সিলেটে একাধিক বাটার শো রুম ও কেএফসিতে ভাঙচুর
Published: 7th, April 2025 GMT
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদ মিছিল থেকে সিলেট নগরীর একাধিক বাটার জুতোর শো রুম ও কেএফসিতে হামলা করা হয়েছে।
সোমবার বিকেল ৩টা থেকে বিকেল ৫টার মধ্যে নগরীর জিন্দাবাজার, দরগাগেট ও মীরবক্সটুলা এলাকার শো রুমে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়।
ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠান দাবি করে বিকেল ৩টার দিকে বিক্ষুব্ধ জনতা মীরবক্সটুলা এলাকার রয়েল মার্ক হোটেলের দ্বিতীয় তলায় অবস্থিত কেএফসিতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ও ভেতরের প্রবেশ করে ভাঙচুর চালায়। হামলার সময় কোমল পানীয়বাহী একটি পিকআপ ট্রাক সেখানে পৌঁছালে বিক্ষুব্ধ জনতার কবলে পড়ে সেটি। ট্রাক থেকে বিভিন্ন কোমল পানীয় বের করে রাস্তায় ফেলে দেয় তারা। বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত রাস্তায় অবস্থান নিয়ে লোকজন ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে দেখা গেছে। ওই সময় রেস্টুরেন্টটি বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ।
বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে দরগা গেট এলাকার বাটা ও পৌনে ৫টার দিকে জিন্দাবাজার মোড়ে অবস্থিত বাটার শো রুম ভাঙচুর করা হয়। ওই সময় শতশত জনতা শো রুমের সামনে বিক্ষোভ করে। এছাড়া জিন্দাবাজারের অপর শো রুম, একই এলাকার এপেক্স গ্যালারিসহ বন্দরবাজারের বাটার দোকানেও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ক্ষুব্ধ জনতা।
এছাড়া হাউজিং এস্টেটেটের রাস্তার মুখে একটি খাদ্য প্রতিষ্ঠান থেকে কোকাকোলা বের করে রাস্তায় ফেলে দিয়েছে জনতা।
তারা অভিযোগ করে বলেন, বাটা ও কেএফসি প্রতিষ্ঠানটি ইসরাইলের। যারা নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের গণহত্যাকারী। তাদের প্রতিষ্ঠানের ঠাঁই হবে না এ দেশে।
মহানগর পুলিশের ডিসি (উত্তর) দেবাশীষ রায় জানিয়েছেন পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকার তেজগাঁওয়ে ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় ট্রাকের ধাক্কায় এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন।
গতকাল রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে তেজগাঁও সাউদার্ন পাম্পের পাশে সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
নিহত খন্দকার সাইদুর রহমান (৩৮) পেশায় মার্চেন্ডাইজার ছিলেন। তাঁর বাড়ি ঢাকার পল্লবীর বাউনিয়ার আলাবদিরটেক এলাকায়। তাঁর বাবার নাম খন্দকার মোফাজ্জল হায়দার।
মৃতের ভাই মোস্তাফিজুর রহমান জানান, রাতে সাইদুর মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন। পথে একটি ট্রাকের ধাক্কায় তিনি গুরুতর আহত হন। পথচারীরা তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মোটরসাইকেলে সাইদুরের সঙ্গে তাঁর এক সহকর্মীও ছিলেন। তবে তিনি অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান বলে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল্লাহ আল মারুফ জানিয়েছেন।
আবদুল্লাহ আল মারুফ বলেন, যে ট্রাকটি সাইদুরের মোটরসাইকেলে ধাক্কা দিয়েছিল, তা আটক করা হয়েছে, তবে এর চালক পালিয়ে গেছেন।
পরিবারের লিখিত আবেদনের ভিত্তিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই সাইদুরের মরদেহ তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা আল মারুফ।