পঞ্চগড়ে ১ হাজার শয্যার হাসপাতালের দাবিতে ঢাকায় মানববন্ধন
Published: 18th, April 2025 GMT
চীনের অর্থায়নে প্রস্তাবিত এক হাজার শয্যার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল পঞ্চগড়ে স্থাপনের দাবিতে ঢাকায় মানববন্ধন করেছে জেলার বাসিন্দারা। পঞ্চগড় জেলা সমিতির আয়োজনে শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ঢাকায় অবস্থানরত জেলাটির কয়েক শতাধিক বাসিন্দা মানববন্ধনে অংশ নেন।
এতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- পঞ্চগড় জেলা সমিতির সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ ড.
এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পঞ্চগড় জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতিসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা
মানববন্ধনে অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ঢাকা থেকে সবচেয়ে দূরের জেলা পঞ্চগড়। এই কারণে সম্ভবত পঞ্চগড়ের মানুষের আর্তনাদ আপনাদের কানে পৌঁছায় না। আপনারা ঢাকায় বসে অনুভব করতে পারবেন না, পঞ্চগড়ের ১২ লাখ মানুষের জন্য শুধু প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা আছে। এর পরের চিকিৎসার জন্য পারি দিতে হয় রংপুর অথবা দিনাজপুর। পথেই অসংখ্য মানুষকে মৃত্যুবরণ করতে হয়।
তারা আরও বলেন, আমরা পঞ্চগড়ের মানুষ রাস্তায় অ্যাম্বুলেন্সে আর মৃত্যুবরণ করতে চাই না, চিকিৎসা নিয়ে নিজ মাটি পঞ্চগড়ে মৃত্যুবরণ করতে চাই। স্বাধীনতার ৫৪ বছরে পঞ্চগড়ের অনেক এমপি, মন্ত্রী, স্পিকার দেখেছি, অনেক সরকার বাহাদুর দেখেছি। একটা উন্নত হাসপাতাল দেখি নাই। তাই ৫ আগস্ট এর পরের বৈষম্যহীন বাংলাদেশে বৈষম্যহীন সিদ্ধান্ত নিন, চীনা মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতাল পঞ্চগড়ে স্থাপন করুন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, দেশের উত্তর জনপদের সম্ভাবনাময় জেলা পঞ্চগড়। সমতল ভূমিতে বিস্তৃর্ণ চা-বাগান, পাথর-নদীতে সমৃদ্ধ জেলাটির ভৌগলিক অবস্থান পর্যটনের অপার সম্ভাবনার হাতছানি দেয়। পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা (স্থলবন্দর) থেকে নেপালের দূরত্ব ৬১ কিলোমিটার, ভুটানের দূরত্ব ৬৪ কিলোমিটার, চীনের দূরত্ব মাত্র ২০০ কিলোমিটার, ভারতের দার্জিলিংয়ের দূরত্ব ৫৮ কিলোমিটার, শিলিগুড়ির দূরত্ব মাত্র ৮ কিলোমিটার। অন্যদিকে হিমালয়ের এভারেস্ট শৃঙ্গের দূরত্ব ৭৫ কিলোমিটার আর কাঞ্চনজঙ্ঘার দূরত্ব ১১ কিলোমিটার। মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল পঞ্চগড়ে হলে ভুটান, নেপাল ও চীনের ছাত্রছাত্রীরা এখানে পড়াশোনা করতে আসবেন। চিকিৎসাসেবা নিতে আসবেন। পঞ্চগড়ের মানুষও বিশ্বমানের চিকিৎসাসেবা পাবেন।
দাবি না মানলে বড় আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন বক্তরা।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ধর্ষকদের শাস্তির দাবিতে তিতুমীরে মানববন্ধন
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ জসিমের মেয়ে লামিয়াকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে সরকারি তিতুমীর কলেজের পটুয়াখালী জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদ।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) কলেজের প্রধান ফটকের সামনে এ কর্মসূচি পালন করেন সংগঠনটির সদস্যরা।
এতে বক্তব্য দেন, সংগঠনটির অন্যতম উপদেষ্টা খান মুহাম্মদ ইউছুফ আলী, সভাপতি শফিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহিয়ান মাসুম প্রমুখ।
আরো পড়ুন:
সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হককে গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ
বাদ পড়া বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের দাবি
বক্তারা বলেন, লামিয়া হত্যার বিচারপ্রক্রিয়া আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কার্যকর করতে হবে এবং ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি দিতে হবে। আছিয়া থেকে শুরু করে লামিয়া পর্যন্ত যত ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে, সবগুলোর বিচার অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে।
সংগঠনটির সভাপতি শফিকুল ইসলাম বলেন, “গত ৫ আগস্টের পর দেশের বিভিন্ন জায়গায় ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু ভুক্তভোগীদের কেউ ন্যায়বিচার পাননি। লামিয়ার পিতা জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ হয়েছেন, তা সত্ত্বেও ন্যায়বিচার পায়নি। ফলে সে আত্মহত্যা করেছে।”
তিনি বলেন, “আমরা চাই, এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার কার্য পরিচালনা এবং সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হোক। যাতে করে ভবিষ্যতে কেউ ধর্ষণ করার কথা চিন্তাতেও না আনতে পারে।”
গত ১৮ মার্চ পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলায় লামিয়াকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনার পরদিন সাকিব মুন্সী নামের অভিযুক্ত একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সাকিব জামিন পাওয়ার সংবাদে মর্মাহত হয়ে ওই কিশোরী আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা স্বজনদের।
ঢাকা/হাফছা/মেহেদী