ছাং’এ-৫ অভিযানে চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে সংগৃহীত নমুনা ছয়টি দেশের সাতটি প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানীদের হাতে তুলে দিচ্ছে চীন। 

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) জাতীয় মহাকাশ দিবসে শাংহাইয়ে আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক চুক্তি করে চীন জাতীয় মহাকাশ প্রশাসন (সিএনএসএ)।

নমুনা পাওয়ার সুযোগ পেয়েছে ফ্রান্স, জার্মানি, জাপান, পাকিস্তান, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের সাতটি বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান। ২০২৩ সালের নভেম্বর আবেদন গ্রহণ শুরু হলে ১১টি দেশ ও সংস্থা ৭১ সেট নমুনা চেয়ে আবেদন করে। সেসব আবেদন যাচাই-বাছাই করে সাতটি প্রতিষ্ঠানকে চূড়ান্ত করা হয়।

সিএনএসএর প্রধান শান চোংতে বলেছেন, ছাং’এর নমুনা কেবল চীনের নয়, সারা বিশ্বের সম্পদ। এগুলো মানবজাতির সম্মিলিত জ্ঞান সমৃদ্ধ করবে।

তিনি আরো জানান, বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞানীরা ছাং’এ-৬ এর নমুনা পেতে আগ্রহী। কারণ, এটা চাঁদের দূরবর্তী দিক থেকে সংগ্রহ করা প্রথম নমুনা। চীনা সরকার শিগগিরই ওই নমুনাগুলোর জন্য আন্তর্জাতিক আবেদনপত্র চালু করবে।

সূত্র: সিএমজি

ঢাকা/হাসান/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

শাবানার আজ জন্মদিন

ঢাকাই চলচ্চিত্রের জীবন্ত কিংবদন্তি শাবানা। রবিবার (১৫ জুন) এ অভিনেত্রীর জন্মদিন। ১৯৫২ সালের এই দিনে চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার ডাবুয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন বাংলা সিনেমার অবিস্মরণীয় এই তারকা। তার প্রকৃত নাম আফরোজা সুলতানা রত্না। কিন্তু সারা দেশের মানুষ তাকে হৃদয়ে ধারণ করে ‘শাবানা’ নামে।

মাত্র ১০ বছর বয়সে শিশুশিল্পী হিসেবে ‘নতুন সুর’ (১৯৬২) সিনেমার মাধ্যমে অভিনয়ে অভিষেক হয় শাবানার। সেখান থেকে শুরু—তারপর এক দীর্ঘ পথচলা, যেখানে শাবানা হয়ে ওঠেন একের পর এক যুগান্তকারী সিনেমার মুখ। চার দশকের ক্যারিয়ারে প্রায় ৩০০ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে বাংলা সিনেমার আকাশে নিজেকে স্থায়ী নক্ষত্রে রূপান্তরিত করেন।

‘ভাত দে’, ‘অবুঝ মন’, ‘ছুটির ঘণ্টা’, ‘ওরা এগারো জন’, ‘চাঁপা ডাঙার বউ’, ‘আক্রোশ’, ‘রাঙা ভাবি’, ‘বাংলার নায়ক’—এমন অসংখ্য কালজয়ী সিনেমায় অভিনয় করে দর্শকের মনে দাগ কেটেছেন শাবানা। জনপ্রিয়তা ও অভিনয়গুণে অনন্য এক শিল্পী, যিনি রোমান্স থেকে শুরু করে সমাজধর্মী, দেশপ্রেম বা পারিবারিক—সব ধরনের চরিত্রে নিজেকে নিখুঁতভাবে তুলে ধরতে পেরেছেন।

আরো পড়ুন:

‘অত্যাচারী’ স্বামীর মৃত্যুতে কারিশমার শোক, যা বললেন জয়া

দর্শক বলছেন আমি যেন শুভ ভাইকে বিয়ে করি: মন্দিরা

অভিনয়ের স্বীকৃতিস্বরূপ ৯ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন শাবানা। প্রযোজক হিসেবেও পেয়েছেন জাতীয় পুরস্কার। নাট্য ও সংস্কৃতি জগৎ থেকেও অর্জন করেছেন বাচসাস, নাট্যসভা, ললিতকলা একাডেমি ও কথক একাডেমি পুরস্কার।

ব্যক্তিজীবনে ১৯৭৩ সালে বিয়ে করেন সরকারি কর্মকর্তা ও প্রযোজক ওয়াহিদ সাদিককে। তিন সন্তানের জননী শাবানা ১৯৯৭ সালে হঠাৎ করেই অভিনয় জীবন থেকে বিদায় নেন। ২০০০ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সিতে পরিবার নিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন তিনি।

অভিনয়ে ফিরবেন কি না, সে প্রশ্ন বহুবার উঠেছে। কিন্তু শাবানা এমন এক নাম, যার অবদান আর স্মৃতিময়তা কখনো ম্লান হওয়ার নয়।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ