খুলনায় বাটা, কেএফসি ও ডমিনো’স পিৎজার শো রুমে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (৭ এপ্রিল) পৃথকভাবে নগরীর শিববাড়ি ও ময়লাপোতা এলাকায় ইসরাইল বিরোধী বিক্ষোভ থেকে বিক্ষুব্ধ জনতা এ হামলা চালায়। এ সময় লুটপাটের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। 

এদিকে, হামলার পর সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন রয়েছে বলে জানান খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি (মিডিয়া) মো.

আহসান হাবীব।

জানা গেছে, নগরীর শিববাড়ি মোড়ে হোটেল টাইগার গার্ডেনে অবস্থিত বাটা শোরুমে বিক্ষুব্ধ জনতা ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়েছে। বর্তমানের শোরুমটি ত্রিপল দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। ঘটনার পর পুলিশ, র‍্যাব এবং যৌথ বাহিনী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। হামলার পর বাটা শোরুমের সামনে পুলিশ এবং র‍্যাবের সদস্যরা অবস্থান করতে দেখা যায়।

আরো পড়ুন:

মাদারীপুরে হামলায় আহত ইউপি সদস্যের মৃত্যু

ছাত্র আন্দোলনে চোখ হারানো কিশোরকে কুপিয়ে জখম

খুলনার ময়লাপোতা মোড়ে অবস্থিত কেএফসি ও ডমিনো’স পিৎজার ব্রাঞ্চ ভাঙচুর করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা। এদিন বিকেল ৩টায় ইসরাইলের বর্বোচিত হামলা ও হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল শেষে বিক্ষুব্ধ জনতার একাংশ কেএফসি ও ডমিনো’স পিৎজার ব্রাঞ্চে হামলা চালায়। এ সময় বাইরের গ্লাস এবং ভেতরের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে দোতলা থেকে নিচে ফেলে দেন হামলাকারীরা। 

ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে অন্তর নামে বাটার একজন কর্মচারী বলেন, “মাগরিবের নামাজের পর দেড়শ থেকে দুইশ বিক্ষুব্ধ জনতা শোরুমের ভেতর ঢুকে ভাঙচুর শুরু করে। এ সময় শোরুমের ম্যানেজার মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বাধা দিতে গেলে তাকে মারধর করে আহত করা হয়। এছাড়া একজন নিরাপত্তা কর্মীও আহত হয়েছে।”

তিনি বলেন, “হামলাকারীরা শোরুমের ৮০ শতাংশ মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়। যার আনুমানিক মূল্য ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা। এছাড়া হামলাকারীরা শোরুমের অধিকাংশ আসবাবপত্র, চেয়ার, টেবিল, গ্লাস, কম্পিউটার ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে হামলাকারীরা দ্রুত পালিয়ে যায়।”

সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শোরুমটি ত্রিপল দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। শোরুমের সামনে পুলিশ এবং র‍্যাবের সদস্যরা অবস্থান করছে। যৌথবাহিনী রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অভ য গ ব ক ষ ব ধ জনত অবস থ সদস য ক এফস

এছাড়াও পড়ুন:

৪৪তম বিসিএসের ৪০০ রিপিট ক্যাডার বাদ দিচ্ছে সরকার, নতুন সিদ্ধান্ত আসছে

৪৪তম বিসিএসে পুনরাবৃত্তি হওয়া ৪০০ ক্যাডারকে বাদ দেওয়া হচ্ছে। তারা ৪৩তম বিসিএসে বা আগের বিসিএসে যে ক্যাডারে আছেন ৪৪তম বিসিএসেও একই ক্যাডার পেয়েছিলেন। এই ৪০০ ক্যাডারকে নিয়ে সিদ্ধান্ত দ্রুতই হবে বলে জানিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা।

প্রথম আলোকে ওই কর্মকর্তা আজ বৃহস্পতিবার বলেন, ৪০০ ক্যাডারকে নিয়ে পিএসসির কিছু সুপারিশ আমরা পেয়েছি। এগুলো বাদ দিতে সরকার কাজ করছে। বাদ দিলে কি করা হবে তা নিয়েও কাজ করছে সরকার। এখন পিএসসিকে এ বিষয় নিয়ে একটি মতামত দিতে বলা হয়েছে। পেলেই তা পর্যালোচনা করে এ বিষয়ে প্রজ্জাপন দেওয়া হবে। এটি যাতে স্থায়ীভাবে বন্ধ হয় সেজন্য আমরা কাজ করছি।

আরও পড়ুন৪৯তম বিসিএস: অনলাইন আবেদন ও ফি জমাদানে পিএসসির নতুন নির্দেশনা৩০ জুলাই ২০২৫

৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল ৩০ জুন প্রকাশিত হয়। এতে বিভিন্ন ক্যাডারে ১ হাজার ৬৯০ জনকে নিয়োগের জন্য সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) সাময়িকভাবে মনোনীত করেছে।

প্রকাশিত ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ১ হাজার ৬৯০ জনের মধ্যে প্রায় ৪০০ জন প্রার্থী একাধিকবার বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে একই ক্যাডারে পুনরায় সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন (রিপিট ক্যাডার)। এই ৪০০ জনের তালিকা পেয়েছে পিএসসি। এই রিপিট ক্যাডার বন্ধে বিধি সংশোধন করা হচ্ছে। এ–সংক্রান্ত চিঠি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠায় পিএসসি।

পিএসসি জনপ্রশাসনের চিঠিতে বলছে, এই রিপিট ক্যাডারের ফলে নতুন ও অপেক্ষমাণ মেধাবীরা সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এটি প্রশাসনিক কাঠামো ও জনসম্পদের সদ্ব্যবহারে বাধা সৃষ্টি করছে। এখন এটি অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।

একাধিকবার বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে একই ক্যাডারে পুনরায় সুপারিশপ্রাপ্ত হওয়া বন্ধ করার জন্য বিদ্যমান বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালা ২০১৪–এর বিধি-১৭ এর শেষে নিম্নোক্ত শর্ত যুক্ত করার প্রস্তাব করেছে পিএসসি।

আরও পড়ুনসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের ৩৪০০০ শূন্য পদ পূরণে উদ্যোগ২৯ জুলাই ২০২৫শর্তে কী আছে—

পিএসসির চিঠিতে শর্ত হিসেবে বলা আছে, ‘তবে শর্ত থাকে যে এই বিধির আওতাধীন সরকারের নিকট সুপারিশ প্রেরণ করিবার প্রাক্কালে, কিংবা কোনো বিসিএস পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল প্রস্তুতকালে, সংশ্লিষ্ট প্রার্থী কর্তৃক প্রদত্ত লিখিত তথ্যের ভিত্তিতে কিংবা কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত কোনো পদ্ধতির মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে যদি কমিশনের নিকট প্রতীয়মান হয় যে এই বিধির আওতাধীন মনোনয়নযোগ্য কিংবা মনোনীত কোনো প্রার্থী একই ক্যাডার পদ, সমপদ কিংবা প্রার্থীর আগ্রহ নেই এমন কোনো সার্ভিস বা ক্যাডার পদে পুনরায় মনোনীত হইবার কারণে মনোনীত সার্ভিসে বা ক্যাডার পদে যোগদান করিতে অনিচ্ছুক, এইরূপ ক্ষেত্রে কমিশন অনাগ্রহ প্রকাশকারী প্রার্থীকে এই বিধির আওতাধীন সরকারের নিকট সুপারিশ করা হইতে বিরত থাকিতে পারিবে; আরও শর্ত থাকে যে প্রথম শর্তাংশে বর্ণিত বিধান অনুযায়ী কোনো প্রার্থীকে সুপারিশ করা হইতে বিরত থাকিবার কারণে উদ্ধৃত শূন্য পদে নিয়োগের লক্ষ্যে সুপারিশ প্রেরণ করিবার জন্য উত্তীর্ণ প্রার্থিগণের মধ্য হইতে মেধাক্রম অনুযায়ী প্রার্থী নির্বাচনপূর্বক কমিশন সম্পূরক ফলাফল প্রকাশ এবং সার্ভিসে বা ক্যাডার পদে নিয়োগের জন্য সরকারের নিকট সুপারিশ প্রেরণ করিতে পারিবে;আরও অধিকতর শর্ত থাকে যে দ্বিতীয় শর্তাংশে উল্লিখিত সম্পূরক ফলাফল দ্বারা বা উহার পরিণতিতে প্রথম ঘোষিত ফলাফলে সার্ভিস বা ক্যাডার পদের জন্য মনোনীত কোনো প্রার্থীর প্রতিকূলে কোনো পরিবর্তন ঘটানো কিংবা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যাইবে না।’

আরও পড়ুনবস্ত্র অধিদপ্তরে বড় নিয়োগ, চাকরির সুযোগ ১৯০ জনের২৯ জুলাই ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ