রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত এবং বিনা অনুমতিতে ভিডিও ধারণের অভিযোগে বহিরাগত দুই শিক্ষার্থীকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বরসংলগ্ন রাস্তায় এ ঘটনা ঘটে।

আটক দুজন হলেন বরেন্দ্র কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী নাজমুস সাকিব এবং শাহ মখ্দুম কলেজের একই বর্ষের শিক্ষার্থী সিয়াম আল হাসান।

ভুক্তভোগী ছাত্রী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর দপ্তর সূত্রে জানা যায়, গতকাল সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ওই ছাত্রী ক্যাম্পাসে প্রবেশ করছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক পার হয়ে শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বরে দিকে আগালে তিনটি মোটরসাইকেল ওই ছাত্রীকে অনুসরণ করে। এতে ওই নারী শিক্ষার্থী ভয় পেয়ে চিৎকার করেন। এ সময় মোটরসাইকেলে থাকা কয়েকজন ওই শিক্ষার্থীকে জানান, পেছনে থেকে একটি ছেলে তাঁর ভিডিও করছেন। পরে ক্যাম্পাসের কয়েকজন শিক্ষার্থীর সহায়তায় তাঁরা ভিডিও ধারণকারী দুজনকে আটক করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর দপ্তরে নিয়ে যান। সেখানে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা ভুক্তভোগী ছাত্রী, মোটরসাইকেল আরোহী ও অভিযুক্তদের সঙ্গে কথা বলে ঘটনার বিস্তারিত শোনেন। পরে মোটরসাইকেল আরোহীদের ক্যাম্পাসে প্রবেশ না করার শর্তে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ ছাড়া উত্ত্যক্ত ও ভিডিও ধারণকারী দুজনকে মতিহার থানা-পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মাহবুবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, এক ছাত্রীকে ইভটিজিং করার ঘটনায় তিনজনকে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে এবং ভিডিও ধারণকারীদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকগুলোতে পুলিশি টহল বাড়ানো হয়েছে।

নগরের মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল মালেক বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে দুজনকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ জমা পড়েনি। অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স পর দ দ জনক

এছাড়াও পড়ুন:

সরকারের ভেতরে একটা অংশ নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে: এনসিপি

সরকারের ভেতরের একটি পক্ষ ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশের বাইরে গিয়ে নিজেরাই ঐকমত্য কমিশন হওয়ার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেন, এই চেষ্টার কারণে নির্বাচন ঝুঁকিতে পড়বে।

আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আখতার হোসেন এ কথা বলেন।

আখতার হোসেন বলেন, তাঁদের কাছে স্পষ্টতই প্রতীয়মান যে সরকারের ভেতরের কোনো একটা অংশ সংস্কারকে ভন্ডুল করে নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে।

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ–আলোচনার ভিত্তিতেই কমিশন সুপারিশ উপস্থাপন করেছে উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সেই সুপারিশের ভিত্তিতেই সরকার আদেশ জারি করবে, সেটাই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যখন সরকারের তরফ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে আরও এক সপ্তাহ রাজনৈতিক দলগুলোকে আলাপ–আলোচনার কথা বলা হয়, তখন মনে হয় যে সরকার আসলে এই সংস্কারের বিষয়গুলো নিয়ে সাপ-লুডো খেলছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ৯৬-তে পৌঁছে গিয়েছিলাম, সেটাকে আবার তিনে নিয়ে আসা হয়েছে সাপ কেটে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের বর্তমান যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি, তাতে সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে।’

অতি দ্রুত সরকারকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানিয়ে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সরকারকে নিজেকেই দায়িত্ব নিয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করতে হবে। সামনের সংসদকে গাঠনিক ক্ষমতা প্রদান করার মধ্য দিয়ে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। গণভোটের মাধ্যমে অর্জিত জনগণের অভিপ্রায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে যেন বাস্তবায়িত হয়, সেই সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ