রাজধানীর র‍্যাংগস ই-মার্টে শুরু হয়েছে এসি কার্নিভাল। শনিবার (১২ এপ্রিল) র‍্যাংগস ই-মার্টের গুলশান-২ শোরুমে এই কার্নিভাল ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ফেয়ার গ্রুপের চিফ মার্কেটিং অফিসার মেসবাহ উদ্দিন, হাইসেন্স দক্ষিণ এশিয়া অফিসের জেনারেল ম্যানেজার জেসন ওয়াং এবং সেলস ডিরেক্টর টেরি লিয়াং।

র‍্যাংগস ইমার্ট থেকে উপস্থিত ছিলেন ইয়ামিন শরীফ চৌধুরী, ডিভিশনাল ডিরেক্টর মো.

রাশেদুল ইসলাম, হেড অব বিজনেস গোলাম আজম খান, হেড অব সেলস তাসকিন হোসেন, হেড অব মার্কেটিং রায়হান আহমেদ হেড অব প্রোডাক্ট অ্যান্ড ব্র্যান্ডসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

ফেয়ার গ্রুপের চিফ মার্কেটিং অফিসার মেসবাহ উদ্দিন বলেন, “র‍্যাংগস ই-মার্ট এসি কার্নিভাল আমাদের গ্রাহকদের উন্নত সেবা এবং বিশ্বমানের পণ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এটি আমাদের গ্রাহকদের কাছে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সহজলভ্য করার পাশাপাশি, তাদের চাহিদা পূরণে আমাদের অঙ্গীকারকে আরো দৃঢ় করবে।”

হাইসেন্স দক্ষিণ এশিয়া অফিসের জেনারেল ম্যানেজার জেসন ওয়াং উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “র‍্যাংগস ইমার্টের এই উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই। হাইসেন্স এয়ার কন্ডিশনার আমাদের গ্রাহকদের জীবনে আরাম এবং স্বাচ্ছন্দ্য নিয়ে আসে। আমাদের লক্ষ্য হলো অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং পরিবেশ-বান্ধব সল্যুশন তৈরি করা, যা আপনার জীবনের মান উন্নত করবে। দক্ষিণ এশিয়ার বাজারে আমাদের এসি পণ্যগুলোর সাফল্য আমাদের প্রতিশ্রুতিকে প্রমাণ করে এবং আমরা ভবিষ্যতে আরো উদ্ভাবন এবং উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।”

ক্যাম্পেইনটি সম্পর্কে ডিভিশনাল ডিরেক্টর ইয়ামিন শরীফ চৌধুরী বলেন, “র‍্যাংগস ই-মার্ট সবসময় গ্রাহকদের সর্বোচ্চ মানের পণ্য এবং সেবা প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এসি কার্নিভাল ক্যাম্পেইন আমাদের সেই অঙ্গীকারেরই একটি মাইলফলক, যা গ্রাহকদের অভিজ্ঞতাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে। সামারকে সামনে রেখেই আমাদের এই উদ্যোগ, যেন ক্রেতারা তাদের পছন্দের যেকোনো ব্র্যান্ডের এসি সহজেই নিতে পারেন।

ক্রেতাদের সুবিধার্থে র‍্যাংগস ইমার্টের এই কার্নিভালে থাকছে ৬টি ব্র্যান্ড হাইসেন্স, এলজি, প্যানাসনিক, হুন্দাই, দাইকিন এবং তোশিন র‍্যানকনসহ আরো অনেক প্রিমিয়াম গ্লোবাল ব্র্যান্ড এর ৪৮,৫০০-১,৪০,০০০ পর্যন্ত মূল্যের ২৩ টিরও বেশি এসি। এই কার্নিভালে আরো থাকছে দুর্দান্ত অফারসহ প্রিমিয়াম ব্র্যান্ডের এসি জিতে নেওয়ার সুযোগ। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফ্রি ইন্সটলেশন সুবিধা, নির্দিষ্ট কিছু ব্র্যান্ডের এসিতে এক্সটেন্ডেড ওয়ারেন্টি, এসি ফ্রি ক্লিনিং সার্ভিস, ফ্রি ডেলিভারি এবং ২৪ মাস পর্যন্ত ০% ই এম আই সুবিধা। আমরা বিশ্বাস করি, এই ক্যাম্পেইন গ্রাহকদের জন্য একটি সময়োপযোগী আয়োজন।”

ঢাকা/হাসান/সাইফ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক য ম প ইন গ র হকদ র হ ড অব আম দ র অফ স র

এছাড়াও পড়ুন:

স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত প্রতিরোধ চলবে: হামাস

স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়ার প্রতিরোধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে হামাস। গত মঙ্গলবার জাতিসংঘের সদর দপ্তর থেকে দেওয়া এক ঘোষণাপত্রের অস্ত্র ত্যাগের আহ্বানের জবাবে সংগঠনটি এই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।

বৃহস্পতিবার হামাসের সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দখলদারির অবসান এবং জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ও সম্পূর্ণ সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত প্রতিরোধ থামবে না তারা।

মঙ্গলবার জাতিসংঘের সদর দপ্তর থেকে দেওয়া ঘোষণায় বলা হয়েছিল, ‘গাজায় যুদ্ধ বন্ধে হামাসকে (এই উপত্যকায়) তার শাসনের অবশ্যই অবসান ঘটাতে হবে এবং আন্তর্জাতিক অংশগ্রহণ ও সমর্থনের মাধ্যমে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে অস্ত্র সমর্পণ করতে হবে। সার্বভৌম ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যের সঙ্গে এটি সংগতিপূর্ণ।’

সৌদি আরব, কাতার, ফ্রান্স ও মিসরসহ ১৭টি দেশ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আরব লিগ ঘোষণাপত্রটি সমর্থন করেছে। এটি ‘দ্য নিউইয়র্ক’ ঘোষণাপত্র হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।

বৃহস্পতিবার আলাদা এক বিবৃতিতে প্রতি শুক্রবার, শনিবার ও রোববার বিশ্বব্যাপী যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও তাদের মিত্র দেশগুলোর দূতাবাসের বাইরে বিক্ষোভ করার আহ্বান জানিয়েছে হামাস। ইসরায়েলের আগ্রাসন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছে তারা।

অনাহারে মৃত্যু ১৫৪

গাজায় কর্মরত চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, উপত্যকাটিতে অনাহারে আরও দুই শিশু এবং এক তরুণ মারা গেছে। এ নিয়ে সেখানে অনাহারে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১৫৪ জনে। তাদের মধ্যে শিশু ৮৯টি।

গাজায় প্রায় ২১ লাখ মানুষের বসবাস। উপত্যকাটিতে গত মার্চ থেকে নতুন করে অবরোধ শুরু করে ইসরায়েল। ফলে সেখানে ত্রাণবাহী কোনো ট্রাক প্রবেশ করতে পারছিল না। আন্তর্জাতিক চাপের মুখে সম্প্রতি কিছুদিন ধরে গাজায় সীমিত পরিমাণে ত্রাণ প্রবেশ করতে দিচ্ছে ইসরায়েল। এই ত্রাণ প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত নগণ্য।

ত্রাণ নিতে প্রাণহানি ১৩৭৩

জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় জানিয়েছে, গাজায় গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ত্রাণ আনতে গিয়ে মোট ১ হাজার ৩৭৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এর মধ্যে ৮৫৯ জন মারা গেছেন বিতর্কিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএইচএফ) ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে। গত মে মাসের শেষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থাটি ইসরায়েলি সেনাদের সহায়তায় গাজার কয়েকটি স্থানে ত্রাণ দিচ্ছে।

বাকি ৫১৪ জন মারা গেছেন ত্রাণবাহী ট্রাকের আশপাশে। তাঁরা ত্রাণের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। অধিকাংশই ইসরায়েলের সেনাদের গুলিতে নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার সকালে গাজায় অন্তত আরও ৪২ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ত্রাণ আনতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ১৫ জন। এই নিয়ে প্রায় ২২ মাসের সংঘাতে গাজায় ইসরায়েলি সেনাদের হামলা নিহত হয়েছেন অন্তত ৬০ হাজার ৩৩২ জন।

গাজায় স্টিভ উইটকফ

শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ গাজা সফর করেছেন। তিনি উপত্যকাটির রাফা এলাকায় জিএইচএফের একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রও ঘুরে দেখেন। এ সময় ইসরায়েলে নিয়োজিত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মাইক হুকাবি তাঁর সঙ্গে ছিলেন। তাঁরা পাঁচ ঘণ্টার বেশি গাজায় ছিলেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে উইটকফ নিজেই এই কথা জানিয়েছেন। আগের দিন তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। উইটকফ বলেছেন, ‘মাঠের পরিস্থিতি বুঝতে ও তথ্য সংগ্রহ করতে আমরা গাজায় গিয়েছিলাম। গাজার মানবিক পরিস্থিতির একটি স্পষ্ট ধারণা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে পৌঁছে দেওয়াই আমার উদ্দেশ্য, যাতে করে গাজাবাসীর জন্য খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা পৌঁছাতে পরিকল্পনা প্রণয়নে সহায়তা করা যায়।’

গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য-বিষয়ক বিশেষ দূত ও আবাসন খাতের সাবেক আইনজীবী উইটকফের আন্তর্জাতিক নীতি ও মানবিক সহায়তা-সংক্রান্ত কোনো অভিজ্ঞতা নেই। তা সত্ত্বেও তিনি মধ্যপ্রাচ্যের সংকট সমাধানের চেষ্টার পাশাপাশি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধেও কূটনীতি চালাচ্ছেন। এরই মধ্যে তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ