ডেমরায় রাজউকের মোবাইল কোর্ট পরিচালনা, দেড় লাখ টাকা জরিমানা
Published: 16th, April 2025 GMT
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) জোন-৬ এর সাবজোনের হাজীনগর, ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) ওই এলাকার চারটি নির্মাণাধীন ভবনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তিনটি ভবনের বাড়তি অংশ অপসারণ করা হয়। এ জন্য তাদের দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
রাজউকের পরিচালক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মনির হোসেন হাওলাদার এই মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন।
এ প্রসঙ্গে মোহাম্মদ মনির হোসেন বলেন, "রাজউক এর সাম্প্রতিক সময়ের প্রত্যাশা অনুযায়ী একটি বাসযোগ্য নগরী গড়ে তোলার জন্য কঠোর অভিযান পরিচালনা করা হবে। ভবন নির্মাণে যে কোনো ব্যত্যয় পরিলক্ষিত হলে আইন অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।"
আরো পড়ুন:
নাটোরে অবৈধভাবে মাটি বিক্রি করায় জরিমানা
নাটোরে ৩ পরিবহনকে জরিমানা
এ সময় রাজউকের জোন-৬ এর পরিচালক শামীমা মোমেন, অথরাইজড অফিসার জান্নাতুল মাওয়া, সহকারী অথরাইজড অফিসার শাহানাজ খানম, জোনের প্রধান ইমারত পরিদর্শক ইমারত পরিদর্শকগণ সহ রাজউক এর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/এএএম/রাসেল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সরকারের ভেতরে একটা অংশ নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে: এনসিপি
সরকারের ভেতরের একটি পক্ষ ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশের বাইরে গিয়ে নিজেরাই ঐকমত্য কমিশন হওয়ার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেন, এই চেষ্টার কারণে নির্বাচন ঝুঁকিতে পড়বে।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আখতার হোসেন এ কথা বলেন।
আখতার হোসেন বলেন, তাঁদের কাছে স্পষ্টতই প্রতীয়মান যে সরকারের ভেতরের কোনো একটা অংশ সংস্কারকে ভন্ডুল করে নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ–আলোচনার ভিত্তিতেই কমিশন সুপারিশ উপস্থাপন করেছে উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সেই সুপারিশের ভিত্তিতেই সরকার আদেশ জারি করবে, সেটাই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যখন সরকারের তরফ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে আরও এক সপ্তাহ রাজনৈতিক দলগুলোকে আলাপ–আলোচনার কথা বলা হয়, তখন মনে হয় যে সরকার আসলে এই সংস্কারের বিষয়গুলো নিয়ে সাপ-লুডো খেলছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ৯৬-তে পৌঁছে গিয়েছিলাম, সেটাকে আবার তিনে নিয়ে আসা হয়েছে সাপ কেটে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের বর্তমান যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি, তাতে সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে।’
অতি দ্রুত সরকারকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানিয়ে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সরকারকে নিজেকেই দায়িত্ব নিয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করতে হবে। সামনের সংসদকে গাঠনিক ক্ষমতা প্রদান করার মধ্য দিয়ে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। গণভোটের মাধ্যমে অর্জিত জনগণের অভিপ্রায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে যেন বাস্তবায়িত হয়, সেই সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে।