চুয়াডাঙ্গার দর্শনা জয়নগর চেকপোস্টের ইমিগ্রেশন বিভাগে কর্মরত এক পুলিশ সদস্যের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে সহকর্মীরা তাঁকে নিজ কক্ষে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পুলিশের ধারণা, তিনি আত্মহত্যা করেছেন।

মৃত পুলিশ সদস্যের নাম শামীম রেজা সাজু (৩১)। তিনি কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ঝুটিয়াডাঙ্গা গ্রামের হাশেম আলীর ছেলে। ছয় মাস আগে দর্শনা ইমিগ্রেশন বিভাগে যোগ দেন শামীম।  

সহকর্মীরা জানান, যোগদানের পর থেকে নতুন ইমিগ্রেশন ভবনের দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষে একা থাকতেন শামীম রেজা। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কাজে অনুপস্থিত থাকায় সহকর্মীরা তাঁকে খুঁজতে যান। দরজা বন্ধ পেয়ে জানালা দিয়ে উঁকি দিয়ে শামীমকে ফ্যানের সঙ্গে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখেন তারা।

দর্শনা থানার ওসি মোহাম্মদ শহীদ তিতুমীর বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে বৃহস্পতিবার রাতের কোনো এক সময় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন শামীম। পুলিশ লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে বিকেলে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

তিনি চাকরি ছাড়বেন শুনলেই সহকর্মীরা হাসাহাসি করেন

নাটক, সিনেমা কিংবা ওয়েব—সব প্ল্যাটফর্মেই তিনি সরব। তবে অনেকেই হয়তো জানেন না, এই অভিনেতা চাকরির ফাঁকে শুটিং করেন। একসঙ্গে দুই জায়গায় মানিয়ে নিতে পারছিলেন না। এ কারণে দু–তিন মাস পরপরই সিদ্ধান্ত নেন, চাকরি ছাড়বেন। তাঁর এই চাকরি ছাড়ার কথা শুনলেই এখন সহকর্মীরা হাসাহাসি করেন। এই অভিনেতার নাম মোস্তফা মন্ওয়ার। আজ তাঁর জন্মদিন।

এই অভিনেতা এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, চাকরি ছাড়ার কথা তিন-চার মাস পরপর বলবেন—এটা সহকর্মীরা ধরেই নিয়েছেন। কারণ, শুটিংয়ে সময় দিতে হয়। অফিসেও দায়িত্ব পালন করতে হয়।

মোস্তফা মন্ওয়ার বলেন, ‘দীর্ঘ দুই দশকের বেশি সময় ধরে আমি অভিনয় ও চাকরি একসঙ্গে করছি। অনেকবার চেয়েছি চাকরি ছেড়ে শুধু শুটিং শুরু করি। কিন্তু কোনোভাবেই এটা হচ্ছে না। অর্থনৈতিক কারণে অভিনয়কেই শুধু পেশা হিসেবে নিতে পারছি না। চাকরিও ছাড়তে পারছি না। এর আগে চার-পাঁচবার চাকরি ছেড়েছি। কিন্তু আবার চাকরিতেই ফিরতে হয়েছে। ছুটির দিনে পরিবারকে সময় দিতে পারি না। শুটিংয়ে যাই।’

মোস্তফা মন্ওয়ার। ছবি: ফেসবুক থেকে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • তিনি চাকরি ছাড়বেন শুনলেই সহকর্মীরা হাসাহাসি করেন