেই ঢাকাগামী যানবাহনের স্রোত শুরু হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে যানবাহনের সংখ্যা। শনিবার দুপুরের দিকে নদী পাড়ের অপেক্ষা যানবাহনের দীর্ঘ সারি সৃষ্টি হয়।
এদিকে দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাটের প্রবেশ পথের টিকিট কাউন্টারে উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়। এ সময় প্রতিটি লঞ্চ সক্ষমতার চেয়ে বেশী যাত্রী নিয়ে ছেড়ে যেতে দেখা যায়।
ফরিদপুর থেকে ঢাকাগামী যাত্রী শামীম হোসেন জানান, ঈদে ছুটি নিয়ে বাড়িতে এসেছিলাম। ছুটি শেষ, তাই বেলা ১১টার দিকে বাড়ি থেকে রওনা হয়ে দৌলতদিয়া লঞ্চঘাটে এসেছি। সবখানেই মানুষের ভিড়, তবে খুব বেশী ভোগান্তি হয়নি।
রাজবাড়ীর পাংশা থেকে ঢাকার সাভারগামী পোশাকশ্রমিক শাবানা খাতুন জানান, কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে ফেরি পারাপার বাসে রওনা দিয়ে প্রায় ১ ঘণ্টা ধরে ফেরিঘাটের সিরিয়ালে বসে আছি। আমাদের বাসটি এই মাত্র ফেরিতে উঠার সুযোগ পাচ্ছে। তীব্র গরমে বাসের মধ্যে বসে থেকে অসহনীয় দূর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।
মাগুরা থেকে ঢাকায় কর্মস্থলগামী শিহাব আহমেদ জানান, সব অফিস একসঙ্গে ছুটি শেষ হওয়ায় অতিরিক্ত চাপ পড়েছে। ৪০ মিনিটেরও বেশী সময় আমাদের পরিবহনটি সিরিয়ালে আটকে আছে। সময় হয়ত খুব বেশী না, তবে প্রচণ্ড গরমের কারণে শিশু বাচ্চাদের নিয়ে চরম বিপাকে পড়তে হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: দ লতদ য়
এছাড়াও পড়ুন:
একসঙ্গে জন্ম দেওয়া মোকসেদার ছয় সন্তানের পাঁচজনই মারা গেল
একসঙ্গে জন্ম দেওয়া মোকসেদা আক্তারের ছয় সন্তানের মধ্যে পাঁচজনই মারা গেল। গতকাল রোববার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে জন্ম নেওয়ার পরপরই একটি শিশু মারা যায়। আজ সোমবার দুপুর পর্যন্ত চিকিৎসাধীন অবস্থায় একে একে আরও চার নবজাতকের মৃত্যু হয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কর্মকর্তা মো. ফারুক প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার খাজুরিয়া গ্রামের মোকসেদা আক্তার রোববার সকালে একসঙ্গে এই ছয় সন্তানের জন্ম দেন। তাঁর স্বামী মো. হানিফ কাতারপ্রবাসী। মোকসেদা আক্তারের ননদ লিপি বেগম আজ প্রথম আলোকে বলেন, বেঁচে থাকা একমাত্র নবজাতকের অবস্থাও বেশি ভালো নয়।
ঢামেক হাসপাতালের গাইনি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, মোকসেদা তিন ছেলে ও তিন মেয়েসন্তান প্রসব করেন। সন্তানেরা ২৭ সপ্তাহ পূর্ণ হওয়ার আগেই জন্ম নেয়। জন্মের সময় প্রত্যেকের ওজন ছিল ৬০০ থেকে ৯০০ গ্রামে মধ্যে। এ কারণে তাদের সবার অবস্থাই ছিল সংকটজনক।
আরও পড়ুনঢাকা মেডিকেলে একসঙ্গে ছয় সন্তানের জন্ম, নবজাতকদের অবস্থা সংকটাপন্ন২২ ঘণ্টা আগেঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নবজাতক বিভাগে আইসিইউতে পর্যাপ্ত শয্যা খালি না থাকায় তিনজনকে অন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে বেঁচে থাকা একমাত্র নবজাতকটি বেসরকারি হাসপাতালে আছে।