পাবিপ্রবির নির্মাণাধীন হল থেকে মরদেহ উদ্ধার
Published: 9th, April 2025 GMT
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) নির্মাণাধীন হল ভবনের ১০ম তলার একটি কক্ষ থেকে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার (৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় পাবনা সদর থানা পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ভবনটির নির্মাণ কাজ শেষ হলেও সেটি এখনও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) থেকে ভবনে বিভিন্ন প্রযুক্তিগত পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হয়। বুধবার সকালে হ্যামার টেস্টসহ অন্যান্য পরীক্ষা চালাতে গেলে ভবন পরীক্ষক দলের সদস্যরা তীব্র দুর্গন্ধ অনুভব করে এবং বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানান।
খবর পেয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে পাবনা সদর থানা ও জেলা পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটকে অবহিত করা হয়। পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় থানা পুলিশ, ডিবি, সিআইডি, ডিএসবি ও বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মীরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মরদেহটি ভবনের ১০ম তলার একটি রুমের মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখা যায়। গলায় ফাঁসের দড়ি ছিল। তবে দড়িটি ছেঁড়া দেখা গেছে।
পুলিশের ধারণা, মৃত্যুর পর দেহে ওজন বেড়ে যাওয়ায় দড়ি ছিঁড়ে লাশটি মেঝেতে পড়ে যেতে পারে। মৃতদেহটি পচে যাওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে পরিচয় শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ।
এ বিষয়ে পাবনা জেলা পুলিশ সুপার মো.
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম বলেন, “ভবন পরীক্ষকরা দুর্গন্ধ পেয়ে বিষয়টি আমাদের জানালে আমরা সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে অবহিত করি। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।”
ঢাকা/আতিক/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর ক ষ মরদ হ
এছাড়াও পড়ুন:
বগুড়ায় সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে ধরতে গিয়ে ছুরিকাহত ২ পুলিশ সদস্য
বগুড়ায় সাজাপ্রাপ্ত এক আসামি গ্রেপ্তার করতে গিয়ে আসামিপক্ষের লোকজনের হামলায় পুলিশের দুই সদস্য ছুরিকাহত হয়েছেন। আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বগুড়া পৌরসভার বারপুর (বড় কুমিড়া) এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ছুরিকাহত দুজন হলেন বগুড়ার উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির এটিএসআই জাহাঙ্গীর আলম ও কনস্টেবল মানিকুজ্জামান। স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
পুলিশ সূত্র জানায়, নিশাত নামে এক বছরের সাজা পাওয়া এক আসামিকে গ্রেপ্তার করতে বেলা ১১টার দিকে বারপুর এলাকায় যান পুলিশ সদস্য জাহাঙ্গীর আলম ও মানিকুজ্জামান। এ সময় আসামিসহ তাঁর লোকজন পুলিশের ওপর হামলা করেন এবং দুই পুলিশ সদস্য ছুরিকাহত হন। স্থানীয় লোকজন তাৎক্ষণিকভাবে দুজনকে উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান বাসির প্রথম আলোকে বলেন, ছুরিকাহত পুলিশের দুই সদস্যকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক আবদুল ওয়াদুদ বলেন, আহত পুলিশ সদস্যদের প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। তাঁদের অবস্থা এখনো শঙ্কামুক্ত নয়।