দীর্ঘ দিন পর্দায় অনুপস্থিত আরিফিন শুভ ফিরলেন স্বরূপে। সেটাও মাত্র ১৯ সেকেন্ডের এক প্রমো ভিডিওতে; যা নায়ক তাঁর ফেসবুকে যুক্ত করে ক্যাপশন জুড়েছেন, আসিতেছে। যদিও কী আসছে সেটা বরাবরের মতই রহস্য জিইয়ে রেখেছেন ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় এই চিত্রনায়ক।

শুভর সেই ১৯ সেকেন্ডের প্রমোতে দেখা গেছে, নৃশংস এক নির্যাতনের দৃশ্য। যেখানে শুভ একজনের প্রাইভেট পার্টে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন। এমন ভিডিওর পর সতর্কবার্তাও দিয়েছেন শুভ; অনুরোধ রেখেছেন, বাড়িতে বা কোথাও এমন কাজের (ভিডিওর মত) চেষ্টা না করার। 

তবে এই ভিডিওটি কিসের সেটা সুনির্দিষ্ট করে জানানি শুভ। সেখানেই প্রশ্ন কী আসছে আরিফিন শুভর? বর্তমানে হাতে আছে ৫টা প্রজেক্ট আছে। সনি লিভের ‘জ্যাজ সিটি’, চরকির ‘লুহু’, ‘ঠিকানা বাংলাদেশ’, ‘নীলচক্র’ আর ‘নূর’ সিনেমা।

তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুভর ভিডিও দৃশ্যটি ‘নীলচক্র’ সিনেমার। সাসপেন্স থ্রিলার ঘরনার সিনেমাটি আসছে ঈদে মুক্তি পাবে। যা পরিচালনা করেছেন মিঠু খান। সিনেমাটিতে আরও অভিনয় করেছেন মন্দিরা চক্রবর্তী, ফজলুর রহমান বাবু, শিরীন আলম, খালেদা আক্তার কল্পনা, শাহেদ আলী, টাইগার রবি, মনির আহমেদ শাকিল, প্রিয়ন্তী ঊর্বী, মাসুম রেজওয়ান প্রমুখ।

আরিফিন শুভ এখন মুম্বাইয়ে ব্যস্ত আছেন তাঁর প্রথম হিন্দি ওয়েব সিরিজ ‘জ্যাজ সিটি’ কাজ নিয়ে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আর ফ ন শ ভ ঈদ র স ন ম আর ফ ন শ ভ

এছাড়াও পড়ুন:

চুম্বন দৃশ্যের অভিজ্ঞতা ভয়ংকর ছিল: মধু

বলিউড অভিনেত্রী মধু শাহ। নব্বই দশকের জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী মধু নামেই পরিচিত। মনি রত্নম নির্মিত ‘রোজা’ সিনেমায় অভিনয় করে প্রশংসা কুড়ান। নব্বই দশকে একটি সিনেমায় চুম্বন দৃশ্যে অভিনয় করেন মধু, যা ভীষণ তিক্ত অভিজ্ঞতা ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।

কয়েক দিন আগে নিউজ১৮-কে সাক্ষাৎকার দেন মধু। এ আলাপচারিতা তিনি বলেন, “আজকাল সিনেমায় যে ধরনের চুম্বন দৃশ্য দেখা যায় এটি তেমন ছিল না। এটি ঠোঁটে খোঁচা দেওয়ার মতো অভিজ্ঞতা ছিল। সত্যি এটি আমার খারাপ লেগেছিল।”

চুম্বন দৃশ্যের অভিজ্ঞতা ভয়ংকর ছিল। তা জানিয়ে মধু বলেন, “শুটিং শুরু করার আগে আমাকে চুমু খেতে বলা হয়। কিন্তু তার আগে এ বিষয়ে আমাকে জানানো হয়নি। এ নিয়ে যখন প্রশ্ন করি, তখন তারা আমাকে পাশে নিয়ে গিয়ে কথা বলে। তারা আমাকে ব্যাখ্যা করে, এই দৃশ্যটি কেন গুরুত্বপূর্ণ এবং সেই কারণেই আমি চুম্বন দৃশ্যে অভিনয় করি। কিন্তু এটা ছিল আমার করা সবচেয়ে ভয়ংকর কাজ।”

চুম্বন দৃশ্যে যখন অভিনয় করেন, তখন মধুর বয়স ছিল ২২ বছর। তা স্মরণ করে এই অভিনেত্রী বলেন, “সিনেমায় চুম্বন দৃশ্যটির কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। সিনেমায় দৃশ্যটি অন্তর্ভুক্ত না করার জন্য পরিচালকের সঙ্গে কোনো কথাও হয়নি। আমি এটি এড়িয়ে গিয়েছিলাম। কেবল বয়সের দিক দিয়ে নয়, আমি সবদিক থেকেই তখন খুব ছোট ছিলাম। এখনকার ২২-২৪ বছর বয়সি ছেলে-মেয়েরা ভীষণ চালাক। কিন্তু ২২ বছর বয়সে আমি খুব বোকা ছিলাম।”

১৯৯৬ সালে দীপা মেহতা নির্মাণ করেন ‘ফায়ার’ সিনেমা। এতে শাবানা আজমি, নন্দিতা দাস সমকামী চরিত্রে অভিনয় করেন। এ সিনেমা পর্দার ঘনিষ্ঠতা সম্পর্কে মধুর ধারণা বদলে দিতে শুরু করে। এ তথ্য উল্লেখ করে মধু বলেন, “আমি বলছি না, পর্দায় চুম্বন করা খারাপ। ‘ফায়ার’ সিনেমায় যখন শাবানাজির মতো অভিনেত্রীর অভিনয় দেখি, তখন আমার মনে হয়েছিল সত্যি তারা তাদের প্রতিবন্ধকতা ভেঙে ফেলেছেন, যা আমি তখন করতে পারিনি। আমি সেই সব শিল্পীদের প্রশংসা করি, যারা মাথা ন্যাড়া করতে পারেন বা সিনেমায় সমকামীর ভূমিকায় অভিনয় করতে পারেন।”

১৯৯১ সালে তামিল ভাষার সিনেমার মাধ্যমে রুপালি জগতে পা রাখেন মধু। একই বছর ‘ফুল আউর কাঁটা’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন এই অভিনেত্রী। হিন্দি সিনেমায় পা রেখেই নজর কাড়েন। ৫৬ বছরের মধু অভিনয়ে এখন খুব একটা সরব নন। তবে প্রতি বছরে দুই একটা সিনেমায় দেখা যায় তাকে। 

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ