চৈত্রসংক্রান্তিতে নেত্রকোনায় উদযাপিত হলো দিনরাতব্যাপী ‘খনার মেলা’। সেদিন সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে খনার মেলা নিয়ে শিল্পী কফিল আহমেদের সুরারোপিত ‘বৃষ্টি হবে চোখে মুখে’ গানটি মঙ্গলঘর পরিসরের শিল্পীদের সম্মিলিত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে উদ্বোধন হয়।
আঙ্গারোয়া গ্রামের উঠান মঞ্চে দিনরাতব্যাপী আয়োজনের শুরুতে বাউল গান ও গাইন গীত পরিবেশন করেন প্রখ্যাত বাউল সুনীল কর্মকার, প্রবীণ কৃষক বাউল মিয়া হোসেন ও শেফালি গায়েন। এরপর উপস্থিত কয়েক হাজার দর্শক-শ্রোতার অংশগ্রহণে খনার কৃষি, স্বাস্থ্য, পরিবেশ, জীবন আর জ্যোতির্বিদ্যা নিয়ে বিশেষ আলোচনায় অংশ নেন মুক্তিযোদ্ধা আবদুল গফুর, লেখক ও সংস্কৃতি সংগঠক বাকী বিল্লাহ ও মিজানুর রহমান। আলোচনা শেষে শেফালি বয়াতির গান পরিবেশনের মধ্য দিয়ে গানের পর্ব শুরু হয়।
গান করেন শিল্পী কফিল আহমেদ, কৃষ্ণকলি ও গানের দল, সমগীত, রাজু (সহজিয়া), পদ্ম (চিৎকার), মুসা কলিম মুকুল, ফকির সাহেব, কুয়াশা মূর্খ, নূপুর সুলতানা, মঙ্গলঘরের শিল্পী কৃষক দুদু কাঞ্চন, দুলাল চিশতি, তরুণ শিল্পী ফয়সাল, উদয়, সুমন, হৃদয়সহ আরও অনেকে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: পর ব শ
এছাড়াও পড়ুন:
বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক অলিম্পিক চ্যাম্পিয়নের মৃত্যু
২৬ জুলাই ২০২৪, প্যারিসের টুইলারি বাগান। আকাশে ঝিরঝিরে বৃষ্টি। সেই বৃষ্টিভেজা সন্ধ্যাতেই জ্বলে উঠেছিল অলিম্পিক মশাল। শতবর্ষ পার করা চার্লস কস্তের জীবনে সেটাই ছিল ‘সবচেয়ে সুন্দর মুহূর্তগুলোর একটি’। সেদিন তিনি হাতে থাকা মশাল তুলে দিয়েছিলেন ফরাসি অলিম্পিয়ান টেডি রিনারের হাতে।
প্যারিস অলিম্পিক শুরুর প্রায় এক মাস আগে আয়োজকদের কাছ থেকে ফোন পেয়েছিলেন তিনি। অনেকটা নিভৃতেই তাঁকে জানানো হয়েছিল, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শেষ দিকে মশালবাহকদের একজন হবেন তিনি।
১০১ বছর বয়সী সেই চার্লস কস্তে আর নেই। ফ্রান্সের ক্রীড়ামন্ত্রী মারিয়ানা ফেরারি গতকাল তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। এর মধ্য দিয়ে বিদায় নিলেন বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক সাবেক অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন।
১৯২৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জন্ম নেওয়া কস্তে ছিলেন ট্র্যাক সাইক্লিস্ট। ১৯৪৮ সালের লন্ডন অলিম্পিকে ছেলেদের টিম পারস্যুট ইভেন্টে তিনি জেতেন স্বর্ণপদক।
২০২৪ প্যারিস অলিম্পিকের উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে টেডি রেনার ও মেরি জোজের মশাল প্রজ্জ্বলন করছেন চার্লস কস্তে