রাজশাহীতে জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠনের (জিসাস) এক নেতার বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে তাঁর পরিবার অভিযোগ করেছে। তবে এ ঘটনায় কেউ আহত হননি।

ওই নেতার নাম রফিকুল ইসলাম। তিনি জিসাসের রাজশাহী জেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক। এ ঘটনায় আজ বেলা ১১টার দিকে কাশিয়াডাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন রফিকুলের বড় ভাই সাগর হোসেন। এতে নবগঙ্গা এলাকার এনামুলের ছেলে নাঈম হোসেন (২৫) ও একই এলাকার কালামের ছেলে মো.

আরিফসহ (৩০) অজ্ঞাতনামা ৮–১০ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, পূর্বশত্রুতার জেরে গতকাল সোমবার উপজেলার কাশিয়াডাঙ্গার বালিয়ায় একটি চায়ের দোকানের সামনে নাঈম ও আরিফের সঙ্গে তাঁর (সাগর হোসেন) চাচাতো ভাই আপনের কথা-কাটাকাটি হয়। বিষয়টি দেখে দুই পক্ষকে নিবৃত্ত করে বাড়িতে যান তিনি। এরপর রাত তিনটার দিকে নবগঙ্গা গ্রামে তাঁর (সাগর) বসতবাড়ির সামনে নাঈম ও আরিফসহ অজ্ঞাতনামা ৮–১০ জন এসে গালিগালাজ করতে থাকেন। একপর্যায়ে বাড়ির ফটকের সামনে একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয় এবং হুমকি দিয়ে তাঁরা চলে যান।

রফিকুল ইসলাম বলেন, তিনি ও তাঁর বড় ভাই একই বাড়িতে থাকেন। রাত তিনটার দিকে বিকট শব্দ শুনে ঘুম ভাঙে। পরে দেখতে পান কয়েকজন দৌড়ে পালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনকে চিনতে পারেন তাঁরা। তিনি আরও বলেন, গতকাল বিকেলে একটি ঘটনা ঘটে। তিনি বাড়ি ছিলেন না। তখন তাঁর বড় ভাই বিষয়টি সমাধান করে দেন। কিন্তু এটা তাঁদের ভালো লাগেনি। তাঁরা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন। এখন বিএনপির ছত্রচ্ছায়ায় এসে রাজনীতি করছেন। এ ঘটনায় তিনি তাঁর বড় ভাইকে দিয়ে থানায় অভিযোগ করিয়েছেন।

কাশিয়াডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন বলেন, ওই ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করতে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র বড় ভ ই ঘটন য়

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে জুলাই শহীদদের স্মরণে মিনি ম্যারাথন

রাজশাহীতে জুলাই শহীদদের স্মরণে মিনি ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ছয়টার দিকে নগরের বিনোদপুর এলাকা থেকে এ দৌড় প্রতিযোগিতা শুরু হয়। আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) রাজশাহী মহানগর শাখা এ ম্যারাথনের আয়োজন করে।

ম্যারাথনে অংশ নিতে প্রতিযোগীরা আজ ভোর সাড়ে পাঁচটার পর থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়–সংলগ্ন বিনোদপুর বাজারে জমায়েত হতে থাকেন। সকাল ছয়টার পর শুরু হয় পাঁচ কিলোমিটারের ম্যারাথন প্রতিযোগিতা।

অংশগ্রহণকারীরা বিনোদপুর থেকে শুরু হয়ে নগরের তালাইমারী মোড় হয়ে আবার বিনোদপুর হয়ে চৌদ্দপায় ফায়ার সার্ভিস মোড় হয়ে আবার বিনোদপুরে ফিরে আসেন।পরে সেখানে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। প্রথম পুরস্কার ১০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কার ৮ হাজার টাকা, তৃতীয় পুরস্কার হিসেবে ৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অংশগ্রহণকারী তিন নারীসহ আরও ১০ জনকে পুরস্কৃত করা হয়।

ম্যারাথন উপলক্ষে আগে থেকেই মেডিকেল টিমসহ একটি অ্যাম্বুলেন্স ছিল। এ ছাড়া সবার জন্য টি-শার্ট, গ্লুকোজ পানিসহ বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হয়। ম্যারাথনে অংশ নেওয়াদের বেশির ভাগই ছিল তরুণ। তাঁদের মধ্যে বেশি বয়সী নারীরাও অংশ নেন।

প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া ৫৮ বছর বয়সী পিয়ারুল ইসলাম বলেন, এ উদ্যোগ খুবই ভালো হয়েছে। অসুস্থমুক্ত জীবন গড়তে হলে দৌড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। শারীরিক বিভিন্ন অ্যাকটিভিটিসের মধ্যে থাকলে সুস্থ জীবন গড়া যায়। এ বয়সে তাঁর কোনো ওষুধ লাগে না। তাঁরও অনেক সিনিয়র আছেন, কারও বয়স ৭৫, তাঁদেরও ওষুধ লাগে না। তাই এ ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হবে। সবাইকে উদ্ধুব্ধ করতে হবে। যাতে নিজেদের শরীরকে সব সময় উপযুক্ত রাখে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, অনেক দিন পর তিনি দৌড়াবেন। সাধারণত দৌড়ানো হয় না। আজকের পর থেকে তিনি প্রতিদিন সকালে উঠে দৌড়াবেন।

স্থানীয় বাসিন্দা নাঈম হাসান বলেন, জুলাই গণ–অভ্যুত্থান শুধু সরকারের পতন নয়। এর মাধ্যমে এ দেশের মানুষ একটি নতুন নিশ্বাস নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে। সেই নতুন নিশ্বাস নিয়ে ম্যারাথনে তিনি অংশ নিয়েছেন।

ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় ১৩ জনকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে রাজশাহী নগরের বিনোদপুর এলাকায়

সম্পর্কিত নিবন্ধ