সম্মেলনের প্রায় তিন মাস পর রাজশাহী মহানগর বিএনপির আংশিক কমিটি
Published: 1st, November 2025 GMT
সম্মেলনের প্রায় তিন মাস পর রাজশাহী মহানগর বিএনপির ১৪ সদস্যবিশিষ্ট আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে সাবেক সদস্যসচিব মামুন অর রশিদকে সভাপতি করা হয়েছে। অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে নগর যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক মাহাফুজুর রহমানকে।
আজ শনিবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আংশিক কমিটিতে নজরুল হুদাকে সিনিয়র সহসভাপতি ও আসলাম সরকার, ওয়ালিউল হক, আলী আশরাফ, সফিকুল ইসলাম, আবুল কালাম আজাদ, মুক্তার হোসেন ও জয়নাল আবেদিনকে সহসভাপতি করা হয়েছে। এ ছাড়া বজলুল হুদাকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, রবিউল ইসলামকে সাংগঠনিক সম্পাদক এবং এরশাদ আলী ও মাইনুল আহসানকে সদস্য করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হবে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এর আগে গত ১০ আগস্ট মহানগর বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এর ২ মাস ২২ দিন পর আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হলো।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আ শ ক কম ট র ব এনপ র
এছাড়াও পড়ুন:
সংস্কার প্রতিবেদন সহজবোধ্য করে জনগণের কাছে তুলে ধরার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংস্কার প্রতিবেদনের একটি সহজবোধ্য বই প্রস্তুত করে দেশের জনগণের জন্য তা উন্মুক্ত করে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ বুধবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার কাছে আট খণ্ডের সংস্কার প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্যরা। এ প্রতিবেদনে ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ, সভা ও কার্যবিবরণীর বিস্তারিত রয়েছে।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘এই প্রতিবেদন সাধারণের সহজবোধ্য একটি ভার্সন (সংস্করণ) তৈরি করতে হবে। বই আকারে প্রকাশ করতে হবে, যাতে সাধারণ মানুষ, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা পড়ে বুঝতে পারে এবং অন্যদেরও বুঝাতে পারে।’
বইটি ইংরেজি ও বাংলা দুই ভাষাতেই প্রকাশের আহ্বান জানান প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে এই বইটি যেন শিক্ষার্থীদের জন্য অবশ্যপাঠ্য হয়ে যায়, সেটিও বিবেচনায় রাখতে হবে। তরুণ প্রজন্ম বইটি পড়বে; তাঁরা নিজেরা জানবে এবং তাঁদের মা–বাবাকেও জানাবে এতে কী আছে।’
প্রতিবেদন হস্তান্তরকালে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ বলেন, ‘আট খণ্ডের এই প্রতিবেদনে জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫ নিয়ে এই কমিশনের কার্যক্রমের প্রক্রিয়া, প্রেক্ষাপট, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে প্রাপ্ত লিখিত প্রস্তাব, সাধারণ মানুষের মতামত, রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে কমিশনের পক্ষ থেকে প্রেরিত স্প্রেডশিট, সব ধরনের আলোচনা ও সংলাপ লিপিবদ্ধ আছে।’
ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাস ভবিষ্যতে এই আট খণ্ডের প্রতিবেদন বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেশে-বিদেশে গবেষণার জন্য দলিল হয়ে উঠবে।’
প্রতিবেদন হস্তান্তর অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ইফতেখারুজ্জামান, বদিউল আলম মজুমদার, মো. আইয়ুব মিয়া, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (জাতীয় ঐকমত্য) মনির হায়দার।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার কমিশন সরকারের কাছে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ হস্তান্তর করে।