ফরিদপুরের বাখুন্ডায় একটি যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে খাদে পড়ে ৬ জন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন। মঙ্গলবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কের জোবায়দা-করিম জুটমিলের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, ফরিদপুর থেকে মাদারীপুরগামী একটি বাস বাখুন্ডা জোবায়দা-করিম জুটমিলের পাশে খাদে পড়ে গেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

নিহতদের মধ্যে তিনজন পুরুষ ও দুইজন নারী বলে জানিয়েছেন ওসি।

স্থানীয়রা জানায়, টেকেরহাট থেকে ছেড়ে আসা ফরিদপুরগামী হাইডেক্স নামের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার খাদে পড়ে। স্থানীয়রা ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা উদ্ধার কাজ চালায়।

ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, দুর্ঘটনা কবলিত বাসটি আরেকটি বাসকে ওভারটেক করতে গিয়ে রাস্তার পাশে বিদ্যুতের খুঁটিতে ধাক্কা লেগে সড়কের পাশের খাদে পড়ে যায়। খবর পেয়ে দ্রুত উদ্ধার অভিযান শুরু করেন তারা।

তিনি বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত বাসে ৪০ জনের মতো যাত্রী ছিলো। এতে প্রায় সবাই আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সড়ক দ র ঘটন ন হত দ র ঘটন হয় ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

সরকারের ভেতরে একটা অংশ নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে: এনসিপি

সরকারের ভেতরের একটি পক্ষ ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশের বাইরে গিয়ে নিজেরাই ঐকমত্য কমিশন হওয়ার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেন, এই চেষ্টার কারণে নির্বাচন ঝুঁকিতে পড়বে।

আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আখতার হোসেন এ কথা বলেন।

আখতার হোসেন বলেন, তাঁদের কাছে স্পষ্টতই প্রতীয়মান যে সরকারের ভেতরের কোনো একটা অংশ সংস্কারকে ভন্ডুল করে নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে।

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ–আলোচনার ভিত্তিতেই কমিশন সুপারিশ উপস্থাপন করেছে উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সেই সুপারিশের ভিত্তিতেই সরকার আদেশ জারি করবে, সেটাই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যখন সরকারের তরফ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে আরও এক সপ্তাহ রাজনৈতিক দলগুলোকে আলাপ–আলোচনার কথা বলা হয়, তখন মনে হয় যে সরকার আসলে এই সংস্কারের বিষয়গুলো নিয়ে সাপ-লুডো খেলছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ৯৬-তে পৌঁছে গিয়েছিলাম, সেটাকে আবার তিনে নিয়ে আসা হয়েছে সাপ কেটে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের বর্তমান যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি, তাতে সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে।’

অতি দ্রুত সরকারকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানিয়ে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সরকারকে নিজেকেই দায়িত্ব নিয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করতে হবে। সামনের সংসদকে গাঠনিক ক্ষমতা প্রদান করার মধ্য দিয়ে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। গণভোটের মাধ্যমে অর্জিত জনগণের অভিপ্রায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে যেন বাস্তবায়িত হয়, সেই সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ