অপহরণের শিকার তিন শ্রীলঙ্কান বাগেরহাট থেকে উদ্ধার
Published: 24th, April 2025 GMT
ঢাকা থেকে অপহরণের শিকার শ্রীলঙ্কার তিন নাগরিককে বাগেরহাট থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে জেলার মোল্লাহাটের কোদালিয়া এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। এ সময় ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার মো. তৌহিদুল আরিফ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, উদ্ধার হওয়া শ্রীলঙ্কার তিন নাগরিকের মধ্যে একজন নারী। অপহরণের শিকার তিনজনের মধ্যে দুজন শহিদুল শেখ নামের এক ব্যক্তির ব্যবসায়িক আমন্ত্রণে গত ২২ এপ্রিল ঢাকায় এসেছিলেন। এর পর তারা অপহরণের শিকার হন। পরবর্তীতে শ্রীলঙ্কায় তাদের পরিবারকে বাংলাদেশের একটি নাম্বার থেকে কল করে মুক্তিপণ দাবি করা হয়। ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্যরা সে দেশের হাই-কমিশনকে বিষয়টি জানায়। তখন বাংলাদেশকে বিষয়টি জানানো হলে অপহরণের শিকার শ্রীলঙ্কানদের উদ্ধারকাজ শুরু করে গোয়েন্দা সংস্থা।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব গ রহ ট অপহরণ উদ ধ র অপহরণ র শ ক র
এছাড়াও পড়ুন:
নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে সৌদিপ্রবাসীর অপহৃত শিশুসন্তান উদ্ধার
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারী ইউনিয়ন থেকে অপহৃত সাত বছরের একটি শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। অপহরণের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে রুহুল আমিন (২০) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ বলছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানের মধ্যে অপহরণকারীরা গতকাল শুক্রবার গহিন জঙ্গলে মায়ের কাছে শিশুটিকে দিয়ে পালিয়ে গেছে। তবে বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) রাঙ্গাঝির এলাকার সদস্য মো. শাহাবুদ্দিনের দাবি, তিন লাখ টাকা মুক্তিপণের বিনিময়ে অপহরণকারীরা শিশুটিকে মায়ের কাছে দিয়ে গেছে।
বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল করিম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত একটার দিকে সৌদি আরবপ্রবাসী সাইফুল ও শাহেদা বেগম দম্পতির সাত বছরের ছেলেকে বাড়ি থেকে অপহরণ করা হয়। অপহরণের পর সন্ত্রাসীরা ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। ঘটনার পর থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে। পুলিশের অভিযানে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়েছে।
মুক্তিপণ দিয়ে শিশুটিকে মুক্তি দেওয়ার ব্যাপারে পুলিশের কাছে কোনো তথ্য নেই বলে একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
বাইশারী ইউপির রাঙ্গাঝিরি এলাকার সদস্য মো. শাহাবুদ্দিন বলেন, মঙ্গলবার রাতে রাঙ্গাঝিরি পাড়ার শিশুটি অপহৃত হওয়ার পর পরিবার থেকে অপহরণকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছিল। অন্যদিকে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকরী বাহিনীও অভিযান পরিচালনা করেছে। গতকাল শুক্রবার শিশুটির মা রাঙ্গাঝিরি থেকে আলেক্ষ্যং এলাকায় যান। সেখান থেকে তাঁর অপহৃত সন্তানসহ বিকেলে ফিরে আসেন। সন্ত্রাসীরা প্রথমে ১০ লাখ টাকা দাবি করলেও পরে তিন লাখ টাকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে বলে তাঁরা জেনেছেন।
বান্দরবানের পুলিশ সুপার শহিদুল্লাহ কাওছার বলেন, অভিযানের মুখে অপহৃত শিশুটিকে মুক্তি দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। অপহরণের ঘটনার পর থেকে অভিযান চালানো হয়েছে। উদ্ধারের পর শিশুটির পরিবার মামলা করার জন্য থানায় গেছে।