কুয়েটসহ সারাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অস্থিরতা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন: শিক্ষা উপদেষ্টা
Published: 24th, April 2025 GMT
শিক্ষা উপদেষ্টা ড. সি আর আবরার বলেছেন, ‘কুয়েটের সমস্যাসহ সারাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অস্থিরতা নিয়ে আমরা যথেষ্ট উদ্বিগ্ন। এটা ছোট বিষয় না যে রাতারাতি সমাধান সম্ভব। কোনো ব্যক্তি নিয়ে কথা বলব না, পুরো প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। আশাকরি কয়েক দিনের মধ্যে সমাধান হবে। দেশ স্বৈরাচার মুক্ত হওয়ার পর দাবি তোলার সুযোগ এসেছে। তাই এসব ক্ষেত্রে বর্তমান সরকার নমনীয়। দাবি প্রত্যাশীদের তাড়াহুড়ো আছে, কিন্তু আমরা সেটি নিয়মের মধ্যে থেকে সমাধানের চেষ্টা করছি।’
বুধবার বিকেলে ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদ ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের বিশৃঙ্খলা ও দাবি দাওয়ার বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘বিগত সময়ে ছাত্ররা যখনই কোনো দাবি তুলেছে তখনই তাদের ওপর রাষ্ট্র ঝাঁপিয়ে পড়েছে। এখন যেহেতু আগের পরিস্থিতি নেই, তাই সবাই একসঙ্গে তাড়াহুড়ো করে হয়তো দাবিগুলো তুলছে। ফলে দেশে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে। আমরা ছাত্রদেরকে আশ্বস্ত করছি, তাদের দাবিগুলো শুনে নিয়ম ও আইনের মধ্যে থেকে উপযুক্ত সমাধানের চেষ্টা করবে সরকার।’
সাহিত্য পরিষদ ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন শেষে ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের কনফারেন্স রুমে ‘আগামীর শিক্ষা: প্রেক্ষিত বর্তমান’ বিষয়ক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখেন শিক্ষা উপদেষ্টা ড.
সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান মোল্লার সভাপতিত্বে এ সময় আরও বক্তব্য দেন পুলিশ সুপার মো. আব্দুল জলিল, সাহিত্য পরিষদের সভাপতি প্রফেসর আলতাব হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মফিজ ইমাম মিলন, স্কুলশিক্ষক রেজাউল মৃধা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি ও উন্নয়ন সংস্থার আহ্বায়ক তৌহিদুল ইসলাম স্টালিন, নন্দিতা সুরক্ষার প্রকল্প পরিচালক তাহিয়াতুল জান্নাত রেমি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আবরাব নাদিম ইতু প্রমুখ।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: শ ক ষ উপদ ষ ট উপদ ষ ট
এছাড়াও পড়ুন:
সরকারের ভেতরে একটা অংশ নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে: এনসিপি
সরকারের ভেতরের একটি পক্ষ ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশের বাইরে গিয়ে নিজেরাই ঐকমত্য কমিশন হওয়ার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেন, এই চেষ্টার কারণে নির্বাচন ঝুঁকিতে পড়বে।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আখতার হোসেন এ কথা বলেন।
আখতার হোসেন বলেন, তাঁদের কাছে স্পষ্টতই প্রতীয়মান যে সরকারের ভেতরের কোনো একটা অংশ সংস্কারকে ভন্ডুল করে নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ–আলোচনার ভিত্তিতেই কমিশন সুপারিশ উপস্থাপন করেছে উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সেই সুপারিশের ভিত্তিতেই সরকার আদেশ জারি করবে, সেটাই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যখন সরকারের তরফ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে আরও এক সপ্তাহ রাজনৈতিক দলগুলোকে আলাপ–আলোচনার কথা বলা হয়, তখন মনে হয় যে সরকার আসলে এই সংস্কারের বিষয়গুলো নিয়ে সাপ-লুডো খেলছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ৯৬-তে পৌঁছে গিয়েছিলাম, সেটাকে আবার তিনে নিয়ে আসা হয়েছে সাপ কেটে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের বর্তমান যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি, তাতে সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে।’
অতি দ্রুত সরকারকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানিয়ে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সরকারকে নিজেকেই দায়িত্ব নিয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করতে হবে। সামনের সংসদকে গাঠনিক ক্ষমতা প্রদান করার মধ্য দিয়ে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। গণভোটের মাধ্যমে অর্জিত জনগণের অভিপ্রায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে যেন বাস্তবায়িত হয়, সেই সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে।