থাই ওপেন সাঁতার চ্যাম্পিয়নশিপে ধারাবাহিক উন্নতির ছাপ রাখলেন বাংলাদেশের তরুণ সাঁতারু সামিউল ইসলাম। শনিবার ১০০ মিটার ব্যাকস্ট্রোকে ব্রোঞ্জ জয়ের পর রোববার ৫০ মিটার ব্যাকস্ট্রোকে রুপা জিতেছেন তিনি।

৫০ মিটার ব্যাকস্ট্রোকে দ্বিতীয় হয়ে সামিউল সময় নিয়েছেন ২৭.১৭ সেকেন্ড, যা এই ইভেন্টে তার ক্যারিয়ার সেরা টাইমিং। এর আগে তার সেরা টাইমিং ছিল ২৭.

২০ সেকেন্ড। ইভেন্টটিতে সোনা জিতেছেন থাইল্যান্ডের তোনাম, যার সময় ছিল ২৬.৫৬ সেকেন্ড। ব্রোঞ্জ জিতেছেন তুর্কমিনিস্তানের গুরবান, সময় ২৭.২০ সেকেন্ড।

বর্তমানে থাইল্যান্ডে বিশ্ব সাঁতার ফেডারেশনের (ওয়ার্ল্ড অ্যাকুয়াটিকস) বৃত্তি নিয়ে উন্নত প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন সামিউল। সেই সঙ্গে নিয়মিত আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েও নিজের পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা বজায় রাখছেন তিনি।

এই মাসেই সামিউল অংশ নেবেন মালয়েশিয়ান ওপেন সাঁতার চ্যাম্পিয়নশিপে। আগামী ২৪ থেকে ২৭ এপ্রিল কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠেয় এই প্রতিযোগিতায় মালয়েশিয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, মালদ্বীপ, ডেনমার্ক, যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো, তাজিকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া ও ঘানাসহ প্রায় ৩০টি দেশের সাঁতারুরা অংশ নেবেন। উল্লেখ্য, গত বছর এই প্রতিযোগিতায় রুপা জিতেছিলেন সামিউল।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ম উল

এছাড়াও পড়ুন:

সরকারের ভেতরে একটা অংশ নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে: এনসিপি

সরকারের ভেতরের একটি পক্ষ ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশের বাইরে গিয়ে নিজেরাই ঐকমত্য কমিশন হওয়ার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেন, এই চেষ্টার কারণে নির্বাচন ঝুঁকিতে পড়বে।

আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আখতার হোসেন এ কথা বলেন।

আখতার হোসেন বলেন, তাঁদের কাছে স্পষ্টতই প্রতীয়মান যে সরকারের ভেতরের কোনো একটা অংশ সংস্কারকে ভন্ডুল করে নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে।

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ–আলোচনার ভিত্তিতেই কমিশন সুপারিশ উপস্থাপন করেছে উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সেই সুপারিশের ভিত্তিতেই সরকার আদেশ জারি করবে, সেটাই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যখন সরকারের তরফ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে আরও এক সপ্তাহ রাজনৈতিক দলগুলোকে আলাপ–আলোচনার কথা বলা হয়, তখন মনে হয় যে সরকার আসলে এই সংস্কারের বিষয়গুলো নিয়ে সাপ-লুডো খেলছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ৯৬-তে পৌঁছে গিয়েছিলাম, সেটাকে আবার তিনে নিয়ে আসা হয়েছে সাপ কেটে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের বর্তমান যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি, তাতে সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে।’

অতি দ্রুত সরকারকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানিয়ে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সরকারকে নিজেকেই দায়িত্ব নিয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করতে হবে। সামনের সংসদকে গাঠনিক ক্ষমতা প্রদান করার মধ্য দিয়ে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। গণভোটের মাধ্যমে অর্জিত জনগণের অভিপ্রায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে যেন বাস্তবায়িত হয়, সেই সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ