মাঠে ফিরেই নির্বাচকদের দিকে নাসিরের আঙুল
Published: 7th, April 2025 GMT
লাল সবুজের জার্সিতে নাসির হোসেন সবশেষ খেলেছেন ২০১৮ সালে। ক্যারিয়ার জুড়ে নানান বিতর্কের সঙ্গে টি-টেনে অসদচারণের জন্য আইসিসির নিষেধাজ্ঞা ইঙ্গিত দিয়েছিল তাঁর ক্যারিয়ারের ইতির। না, তা হয়নি।
নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ঢাকা লিগ দিয়ে নাসিরের প্রত্যাবর্তন ঘটে। সোমবার (৭ এপ্রিল) হোম অব ক্রিকেটে গাজী গ্রুপ-রূপগঞ্জ টাইগার্স ম্যাচ ছাপিয়ে ম্যাচটি হয়ে যায় নাসিরময়। পারফরম্যান্সে আলো ছাড়াতে পারেননি, তবে ফিরতে পেরেই নাসির ছিলেন উৎফুল্ল।
আরো পড়ুন:
শান্তদের জিম্বাবুয়ে সিরিজের ক্যাম্পে ছাড়তে চায় না ক্লাবগুলো
ওয়াসিম-ইমরান পারলে তাসকিন কেন পারবে না, সুজনের প্রশ্ন
সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে নাসির কেবল নানা প্রশ্নের উত্তর দেননি, সংবাদমাধ্যমের কাজ কেমন হওয়া উচিত সেটিও বলেছেন অবলীলায়। নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে বলতে গিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন মিনহাজুল আবেদীন নান্নুর তৎকালীন নির্বাচক প্যানেলকে।
নাসির বলেন, “আমার মনে হয়, আপনি যখন নির্বাচক প্যানেলে থাকবেন.
“দুই বছর পরপর বদলালে, আমার চোখে যাকে ভালো লাগত না, অন্য কারও চোখে তাকে ভালো লাগতেও পারে। আপনি যদি এখন ৯-১০ বছর ধরে একই জায়গায় থাকেন, যাকে ভালো লাগবে না, তার তো ক্যারিয়ারই শেষ হয়ে গেল প্রায়। আমি মনে করি, আমার ক্ষেত্রে এই জিনিসটা হয়েছে। আমি যদি ৫টা সুযোগ পাই, বাকিদেরও ৫টা সুযোগই পাওয়া উচিত। এমন না হয় যেন, ওরা ২০টা সুযোগ পেল, আমি ৫টা সুযোগ পেলাম। আমার মনে হয়, আমার ক্ষেত্রে এই জিনিসটাই হয়েছে।”- আরো যোগ করেন নাসির।
নিষিদ্ধ হওয়ার আগে ২০২৩ সালের বিপিএলে দুর্দান্ত খেলেছিলেন নাসির। ঢাকার জার্সিতে ১২ ম্যাচে নাসির ৩৬৬ রান করেছিলেন। ৪৫.৭৫ গড়ে ১২০ স্ট্রাইকরেটে ছন্দময় ব্যাটিং করেছেন পুরো আসর জুড়েই। ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বোলিংয়েও সমান সাফল্য পেয়েছিলেন। ১২ ম্যাচে ১৬ উইকেট নিয়ে টুর্নামেন্টে দলের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি ছিলেন তিনি।
এরপরেও পরবর্তীতে ইংল্যান্ড সিরিজে জায়গা হয়নি। কয়েক মাস পরেই আসে নিষেধাজ্ঞা। বাংলাদেশের হয়ে ১৯টি টেস্ট, ৬৫টি ওয়ানডে ও ৩১টি টেস্ট খেলেছেন নাসির। এখনো স্বপ্ন দেখেন জাতীয় দলের।
“আমার মনে হয় যারা ক্রিকেট খেলে, জাতীয় দলে খেলার জন্যই খেলে। আমিও স্বপ্ন দেখি। এটা বিশ্বাস করি, এখনও সুযোগ আছে। যদি পারফর্ম করতে পারি অবশ্যই জাতীয় দলে খেলতে পারব। আপনি পারফর্ম করলে সেটার মূল্যায়ন যদি ক্রিকেট বোর্ড করে, তাহলে আপনি পারফর্ম করতে পারবেন।”
এই প্রসঙ্গ আসতেই যেন নির্বাচক-বোর্ডকে এক প্রকার বার্তা দিয়ে রাখেন নাসির, “যদি দেখেন, যেবার আমি বিপিএল ভালো খেললাম, এরপর কিন্তু 'এ' দল বা টাইগার্স বা প্রস্তুতি ম্যাচ- কোথাও আমাকে ডাকেনি। তো আপনি যদি পারফর্ম করার পর এসব জায়গায় না ডাকে, তাহলে জাতীয় দলে কীভাবে খেলবেন? অবশ্যই স্বপ্ন দেখি জাতীয় দলে খেলার। এটা বিশ্বাস করি, পারফর্ম করলে অবশ্যই সুযোগ আসবে।”
নির্বাচকরা কি তাকে পছন্দ করতেন না? নাসিরের স্পষ্ট উত্তর, “হইতে পারে। আমার কাছে তা-ই (পছন্দ হয়নি দেখে সুযোগ পাইনি) মনে হয়।”
ঢাকা/রিয়াদ/নাভিদ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সাকিবকে এখনও দেশের সবচেয়ে বড় তারকা মানেন তামিম
সাকিব আল হাসানের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে মুখ খুলেছেন তামিম ইকবাল। সমকালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, তারকা খ্যাতি বা ব্যক্তিগত সাফল্য নয়, এই দুই তারকার দূরত্বের পেছনে অন্য কারণ কাজ করেছে। তবে সেই দূরত্ব ঘোচানোর জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) কোনও উদ্যোগ নেয়নি বলেও আক্ষেপ করেছেন তিনি।
তামিম বলেন, ‘অনেকে বলে, কে কার চেয়ে সেরা। কার এনডোর্সমেন্ট বেশি। এগুলো কিছুই আমাদের সম্পর্ককে প্রভাবিত করেনি। আমি সব সময় বলেছি, বাংলাদেশের স্পোর্টসে সবচেয়ে বড় তারকা সাকিব। আমি নিজেই যখন এটা বলি, তখন তারকা খ্যাতি সম্পর্কের অবনতির কারণ হতে পারে না।’
তিনি জানান, বিসিবির পক্ষ থেকে চেষ্টা করা হলে সাকিব ও তার মধ্যকার দূরত্ব কমত। ‘তারা আলাদাভাবে কথা বলেছেন, কিন্তু দু’জনকে একসঙ্গে বসিয়ে কথা বলার চেষ্টা করেননি’, বলেন তামিম।
তামিম আরও বলেন, অধিনায়ক থাকার সময় সম্পর্কটা স্বাভাবিক করতে তিনি নিজেই চেষ্টা করেছেন। যদিও সে চেষ্টা তখন সফল হয়নি, ভবিষ্যতে সম্পর্ক উন্নয়নের সম্ভাবনা এখনও তিনি দেখেন।
এমনকি নিজের অসুস্থতার সময় সাকিবের সহানুভূতিশীল আচরণের কথাও কৃতজ্ঞচিত্তে স্বীকার করেন তামিম। বলেন, ‘আমার অসুস্থতার সময়ে সাকিব তার ফেসবুকে দোয়ার অনুরোধ করেছিল। তার বাবা-মা হাসপাতালে আমাকে দেখতে গিয়েছেন। আমরা দু’জনই পরিণত। সামনাসামনি হলে এবং নিজেদের মধ্যে কথা হলে সম্পর্ক উন্নত হতে পারে।’
তামিমের এই মন্তব্যেই বোঝা যায়, ব্যক্তিগত বিরোধ থাকলেও তামিম এখনও চান সাকিবের সঙ্গে তার সম্পর্কটা সুস্থতায় ফিরুক।