খাগড়াছড়িতে সন্ত্রাসীদের আস্তানায় মিলল ইউনিফর্ম-ওয়াকিটকি
Published: 21st, April 2025 GMT
খাগড়াছড়িতে অপহৃত শিক্ষার্থীদের উদ্ধারে চলমান অভিযানে সন্ত্রাসীদের একটি গোপন আস্তানার সন্ধান পেয়েছে যৌথ বাহিনী। এ সময় সেখানে তল্লাশি চালিয়ে বিপুল পরিমাণ প্রশিক্ষণ ও দাপ্তরিক সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে তারা।
সোমবার (২১ এপ্রিল) ভোরের দিকে ভাইবোনছড়ার পূর্ণ চন্দ্র কার্বারিপাড়ায় সন্ত্রাসী দলের গোপন আস্তানার সন্ধান পায় যৌথ বাহিনী। সেখান থেকে উদ্ধারকৃত সরঞ্জামের মধ্যে রয়েছে- লেপটপ, ক্যামেরা, ওয়াকিটকি ও মোবাইল, সামরিক ইউনিফর্ম, পতাকা ও বিভিন্ন ধরনের বই।
খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল জানান, অপহরণ হওয়া শিক্ষার্থীরা উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত যৌথ বাহিনীর অভিযান চলবে।
গত বুধবার (১৬ এপ্রিল) খাগড়াছড়ি সদরের গিরিফুল এলাকা থেকে অপহৃত হন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থীসহ ছয়জন। অপহরণের পর থেকে তাদের উদ্বারে অভিযান চলাচ্ছে যৌথ বাহিনী। ছয়দিন অতিবাহিত হলেও ওই শিক্ষার্থীদের এখনো খোঁজ মেলেনি।
ঢাকা/রূপায়ন/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দরে দুই যুবককে অপহরণের ঘটনায় ৩ অপহরণকারী গ্রেপ্তার
বন্দরে দুই যুবককে অপহরণের পর ২ লাখ টাকা মুক্তি পণ দাবির ঘটনায় ৩ অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত বুধবার (১১ জুন) রাতে বন্দর উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের লাউসার গ্রামে অপহরণের এ ঘটনাটি ঘটে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো বন্দরের মদনপুর দেওয়ানবাগ এলাকার হাজী শহিদুল ইসলামের ছেলে মাহবুবুর রহমান শিশির (৩৫), বন্দরের নেহাল সরদারেরবাগ গ্রামের মৃত জাহাঙ্গীর মিয়ার ছেলে মোঃ রুবেল মিয়া(২৯) ও সোনারগাঁ উপজেলার নাজিরপুর বড়বাড়ি গ্রামের মৃত নান্নু মিয়ার ছেলে মোঃ সুমন (২৮)।
এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় বন্দরের ধামগড় ইউনিয়নের পশ্চিম কেওঢালা এলাকার ফয়েজ আহমেদের ছেলে রনি( ৪০), বাবুল (৪৮) ও অপুসহ ১০-১২ জন অপহরণকারী। এ ব্যাপারে অপহরণের শিকার ফাহিমের (১৭) এর মামা হৃদয় হোসেন বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার (১২ জুন) বন্দর থানায় মামলা করেছেন।
মামলার বাদী হৃদয় হোসেন জানান, ভাগ্নে ফাহিম ও তার বন্ধু মোহন মিয়া বুধবার রাত নয়টার দিকে তাদের আরেক বন্ধু অপুর সাথে দেখা করতে বন্দরের লাউসার এলাকার জনৈক জাহাঙ্গীর মিয়ার বাড়িতে যায়। এ সময় পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী অপহরণকারীরা দুজনকে একটি কক্ষে আটকে রাখে।
তারা ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি ও মারধর করে ২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। অপহরণের বিষয়টি মোবাইল ফোনে জানতে পেরে তিনি জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ তে কল করে পুলিশকে জানান। পরে বন্দর থানা পুলিশ ফাহিম ও মোহনকে উদ্ধার করে এবং তিন অপহরণকারীকে গ্রেফতার করে।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার ওসি তরিকুল ইসলাম জানান, অপহরণ ঘটনায় মামলা হয়েছে। তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর অপহরণকারীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।