রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) নয় জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে একাডেমিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তাদেরকে পাঠদান এবং পরীক্ষা-সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৪তম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

শেকৃবির রেজিস্ট্রার শেখ রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ওই নয় জন শিক্ষেকের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের হুমকি দেওয়া, মিথ্যা মামলা দায়ের এবং হলত্যাগে বাধ্য করার অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়েছে, নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে তদন্ত চলাকালে অভিযুক্ত শিক্ষকদের একাডেমিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণে নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।

নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত শিক্ষকরা হলেন—অধ্যাপক ড.

কামাল উদ্দিন আহমেদ, প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগ; অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল হক বেগ, পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগ; অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলী, কীটতত্ত্ব বিভাগ; অধ্যাপক ড. নুরজাহান বেগম, কৃষি রসায়ন বিভাগ; অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মিজানুল হক কাজল, ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড পোভার্টি স্টাডিজ বিভাগ; অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান, কীটতত্ত্ব বিভাগ; অধ্যাপক ড. অশোক কুমার ঘোষ, ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড পোভার্টি স্টাডিজ বিভাগ; অধ্যাপক ড. উদয় কুমার মহন্ত, মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড প্যারাসাইটোলজি বিভাগ এবং  অধ্যাপক ড. মো. সেকেন্দার আলী, কৃষি সম্প্রসারণ ও ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগ।

ঢাকা/মামুন/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন

চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।

লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্‌যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।

চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।

লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।

প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।

লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’

তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্‌যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?

সম্পর্কিত নিবন্ধ