বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে বৈশাখী মেলা
Published: 14th, April 2025 GMT
বছর ঘুরে আবারো এলো বাঙালির প্রাণের উৎসব বাংলা নববর্ষ। এ উৎসব বাঙালি ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও সম্প্রীতির অপূর্ব মিলনমেলার প্রতিচ্ছবি। শত বছরের ঐতিহ্যবাহী এ উৎসবকে সবার কাছে তুলে ধরার প্রয়াসে বর্ণিল বৈশাখী মেলা ও উৎসব আয়োজন করেছে বসুন্ধরা সিটি শপিং মল।
রবিবার (১৩ এপ্রিল) বৈশাখী মেলা ও উৎসবের উদ্বোধন করেন বসুন্ধরা গ্রুপ বিসিডিএলের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন শেখ এহসান রেজা। এ সময় প্রতিষ্ঠানের অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। মেলা চলবে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত।
মেলায় থাকছে বায়োস্কপ, হাওয়াই মিঠাই, চুড়ির মেলা, ফুল, দেশি-বিদেশি ফ্যাশন ব্রান্ড—বিটু, ইনফিনিটি মেগা মল, শিশু পরিবহন, লাইভ শপিং, ভোগ বাই প্রিন্স এবং স্প্লাশ I বৈশাখী ঐতিহ্যের সাথে সামঞ্জস্য রেখে এই প্রথমবার বিভিন্ন ধরনের দেশীয় খাবারের আয়োজন করা হয়েছে। শপিংমলের লেভেল-৮ এ চড়ুইভাতির আড্ডা, পিঠাপুলির আসর ও শরবতের হাঁড়ি ফুড স্টলে পাওয়া যাবে বাংলার ঐতিহ্যবাহী খাবার পান্তা ইলিশ, ইলিশ পোলাও, ইলিশ খিচুড়ি, রূপচাঁদা ফ্রাই, বগুড়ার দই, চার রকমের ভর্তা, ডাবের পুডিং, চার প্রকার পিঠা, নিমকি, চিনি ও গুড়ের মুড়ালি, কদমা/তিলা, চিনির হাতি-ঘোড়া, মুড়ির মোয়া, নাড়ু, জুস, কুষ্টিয়ার কুলফি ও হাওয়াই মিঠাই। আরো থাকছে ঢোল ও ঢুলির সঙ্গে ক্লাসিক্যাল ফ্ল্যাশ মব।
কেনাকাটা, থিম পার্কে সময় কাটানো কিংবা মুভি দেখার পাশাপাশি চলবে বৈশাখী উৎসবের বর্ণিল আয়োজন।
এসবের মাধ্যমে আধুনিকতার সঙ্গে বাঙালি ঐতিহ্যের অভূতপূর্ব মেলবন্ধন ঘটবে বলে আশা প্রকাশ করছেন আয়োজকরা।
ঢাকা/রফিক
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কানাডায় নির্বাচন: মার্ক কার্নির লিবারেল সদর দপ্তরে উৎসব শুরু
কানাডায় ভোট গ্রহণ শেষে চলছে গণনা। ভোটের চূড়ান্ত ফলাফল আসতে আরও খানিকটা সময় লাগবে। তবে এরই মধ্যে দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির দল লিবারেল পার্টির সদর দপ্তরে উৎসব শুরু হয়ে গেছে। কারণ, দেশটির রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম সিবিসি বলেছে, এবার লিবারেল সরকার হতে চলেছে।
কানাডার ৩৪৩ আসনের হাউস অব কমন্সে লিবারেল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে, নাকি তাদের সংখ্যালঘু সরকার গঠন করতে হবে, তা এখনো নিশ্চিত নয়। তবে মার্ক কার্নিই যে প্রধানমন্ত্রী থাকবেন, তা অনেকটা নিশ্চিত হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
বিবিসির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, লিবারেল ১৫৬টি আসনে এগিয়ে আগে। একক সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার গঠন করতে চাই ১৭২টি আসন। খুব একটা পিছিয়ে নেই প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ পার্টি। দলটি ১৪৭ আসনে এগিয়ে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, আমাদের নির্বাচন থেকে দূরে থাকুন। কানাডা সব সময় গর্বিত, সার্বভৌম ও স্বাধীন দেশ থাকবে এবং আমরা কখনো ৫১তম অঙ্গরাজ্য হব না।—পিয়েরে পলিয়েভর, বিরোধী কনজারভেটিভ পার্টির নেতাপুরোপুরি বদলে যাওয়া এক নির্বাচনী পরিবেশে গতকাল সোমবার ভোট দিয়েছেন কানাডার জনগণ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক আরোপ এবং কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুক্ত করার ইচ্ছা দেশটিতে নির্বাচনের আগে প্রধান আলোচ্য বিষয় হয়ে উঠেছিল।
ট্রাম্পের এ ধরনের হুমকি কানাডায় দেশপ্রেমের জোয়ার সৃষ্টি করেছে। এমন পরিস্থিতিতে লিবারেল পার্টির প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী মার্ক কার্নির প্রতি জনসমর্থন বেড়ে যায়।
লিবারেল ১৫৬টি আসনে এগিয়ে আগে। একক সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার গঠন করতে চাই ১৭২টি আসন। খুব একটা পিছিয়ে নেই প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ পার্টি। দলটি ১৪৭ আসনে এগিয়ে।অথচ যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপ ও ট্রাম্পের আক্রমণাত্মক কথাবার্তা শুরু হওয়ার আগে জরিপে প্রতিদ্বন্দ্বী পিয়েরে পলিয়েভরের কনজারভেটিভ পার্টি থেকে সামান্য পিছিয়ে ছিল কার্নির লিবারেল দল। ট্রাম্প কানাডাকে নিয়ে আক্রমণাত্মক কথা বলা শুরু করলে কানাডীয়দের মধ্যে দেশপ্রেমের জোয়ার ওঠে এবং জরিপের পূর্বাভাসে হঠাৎ বিপরীতমুখী প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
ভোটের দিন সকালেও ট্রাম্প কানাডাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়েছেন। ট্রাম্প লিখেছেন, কানাডা যদি যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম কাঙ্ক্ষিত অঙ্গরাজ্য হয়, তবে শূন্য শুল্কের সম্মুখীন হবে।
লিবারেল পার্টির সদর দপ্তরে সমর্থকদের উল্লাস