খুলনায় বাটা ও কেএফসি’র শো রুমে হামলা-ভাঙচুর
Published: 7th, April 2025 GMT
খুলনায় বাটা, কেএফসি ও ডমিনো’স পিৎজার শো রুমে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (৭ এপ্রিল) পৃথকভাবে নগরীর শিববাড়ি ও ময়লাপোতা এলাকায় ইসরাইল বিরোধী বিক্ষোভ থেকে বিক্ষুব্ধ জনতা এ হামলা চালায়। এ সময় লুটপাটের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে, হামলার পর সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন রয়েছে বলে জানান খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি (মিডিয়া) মো.
জানা গেছে, নগরীর শিববাড়ি মোড়ে হোটেল টাইগার গার্ডেনে অবস্থিত বাটা শোরুমে বিক্ষুব্ধ জনতা ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়েছে। বর্তমানের শোরুমটি ত্রিপল দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। ঘটনার পর পুলিশ, র্যাব এবং যৌথ বাহিনী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। হামলার পর বাটা শোরুমের সামনে পুলিশ এবং র্যাবের সদস্যরা অবস্থান করতে দেখা যায়।
আরো পড়ুন:
মাদারীপুরে হামলায় আহত ইউপি সদস্যের মৃত্যু
ছাত্র আন্দোলনে চোখ হারানো কিশোরকে কুপিয়ে জখম
খুলনার ময়লাপোতা মোড়ে অবস্থিত কেএফসি ও ডমিনো’স পিৎজার ব্রাঞ্চ ভাঙচুর করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা। এদিন বিকেল ৩টায় ইসরাইলের বর্বোচিত হামলা ও হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল শেষে বিক্ষুব্ধ জনতার একাংশ কেএফসি ও ডমিনো’স পিৎজার ব্রাঞ্চে হামলা চালায়। এ সময় বাইরের গ্লাস এবং ভেতরের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে দোতলা থেকে নিচে ফেলে দেন হামলাকারীরা।
ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে অন্তর নামে বাটার একজন কর্মচারী বলেন, “মাগরিবের নামাজের পর দেড়শ থেকে দুইশ বিক্ষুব্ধ জনতা শোরুমের ভেতর ঢুকে ভাঙচুর শুরু করে। এ সময় শোরুমের ম্যানেজার মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বাধা দিতে গেলে তাকে মারধর করে আহত করা হয়। এছাড়া একজন নিরাপত্তা কর্মীও আহত হয়েছে।”
তিনি বলেন, “হামলাকারীরা শোরুমের ৮০ শতাংশ মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়। যার আনুমানিক মূল্য ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা। এছাড়া হামলাকারীরা শোরুমের অধিকাংশ আসবাবপত্র, চেয়ার, টেবিল, গ্লাস, কম্পিউটার ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে হামলাকারীরা দ্রুত পালিয়ে যায়।”
সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শোরুমটি ত্রিপল দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। শোরুমের সামনে পুলিশ এবং র্যাবের সদস্যরা অবস্থান করছে। যৌথবাহিনী রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অভ য গ ব ক ষ ব ধ জনত অবস থ সদস য ক এফস
এছাড়াও পড়ুন:
পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা ভিনগ্রহের বস্তু নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ইলন মাস্ক
গত জুলাই মাসে শনাক্ত হওয়া রহস্যময় ‘৩আই/অ্যাটলাস’ নামের আন্তনাক্ষত্রিক বস্তুর পরিচয় নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে বিজ্ঞানীদের মধ্যে। আমাদের সৌরজগতের মধ্যে থাকা বস্তুটি এমন আচরণ করছে, যা বিজ্ঞানীরা আগে কখনো দেখেননি। কারও ধারণা এটি ধূমকেতু, আবার কারও মতে ভিনগ্রহ থেকে আসা মহাকাশযান। উৎস ও পরিচয় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানাতে না পারলেও বস্তুটি পৃথিবীর জন্য কোনো হুমকি নয় বলে ধারণা করছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। তবে যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের খ্যাতনামা জ্যোতির্বিজ্ঞানী অভি লোব অভিযোগ করেছেন, নাসা বস্তুটির বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গোপন করছে। বিশাল আকারের অতিদ্রুতগামী মহাজাগতিক বস্তুটি অস্বাভাবিক রাসায়নিক উপাদান নিঃসরণ করছে, যা বিজ্ঞানের প্রচলিত ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করছে। অনেকের ধারণা, ৩আই/অ্যাটলাস কোনো কৃত্রিম উৎস থেকে তৈরি হতে পারে। এবার এই বিতর্কে নাম লিখিয়েছেন মহাকাশ সংস্থা স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইলন মাস্ক।
জনপ্রিয় মার্কিন পডকাস্ট দ্য জো রোগান এক্সপেরিয়েন্সে ইলন মাস্ক ৩আই/অ্যাটলাস নামের আন্তনাক্ষত্রিক বস্তু সম্পর্কে নিজের ভাবনা প্রকাশ করেছেন। বস্তুটি কোনো ভিনগ্রহের মহাকাশযান হতে পারে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ইলন মাস্ক বলেন, ‘আপনি যদি এটিকে সম্পূর্ণ নিকেল দিয়ে তৈরি করেন, তবে তা হবে একটি অত্যন্ত ভারী মহাকাশযান। এটি এমন একটি যান হতে পারে, যা একটি মহাদেশকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে পারে। তার চেয়েও খারাপ কিছু ঘটাতে পারে। যদি আমি ভিনগ্রহের কোনো প্রমাণ সম্পর্কে জানতে পারি, তাহলে কথা দিচ্ছি আপনার অনুষ্ঠানে আসব। আর এখানেই তা প্রকাশ করব।’
অভি লোবের দাবি, আন্তনাক্ষত্রিক বস্তুটি পৃথিবীর ওপর নজরদারি করতে পাঠানো ভিনগ্রহের কোনো মহাকাশযান হতে পারে। অস্বাভাবিক লেজযুক্ত বস্তুটি প্রতি সেকেন্ডে চার গ্রাম নিকেল নিঃসরণ করছে; যদিও সেখানে কোনো লোহার উপস্থিতি নেই। ধূমকেতুর ক্ষেত্রে এমন আচরণ আগে দেখা যায়নি।
জো রোগান তাঁর আলোচনায় ধূমকেতুর রহস্যময় বৈশিষ্ট্যের ওপর জোর দেন। ধূমকেতুর গ্যাসের মেঘে নিকেলের উপস্থিতি উল্লেখ করেন। এই ধাতু পৃথিবীতে প্রধানত শিল্পক্ষেত্রে ব্যবহৃত সংকর ধাতুতে পাওয়া যায়। অন্যদিকে ইলন মাস্ক নিকেলের উপস্থিতির একটি পার্থিব ব্যাখ্যা দেন। তিনি বলেন, অনেক ধূমকেতু ও গ্রহাণু প্রাথমিকভাবে নিকেল দিয়ে তৈরি। পৃথিবীতে যেখানে নিকেলখনি দেখা যায়, সেখানে আসলে অতীতে নিকেলসমৃদ্ধ কোনো গ্রহাণু বা ধূমকেতু আঘাত করেছিল।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া