নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন প্রত্যাখান করেছে জামায়াতে ইসলামীর মহিলা শাখা। সংগঠনটি বলছে, এটি বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম নারী সমাজের প্রত্যাশার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। 

বুধবার এক বিবৃতিতে এ কথা জানান মহিলা জামায়াতের সেক্রেটারি নূরুন্নিসা সিদ্দিকা। তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার কাছে দেওয়া প্রতিবেদনের সুপারিশে এমন কিছু গর্হিত বিষয় নিয়ে আসা হয়েছে, যাতে সামাজিক মূল্যবোধে চরমভাবে আঘাত করা হয়েছে। যা কোরান ও হাদিসেরও সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। নারীর জন্য সবচেয়ে অবমাননাকর হলো, যৌনকর্মকে পেশা হিসেবে সামাজিক স্বীকৃতি দিতে বলা। 

বিবৃতিতে বলা হয়, অভিন্ন পারিবারিক আইনের মাধ্যমে সব ধর্মের নারীদের জন্য বিয়ে, তালাক, উত্তরাধিকারের সমান অধিকারের সুপারিশ সব ধর্মের মতামত ও মুল্যবোধকে উপেক্ষা করা হয়েছে। যা চরমভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন। ইসলাম সমঅধিকার নয়, ন্যায্য অধিকারের ঘোষণা দেয়। এই চেতনাই সর্বস্তরের মুসলমানরা ধারণ করে। আল্লাহর আইন কেউ ব্যাক্তিগতভাবে না মানতে পারে। কিন্তু তার অধিকার নেই এই আইনে হাত দেওয়ার। 

মহিলা জামায়াতের সেক্রেটারি নূরুন্নিসা সিদ্দিকা বলেন, কমিশনে যাদেরকে সদস্য করা হয়েছে; তারা সমাজের সব শ্রেণীর নারীদের প্রতিনিধিত্ব করে না। বিশেষ করে এই কমিশনে ইসলামের জ্ঞানসম্পন্ন নারী প্রতিনিধি দেখতে পাইনি। ইসলামের পূর্ণ জ্ঞানসম্পন্ন নারীদের কমিশনে অন্তর্ভুক্ত করে প্রতিবেদনটি পুনঃলিখনের আহ্বান জানাচ্ছি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

মুশফিকের প্রেমকাহিনির মঞ্চে ম্যাথুসের বিদায়ী সুর

* শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২৬ টেস্টে বাংলাদেশের একটাই জয়। সেটি আবার শ্রীলঙ্কাতে। সেই জয় বাংলাদেশের শততম টেস্টে বলে আপনার তা খুব ভালোমতোই মনে থাকার কথা।

* টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের ৬০০ ছাড়ানো একমাত্র স্কোরটি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। সেটিও শ্রীলঙ্কাতে।

* টেস্টে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। হ্যাঁ, হ্যাঁ, সেটিও শ্রীলঙ্কাতেই।

শেষ দুটি আবার একে অন্যের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। দুটি একই টেস্টে। ২০১৩ সালে যে টেস্টে বাংলাদেশের ৬৩৮, সেটিতেই মুশফিকুর রহিমের ডাবল সেঞ্চুরি। টানা ১২ টেস্টে হারার পর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ড্র-ও।

এই পুরোনো প্যাচাল খুব বেশি অপ্রাসঙ্গিক লাগবে না, যখন জানবেন ওই টেস্টটা হয়েছিল গল ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে। পশ্চাৎপটে অতিকায় গল ফোর্টের পাথুরে কাঠামো আর দুই পাশে সাগর মিলিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর স্টেডিয়ামের একটি। ২০০৪ সালে সুনামিতে লন্ডভন্ড হয়ে যাওয়ার পর পুনর্জন্ম নেওয়া গলের সেই মাঠেই আজ শুরু বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা প্রথম টেস্ট। শুরু আসলে তিন ধরনের ক্রিকেটেই একে অন্যের নাড়ি-নক্ষত্র বুঝে নেওয়ার লড়াই। যাতে টেস্ট আছে, ওয়ানডে আছে, আছে টি-টোয়েন্টিও। দুই টেস্টের পর সাদা বলের সিরিজে তিনটি করে ম্যাচ।

আরও পড়ুনআমিনুল ইসলাম বুলবুলকে চিনতে হলে এই লেখাটা পড়তে হবে০২ জুন ২০২৫

দুই দল পরস্পরের খুব চেনা। বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি ২৬টি টেস্ট খেলেছে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। ঘন ঘন দেখা হলে হৃদ্যতা যেমন হয়, তেমনি রেষারেষিও। বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রেও তা-ই হয়েছে। গত কয়েক বছরে এই দুই দল মুখোমুখি হলেই মাঠে বা মাঠের বাইরে উত্তেজনার ফুলকি ছুটেছে। ‘টাইমড আউট’ হয়তো সেটির এক নম্বরে, এর বাইরেও নানা কিছু মিলে লঙ্কা-বাংলা এখন গনগনে এক দ্বৈরথের নাম।

গত চার বছর দুই দলের মধ্যে চতুর্থ টেস্ট সিরিজ। দুই দলের জন্যই রণকৌশল ঠিক করা তাই খুব সহজ হওয়ার কথা। বাংলাদেশ দলের জন্য হয়তো তা থাকছে না শ্রীলঙ্কা দলে নতুনের সমারোহে। ১৮ জনের দলের এক–তৃতীয়াংশই এখনো টেস্ট খেলার অপেক্ষায়। বাংলাদেশ দলেও কিছু পরিবর্তন আছে, তবে তা ধর্তব্যের মধ্যে নয়।

টেস্টের প্রস্তুতিতে গলে অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ দল

সম্পর্কিত নিবন্ধ