‘এবার ধানের দাম ঠিক না থাকলে না খাইয়া মরতে হইবো’
Published: 26th, April 2025 GMT
‘হামরা ছোট থাকি যেমন করি চাষবাস করি, তেমনই করি। আইজ অনেক কিছু শিখিলাম। সরকারকে বলমু যেন সারের আর বিজের দাম কমায় দেয়। আর এবার যেন ধানের দাম ঠিক থাকে, না হইলে না খাইয়া মরতে হইবো।’
রংপুর সদর উপজেলায় অনুষ্ঠিত দিনব্যাপী কৃষক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশ নিয়ে মজিবর আলম নামে এক কৃষক এসব কথা বলেন।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে ‘বাঁচলে কৃষক, বাঁচবে দেশ, উন্নয়নে বাংলাদেশ’ স্লোগানে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) কীটতত্ত্ব বিভাগের আয়োজনে এবং ঢাকা ব্যাংক পিএলসি সহযোগিতায় কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। মজিবর আলমের মতো উপস্থিত অন্যান্য কৃষকরাও তাদের মতামত ব্যক্ত করেন।
এ সময় কর্মশালার তত্ত্ববধায়ক শেকৃবির কীটতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড.
কর্মশালায় অন্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. সিরাজুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মোছা. শায়লা আফরোজ সেতু, মেট্রোপলিটন কৃষি অফিসের কৃষিবিদ মো. শরিফুল ইসলাম প্রমুখ।
এছাড়া সহযোগী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শেকৃবি শিক্ষার্থী সাকিব মাহদি আজিজ, কাজী নাফিজ সোয়াদ, মাহফুজুর আলম শোভন, তাজিজুল ইসলাম তুহিন, ছওবান চৌধুরী ও আবুল খায়ের রাফি।
ঢাকা/মামুন/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বৃষ্টিস্নাত রমনায় সবুজের উল্লাস
রমনা উদ্যানের গাছগুলো বৃষ্টিতে ভিজছে, ভিজছে মাটি ও মাটির ওপরের ঘাসগুলো। বর্ষায় রমনার রূপ হয় দেখার মতো। চারদিকে কেবল সবুজ আর সবুজ। বসন্তের মতো ফুল নেই তো কী হয়েছে? আছে শ্যামল রূপ, আছে অপার স্নিগ্ধতা। বুকভরে ধুলাহীন নিশ্বাস নেওয়ার অবকাশ, প্রকৃতির উদার আমন্ত্রণ।
‘পাগলা হাওয়ার বাদল-দিনে’ ঢাকার রমনা পার্কের গাছের পাতাগুলো এখন আরও সবুজ। টলটলে জলের নয়নাভিরাম ঝিলটা টইটম্বুর। ধুলাময়লাহীন পায়ে চলার পথ। আর গাছের পাতার ফাঁকে রয়েছে অজস্র ফুল। কোনোটা লাল, কোনোটা বেগুনি আবার কোনোটা সাদা। বৃষ্টির মধুর আশকারা পেয়ে রমনা পার্কে এখন সবুজের উল্লাস।
এই পার্কটিকে ঢাকার ফুসফুস বলা হয়। এর যথেষ্ট কারণ আছে অবশ্য। এ রকম প্রগাঢ় নিরেট সবুজ এ শহরে কমই আছে। রমনা তাই ঢাকার জনজীবনের স্পন্দন। এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।
সম্প্রতি ‘বৃষ্টি নেশাভরা’ এক বিকেলে অরুণোদয় ফটক দিয়ে রমনা পার্কে প্রবেশ করলাম। অনেকে শরীরচর্চায় ব্যস্ত। কেউ দল বেঁধে করছেন, কেউ একাকী। কোনো দল ব্যায়াম করে ভোরে, কেউ আবার বিকেলে বা সন্ধ্যায়। আবার অনেকে আছেন দুই বেলাই হাঁটাহাঁটি করেন। হাঁটা সেরে কেউ কেউ লেকের পাশে এসে দুদণ্ড জিরিয়ে নেন। লেকে চলছিল বোট।
বর্ষার ফুলের উৎসব
বর্ষা এলেই রমনা পার্ক যেন রঙের নতুন ভাষা শেখে। আমাদের ঋতুচক্র অনুযায়ী, বসন্ত ও গ্রীষ্মকালেই এ দেশে ফোটে অধিকাংশ ফুল। তবে বর্ষারও নিজস্ব কিছু ফুল আছে, আর গ্রীষ্মের কিছু ফুল টিকে থাকে বর্ষা পর্যন্ত। সেদিন রমনায় গিয়ে এমনই কিছু ফুল চোখে পড়ল—বৃষ্টিভেজা পাতার ফাঁকে তাদের রং যেন আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল। মনে হলো, প্রকৃতির এই নিঃশব্দ উৎসবেও কত কথা লুকিয়ে থাকে!
রমনার গোলাপবিথি সেদিন দর্শনার্থীদের সবচেয়ে বেশি মনোযোগ কাড়ছিল। সারি সারি ঝোপে ফুটে আছে হরেক রঙের গোলাপ—লাল, সাদা, হলুদ, কমলা, গাঢ় গোলাপি। বর্ষার ভেজায় যেন আরও সতেজ, আরও তাজা হয়ে উঠেছে প্রতিটি পাপড়ি। নরম আলো আর বৃষ্টিজলে ভেজা ফুলগুলোর সৌন্দর্য মোহিত করেছে পথচলার মানুষকে। কেউ থেমে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন, কেউ ভিডিও করছেন—মুঠোফোনে বন্দী হচ্ছে বর্ষার রঙিন রমনা।
এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।