ব্রাজিল কেন পারছে না, রহস্য জানালেন রোমারিও
Published: 26th, April 2025 GMT
‘জোগো বনিতো’ তথা সুন্দর ফুটবল থেকে ব্রাজিল দূরে সরে গেছে অনেক আগেই। ফলনির্ভর ফুটবলে জোর দিতে গিয়েই মূলত নিজেদের আত্মপরিচয় বিসর্জন দেয় দলটি। তবে এখন তো ফলনির্ভর ফুটবলটাও ঠিকঠাক খেলতে পারছে না ব্রাজিল। একের পর এক ব্যর্থতা কোণঠাসা করে দিয়েছে ব্রাজিল দলকে।
সর্বশেষ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনার কাছে ব্রাজিল বিধ্বস্ত হয়েছে ৪–১ গোলে। এই হারের পর চাকরি হারিয়েছেন কোচ দরিভাল জুনিয়র। বিশ্বকাপের প্রায় ১৪ মাস আগে ব্রাজিল দলের দুরবস্থা হতাশায় ডুবিয়েছে দলটির সমর্থকদের।
প্রশ্ন হচ্ছে, কেন পারছে না ব্রাজিল? দলটিতে ইউরোপে দাপট দেখানো তারকার অভাব নেই। ভিনিসিয়ুস, আলিসন রাফিনিয়া কিংবা রদ্রিগোরা নিজেদের সময়ের অন্যতম সেরা তারকা। তাহলে কেন বারবার ব্যর্থ হচ্ছে ব্রাজিল?
আরও পড়ুনব্রাজিলীয় ফুটবল ঐতিহ্যের জন্য শোকগাথা০৯ জুলাই ২০২৪সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন ব্রাজিলের বিশ্বকাপজয়ী কিংবদন্তি রোমারিও। তাঁর মতে, ব্রাজিলের বর্তমান দলের খেলোয়াড়েরা আগের প্রজন্মের খেলোয়াড়দের মতো ক্ষুধার্ত নন। পাশাপাশি তরুণেরা যতটা ক্লাব–অন্তপ্রাণ, জাতীয় দলের জন্য ততটা আবেগ তাঁদের নেই। আর এ কারণেই সফল হতে পারছেন না তাঁরা।
ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি রোমারিও.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সবাই ভেবেছিলেন কিশোরী ডুবে গেছে, ১০ দিন পর ফোন করে জানাল সে গাজীপুরে আছে
১০ দিন আগে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল করতে গিয়েছিল কিশোরী সোহানা খাতুন। বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নদীতে অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান পায়নি। তবে গত বুধবার রাতে মাকে ফোন করেছে সোহানা; জানিয়েছে সে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।
নিখোঁজ হওয়া কিশোরীর নাম সোহানা খাতুন। তার বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের বাঁশগ্রাম কারিগর পাড়ায়। তার বাবা গোলাম মওলা ও মা শিরিনা খাতুন।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯ জুলাই দুপুরে বাড়ির পাশের মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল ও কাপড় ধুতে গিয়েছিল সোহানা। দীর্ঘ সময়েও না ফেরায় তার মা নদীর ধারে যান; দেখেন, সোহানার কাপড় পড়ে আছে। এরপর স্বজন ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। খবর পেয়ে ওই রাতে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল নদীতে উদ্ধার অভিযান চালায়। পরদিন খুলনা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ১২ ঘণ্টা অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান না পেয়ে অভিযান স্থগিত করে। ২১ জুলাই এক কবিরাজ এনে নদীতে খোঁজার চেষ্টাও করেন সোহানার বাবা–মা।
এমন অবস্থায় বুধবার রাতে হঠাৎ সোহানা তার মায়ের ফোনে কল দিয়ে জানায়, সে ঢাকার গাজীপুরে তার প্রাক্তন স্বামীর কাছে রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান সোহানার বাবা গোলাম মওলা। তিনি বলেন, ‘প্রথমে ভেবেছিলাম, মেয়ে নদীতে ডুবে গেছে। সবাই মিলে খোঁজাখুঁজি করেছি। এমনকি কবিরাজও এনেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ বুধবার আমার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে জানায়, সে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে। আমরা বিষয়টি গতকাল রাতে পুলিশকে জানিয়েছি।’ বিষয়টি বুঝতে না পেরে সবাইকে কষ্ট দেওয়ার জন্য তিনি ক্ষমা চান।
স্থানীয় লোকজন জানান, প্রায় দুই বছর আগে খালাতো ভাই কুতুব উদ্দিনের সঙ্গে পালিয়ে যায় সোহানা এবং দুজন বিয়ে করে। তবে বনিবনা না হওয়ায় তিন মাস আগে সোহানা তাকে তালাক দিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসে। নদীতে নিখোঁজ হওয়ার ‘নাটক’ করে সে পালিয়ে গেছে।
এ বিষয়ে কুমারখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আমিরুল ইসলাম বলেন, শুরুতে পরিবারের লোকজন জানিয়েছিল, নদীতে গোসলে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছে সোহানা। গতকাল আবার তার বাবা জানিয়েছে, মেয়ে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।