শরিয়তপুরে ককটেল বিস্ফোরণ, প্রধান অভিযুক্ত গ্রেপ্তার
Published: 6th, April 2025 GMT
শরীয়তপুরের জাজিরায় দুই পক্ষের সংঘর্ষ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত কুদ্দুস ব্যাপারীকে ওরফে বোমা কুদ্দুসকে (৫৪) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। ঢাকার শাহজাহানপুর থেকে র্যাব-৮ ও ৩ যৌথ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।
রবিবার (৬ এপ্রিল) বিকেলে বরিশাল নগরীর রূপাতলীর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাব-৮ অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নিস্তার আহমেদ।
আরো পড়ুন: আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ৭
আরো পড়ুন:
জলাশয় ইজারার বিরোধ নিয়ে সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক আহত
রংপুরে বিএনপির দু’গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত ৫
গ্রেপ্তার কুদ্দুস ব্যাপারীর বিরুদ্ধে শরীয়তপুর জেলার জাজিরা থানায় বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে ১৯টি এবং ঢাকা মহানগরের বিমানবন্দর ও ভাটারা থানায় একটি করে মামলা রয়েছে।
আরো পড়ুন: শরীয়তপুরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৬
গতকাল শনিবার (৫ এপ্রিল) সকালে পূর্ব বিরোধের জেরে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় দুই পক্ষের মধ্যে দুই দফায় সংঘর্ষ হয়। এসময় একের পর এক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটনো হয়। এ ঘটনায় জাজিরা থানায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করে।
আরো পড়ুন: আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষ, শতাধিক হাতবোমা বিস্ফোরণ
লেফটেন্যান্ট কর্নেল নিস্তার আহমেদ জানান, শরীয়তপুর জেলার জাজিরা থানাধীন বিলাসপুর ইউনিয়ন পরিষদের গত নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে কুদ্দুস ব্যাপারী এবং জলিল মাতবর প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। নির্বাচনে কুদ্দুস ব্যাপারী জয়ী হন। এরপর থেকেই কুদ্দুস ব্যাপারী ও জলিল মাতবরের সমর্থকদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। বিরোধের জেরে দুই পক্ষ আগেও সংঘর্ষে জড়িয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বিলাসপুর ইউনিয়নের কাজিয়ারচর গ্রামের জসিম ইঞ্জিনিয়ারের বাড়ির সামনে দুই পক্ষ ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। পরে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে একই ইউনিয়নের মুলাই বেপারীকান্দি গ্রামের ফসলের মাঠে এলোপাতাড়ি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
ঢাকা/পলাশ/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সাকিবের পথে হাঁটছেন মিরাজ
সাকিব আল হাসানের সঙ্গে নিজের তুলনাকে মেহেদী হাসান মিরাজ হয়তো উপভোগই করেন। কারণ, তাঁর স্বপ্ন সাকিবের মতো বিশ্বনন্দিত অলরাউন্ডার হয়ে ওঠা। সেই পথে বোধ হয় গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। বিশেষ করে টেস্টে দেশে-বিদেশে সম্প্রতি ভালো করছেন। পাকিস্তানে দারুণ প্রশংসিত ছিলেন অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই টেস্টের হোম সিরিজে উভয় টেস্টে নিজেকে ছাপিয়ে গেলেন। সিলেটের হারের ম্যাচেও ১০ উইকেট ছিল তাঁর। চট্টগ্রামে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট নিয়ে সাকিব ও সোহাগ গাজীর কাতারে নাম লেখালেন। মূলত মিরাজের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ইনিংস ব্যবধানে টেস্ট জেতা সম্ভব হয়।
গতকাল শতকের ঘরে যেতে কম কসরত করতে হয়নি তাঁর। নব্বইয়ের ঘরে গিয়ে তো অনিশ্চয়তায় পড়ে গিয়েছিলেন হাসানের আউটের শঙ্কায়। ভাগ্য সুপ্রসন্ন হওয়ায় দ্বিতীয় শতকের দেখা পান তিনি। ২০২১ সালে এই চট্টগ্রামেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি ছিল মিরাজের। গতকালের পারফরম্যান্স নিয়ে টাইগার এ অলরাউন্ডার বলেন, ‘ব্যাটিংয়ের সময় চেষ্টা করেছিলাম ২ রান নিয়ে ১০০ রানে যেতে। সেভাবে দৌড় দিয়েছিলাম। কিন্তু ফিল্ডারের হাতে বল চলে গিয়েছিল (হাসি)। তার পর তো আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিয়েছিলাম। হাসান অনেক ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। তানজিমও ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। তাইজুল ভাইও। এই তিনজনকেই অনেক অনেক ধন্যবাদ। কারণ, ওদের জন্যই আমি ১০০ রান করতে পেরেছি।’
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে করা সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট প্রাপ্তিকে নিজের সেরা পারফরম্যান্স দাবি মিরাজের, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে ১০০ করেছিলাম, ৩ উইকেট নিয়েছিলাম। অল্পের জন্য ৫ উইকেট হয়নি। হলে ভালো লাগত। ওই ম্যাচ হেরেছিলাম এই মাঠে। সে জিনিসটা মাথায় ছিল। ভালো লাগছে ম্যাচটি জিতেছি।’ মিরাজ ১৬২ বলে ১১টি চার ও একটি ছয় মেরে ১০৪ রান করেন। ২১ ওভারে ৩২ রান দিয়ে নেন পাঁচ উইকেট।
টেস্টে এ রকম অলরাউন্ড পারফরম্যান্স বাংলাদেশে আর দু’জনের আছে। সাকিব আল হাসান দু’বার ম্যাচে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট পেয়েছেন ২০১১ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে মিরপুরে আর ২০১৪ সালে খুলনায়। সোহাগ গাজী নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট শিকার করেন চট্টগ্রামে। সেই মাইলফলক ছোঁয়া মিরাজকে সম্প্রতি অলরাউন্ডার ক্যাটেগরিতে ফেলা হয়। সাকিবের বিকল্প ভাবা হয় তাঁকে এখন।
এ ব্যাপারে মিরাজের অভিমত, ‘দেখেন একটা জিনিস, যখন সাকিব ভাই ছিলেন, ভিন্ন রোল ছিল। এখন ভিন্ন রোল। যেহেতু টিম ম্যানেজমেন্ট, সবাই ব্যাটিংয়ে আস্থা রাখে। আমিও ভেবেছি আমার ব্যাটিংটা গুরুত্বপূর্ণ। এখন হয়তো আমি লিডিং রোল প্লে করছি, আগে সাকিব ভাই করত। এখন আমাদের দায়িত্ব আরও বেশি।’
সিলেটে দুই ইনিংসে পাঁচ উইকেট করে নিয়েও দলকে জেতাতে পারেননি মিরাজ। চট্টগ্রামে সাদমান, তাইজুলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ম্যাচ জয়ের নায়ক হন। এই সাফল্য নিয়ে বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, প্রথম ম্যাচ হারার পর যেভাবে কামব্যাক করেছি, এটা খুবই দরকার ছিল। আমাদের সবাই ভেবেছিল, আমরা ভালো করব।’ মিরাজ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন কোচিং স্টাফ ও সতীর্থের কাছে। আর তাঁর কাছে কৃতজ্ঞতা পুরো দলের।