১২ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের আকাশে দেখা যাবে যেসব চমক
Published: 10th, April 2025 GMT
চৈত্রের খরতাপে পুড়ছে চারদিক। গরম বাড়লেও সন্ধ্যার পর আকাশে দেখা যাচ্ছে নানা ধরনের মহাজাগতিক দৃশ্য। আর তাই সময় করে সন্ধ্যার আকাশে চোখ রাখলেই আকাশে নানা চমক দেখার সুযোগ মিলবে। ১২ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের আকাশে যেসব চমক দেখা যাবে, সেগুলো জেনে নেওয়া যাক।
১০ এপ্রিলআজ বৃহস্পতিবার ঢাকার আকাশ থেকে এনজিসি ৫১২৮ গ্যালাক্সি দেখতে পাবেন সন্ধ্যা ৭টা ৪৩ মিনিট থেকে ভোররাত ৪টা ৩৭ মিনিট পর্যন্ত। এ ছাড়া সন্ধ্যার আকাশে মি৮১ ও এনজিসি ২৭২৬ গ্যালাক্সি দেখা যাবে। সন্ধ্যার আকাশে সবচেয়ে আলোকিত অবস্থায় দেখা যাবে ক্যানোপাস ও সিরিয়াস।
১১ এপ্রিলপশ্চিম আকাশে রাত আটটার পরে এম৮১, এনজিসি ৫১২৮, এম৮৩সহ বেশ কিছু গ্যালাক্সির উপস্থিতি থাকবে। পশ্চিম আকাশে বৃহস্পতি গ্রহ ও ইউরেনাস গ্রহের অবস্থা স্পষ্ট দেখা যাবে।
১২ এপ্রিলমধ্যরাতে এদিন আর্কটুরাস তারা করোনা বোরেয়ালিস তারকামণ্ডলে স্পষ্ট দেখা যাবে। ভোরের আকাশে চারটা থেকে শুক্র গ্রহ স্পষ্ট দেখা যাবে।
সূত্র: বিবিসি স্কাই অ্যাট নাইট ম্যাগাজিন, অ্যাস্ট্রোনমি, স্কাই অ্যান্ড টেলিস্কোপ ও স্কাই ম্যাপস
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
যশোরে ৪ আইনজীবীকে বহিষ্কার
যশোরে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চার আইনজীবীকে জেলা আইনজীবী সমিতি থেকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর।
অভিযুক্ত আইনজীবীরা হলেন- আব্দুর রাজ্জাক, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি, রফিকুল ইসলাম এবং তরফদার আব্দুল মুকিত।
জেলা আইনজীবী সমিতি সূত্র জানায়, ওই চার আইনজীবীর মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক এক এনজিওর ৪১ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাৎ করেন। ওই টাকা ফেরত দিতে তিনি অঙ্গীকার করে ১৫ লাখ টাকার একটি চেক দেন। কিন্তু পরবর্তীতে ওই চেক ডিজ অনার হয় এবং একই সাথে তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করেন। এ ঘটনায় মক্কেল আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।
অন্যদিকে, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি একটি জমি ক্রয় করেন। কিন্তু ওই জমির মালিককে পূর্ণাঙ্গ টাকা না দিয়ে তালবাহানা করেন। শেষমেষ আট লাখ টাকা না দেওয়ায় জমির মালিক আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।
এছাড়া, রফিকুল ইসলাম নিজে আইনজীবী হয়েও আরেক আইনজীবী নুরুল ইসলামকে নির্বাহী আদালতে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও লাঞ্ছিত করেন। এ ঘটনায় নুরুল ইসলাম অভিযোগ দেন। অন্যদিকে, তরফদার আব্দুল মুকিত এক মক্কেলের কাছ থেকে টাকা নিয়ে কাজ করেননি। এছাড়া তিনি ওই মক্কেলের কাগজপত্র আটকে রেখে জিম্মি করে রাখেন। বাধ্য হয়ে তিনি মুকিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন সমিতিতে।
এসব অভিযোগ জেলা আইনজীবী সমিতি পৃথকভাবে তদন্ত করে। একই সাথে চার আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর।
তিনি বলেন, “বৃহস্পতিবার লিখিতভাবে তাদেরকে নোটিশ দিয়ে অবগত করা হবে।”
ঢাকা/রিটন/এস