বছর ঘুরে আবারো এলো বাঙালির প্রাণের উৎসব বাংলা নববর্ষ। এ উৎসব বাঙালি ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও সম্প্রীতির অপূর্ব মিলনমেলার প্রতিচ্ছবি। শত বছরের ঐতিহ্যবাহী এ উৎসবকে সবার কাছে তুলে ধরার প্রয়াসে বর্ণিল বৈশাখী মেলা ও উৎসব আয়োজন করেছে বসুন্ধরা সিটি শপিং মল।

রবিবার (১৩ এপ্রিল) বৈশাখী মেলা ও উৎসবের উদ্বোধন করেন বসুন্ধরা গ্রুপ বিসিডিএলের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন শেখ এহসান রেজা। এ সময় প্রতিষ্ঠানের অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। মেলা চলবে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত। 

মেলায় থাকছে বায়োস্কপ, হাওয়াই মিঠাই, চুড়ির মেলা, ফুল, দেশি-বিদেশি ফ্যাশন ব্রান্ড—বিটু, ইনফিনিটি মেগা মল, শিশু পরিবহন, লাইভ শপিং, ভোগ বাই প্রিন্স এবং স্প্লাশ I বৈশাখী ঐতিহ্যের সাথে সামঞ্জস্য রেখে এই প্রথমবার বিভিন্ন ধরনের দেশীয় খাবারের আয়োজন করা হয়েছে। শপিংমলের লেভেল-৮ এ চড়ুইভাতির আড্ডা, পিঠাপুলির আসর ও শরবতের হাঁড়ি ফুড স্টলে পাওয়া যাবে বাংলার ঐতিহ্যবাহী খাবার পান্তা ইলিশ, ইলিশ পোলাও, ইলিশ খিচুড়ি, রূপচাঁদা ফ্রাই, বগুড়ার দই, চার রকমের ভর্তা, ডাবের পুডিং, চার প্রকার পিঠা, নিমকি, চিনি ও গুড়ের মুড়ালি, কদমা/তিলা, চিনির হাতি-ঘোড়া, মুড়ির মোয়া, নাড়ু, জুস, কুষ্টিয়ার কুলফি ও হাওয়াই মিঠাই। আরো থাকছে ঢোল ও ঢুলির সঙ্গে ক্লাসিক্যাল ফ্ল্যাশ মব।

কেনাকাটা, থিম পার্কে সময় কাটানো কিংবা মুভি দেখার পাশাপাশি চলবে বৈশাখী উৎসবের বর্ণিল আয়োজন। 

এসবের মাধ্যমে আধুনিকতার সঙ্গে বাঙালি ঐতিহ্যের অভূতপূর্ব মেলবন্ধন ঘটবে বলে আশা প্রকাশ করছেন আয়োজকরা।

ঢাকা/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ভালো ফলনের আশায় গাছকে খাওয়ান তাঁরা

চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পাহাড়ি প্রদেশ গুইঝৌতে প্রাচীনকাল থেকে ‘গেলাও’ জনগোষ্ঠীর বসবাস। ভিয়েতনামেও এই জনগোষ্ঠীর মানুষ বাস করেন। চীনে তাঁদের সংখ্যা প্রায় ৬ লাখ ৭৭ হাজার।

কৃষিনির্ভর গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা আজও প্রাচীনকালের পুরোনো এক ঐতিহ্য আগলে রেখেছেন। বছরের নির্দিষ্ট দিনে তাঁরা গাছকে খাওয়ান, যা চীনা ভাষায় ‘ওয়েই শু’ রীতি নামে পরিচিত।

এই প্রাচীন রীতি মূলত একধরনের প্রার্থনা। স্থানীয় অধিবাসীদের বিশ্বাস, এতে প্রকৃতি তুষ্ট হয়, ফসল ভালো হয়, পরিবারে শান্তি ও সমৃদ্ধি আসে। প্রতিবছর দুটি উৎসবের সময় এই অনুষ্ঠান পালন করা হয়—চীনা নববর্ষে, যা বসন্ত উৎসব নামে পরিচিত। আর গেলাও নববর্ষে, যা চান্দ্র পঞ্জিকার তৃতীয় মাসের তৃতীয় দিনে পালিত হয়।

অনুষ্ঠানের দিন সকালে আত্মীয়স্বজন ও গ্রামবাসী পাহাড়ের ঢালে জড়ো হন। তাঁরা সঙ্গে করে চাল থেকে তৈরি মদ, শূকরের মাংস, মাছ ও লাল আঠালো চাল নিয়ে আসেন। পাহাড়ে পৌঁছে প্রথমে আতশবাজি পোড়ানো হয়। এতে করে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

এর মধ্যেই একটি পুরোনো ও শক্তিশালী গাছ বাছাই করা হয়। এরপর সবাই ধূপ জ্বালিয়ে নতজানু হয়ে প্রার্থনা করেন। সবশেষে মূল পর্ব ‘গাছকে খাওয়ানো’ শুরু হয়।

একজন কুঠার বা ছুরি দিয়ে গাছে তিনটি জায়গায় ছোট করে কেটে দেন। সেই ক্ষতস্থানে চাল, মাংস ও মদ ঢেলে দেওয়া হয়, যাতে গাছ তাঁদের দেওয়া ভোগ গ্রহণ করতে পারে। পরে ওই জায়গা লাল কাগজে মুড়ে দেওয়া হয়।

এ ছাড়া গাছের গোড়া ঘিরে আগাছা পরিষ্কার করা হয়, মাটি আলগা করে দেওয়া হয়। এতে নতুন জীবনের বার্তা মেলে বলে মনে করেন গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা।

যে গাছকে খাওয়ানো হয়, সেটি যদি ফলদ হয়, তাহলে ভোগ দানকারীরা একটি আশাব্যঞ্জক শ্লোক উচ্চারণ করেন। বলেন, ‘তোমায় চাল খাওয়াই, ফল দিয়ো গুচ্ছ গুচ্ছ; তোমায় মাংস খাওয়াই, ফল দিয়ো দলা দলা।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সুন্দরবনে দুবলার চরে রাস উৎসব শুরু আজ, এবারও নেই মেলার আয়োজন
  • শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত
  • ‘মবের’ পিটুনিতে নিহত রূপলাল দাসের মেয়ের বিয়ে আজ
  • এবারও কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে নেই বাংলাদেশ
  • ডাইনির সাজে শাবনূর!
  • প্রার্থনার সুরে শেষ হলো ‘ফাতেমা রানীর’ তীর্থোৎসব 
  • ভালো ফলনের আশায় গাছকে খাওয়ান তাঁরা
  • টগি ফান ওয়ার্ল্ডে উদযাপিত হলো হ্যালোইন উৎসব
  • উদ্ভাবন–আনন্দে বিজ্ঞান উৎসব
  • নবীনদের নতুন চিন্তার ঝলক