শিক্ষা উপদেষ্টা ড. সি আর আবরার বলেছেন, ‘কুয়েটের সমস্যাসহ সারাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অস্থিরতা নিয়ে আমরা যথেষ্ট উদ্বিগ্ন। এটা ছোট বিষয় না যে রাতারাতি সমাধান সম্ভব। কোনো ব্যক্তি নিয়ে কথা বলব না, পুরো প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। আশাকরি কয়েক দিনের মধ্যে সমাধান হবে। দেশ স্বৈরাচার মুক্ত হওয়ার পর দাবি তোলার সুযোগ এসেছে। তাই এসব ক্ষেত্রে বর্তমান সরকার নমনীয়। দাবি প্রত্যাশীদের তাড়াহুড়ো আছে, কিন্তু আমরা সেটি নিয়মের মধ্যে থেকে সমাধানের চেষ্টা করছি।’ 

বুধবার বিকেলে ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদ ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। 

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের বিশৃঙ্খলা ও দাবি দাওয়ার বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘বিগত সময়ে ছাত্ররা যখনই কোনো দাবি তুলেছে তখনই তাদের ওপর রাষ্ট্র ঝাঁপিয়ে পড়েছে। এখন যেহেতু আগের পরিস্থিতি নেই, তাই সবাই একসঙ্গে তাড়াহুড়ো করে হয়তো দাবিগুলো তুলছে। ফলে দেশে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে। আমরা ছাত্রদেরকে আশ্বস্ত করছি, তাদের দাবিগুলো শুনে নিয়ম ও আইনের মধ্যে থেকে উপযুক্ত সমাধানের চেষ্টা করবে সরকার।’

সাহিত্য পরিষদ ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন শেষে ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের কনফারেন্স রুমে ‘আগামীর শিক্ষা: প্রেক্ষিত বর্তমান’ বিষয়ক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখেন শিক্ষা উপদেষ্টা ড.

সি আর আবরার। 

সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান মোল্লার সভাপতিত্বে এ সময় আরও বক্তব্য দেন পুলিশ সুপার মো. আব্দুল জলিল, সাহিত্য পরিষদের সভাপতি প্রফেসর আলতাব হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মফিজ ইমাম মিলন, স্কুলশিক্ষক রেজাউল মৃধা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি ও উন্নয়ন সংস্থার আহ্বায়ক তৌহিদুল ইসলাম স্টালিন, নন্দিতা সুরক্ষার প্রকল্প পরিচালক তাহিয়াতুল জান্নাত রেমি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আবরাব নাদিম ইতু প্রমুখ।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: শ ক ষ উপদ ষ ট উপদ ষ ট

এছাড়াও পড়ুন:

ঝগড়া থেকে দেয়ালে মাথা ঠোকা, সালমান-ঐশ্বরিয়ার সম্পর্কের বিষয়ে প্রকাশ্যে আনলেন প্রতিবেশী

বলিউডের ইতিহাসে সবচেয়ে আলোচিত প্রেম-বিচ্ছেদের একটি হলো ঐশ্বরিয়া রাই ও সালমান খানের সম্পর্ক। প্রেমের সূচনা হয়েছিল পর্দার আড়ালেই, কিন্তু আলোচনায় আসে ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ ছবির মাধ্যমে। ছবির রোমান্স যেন বাস্তব জীবনের প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠেছিল। অথচ সেই রূপকথার প্রেমই কিছুদিনের মধ্যে রূপ নেয় দুঃস্বপ্নে। সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর শুধু ব্যক্তিজীবন নয়, কর্মজীবনেও কঠিন আঘাত সহ্য করতে হয়েছিল ঐশ্বরিয়াকে।

প্রতিবেশীর চোখে সেই সময়
বিজ্ঞাপন জগতের কিংবদন্তি প্রহ্লাদ কাক্কর ছিলেন ঐশ্বরিয়ার ঘনিষ্ঠজন। ঐশ্বরিয়ার মায়ের একই ভবনে থাকতেন তিনি। সম্পর্কের শুরুর দিক থেকে ক্যারিয়ারের উত্থান—সবকিছু কাছ থেকে দেখেছেন তিনি। তাঁর মতে, সালমান ছিলেন ভীষণ আক্রমণাত্মক। ঐশ্বরিয়ার ওপর প্রভাব বিস্তার করতে চাইতেন। প্রহ্লাদ এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘সালমান খুবই আক্রমণাত্মক ছিলেন। আমি একই ভবনে থাকতাম, সবকিছু শুনতাম-দেখতাম। ঝগড়া, চিৎকার, এমনকি দেয়ালে মাথা ঠোকা…এগুলো নিয়মিত ছিল। সম্পর্ক আসলে অনেক আগেই ভেঙে গিয়েছিল, শুধু ঘোষণাটা পরে এসেছে। বিচ্ছেদটা সবার মধ্যে স্বস্তি এনেছিল—ঐশ্বরিয়ার, তাঁর বাবা-মায়ের, এমনকি সালমানেরও।’

ঐশ্বরিয়া ও সালমান খান

সম্পর্কিত নিবন্ধ