চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে জামায়েতে ইসলামী আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুর রহমানকে দলের সংসদ সদস্য প্রদপ্রার্থী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়েছে। আজ শনিবার বেলা ১১টায় মিরসরাইয়ের সিডিএসপি বাঁধের ভাঙন নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করে জামায়াতের মিরসরাই উপজেলা শাখা। মিরসরাইয়ের একটি রেস্তোরাঁয় অনুষ্ঠিত ওই মতবিনিময় সভায় ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুর রহমান প্রধান অতিথি ছিলেন। তিনি চট্টগ্রামে-১ মিরসরাই আসন থেকে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী বলে সভায় উল্লেখ করা হয়।

ওসমানপুর ইউনিয়ন জামায়াতের আমির ইকবাল হোসেন চৌধুরীর সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর মিরসরাই থানা আমির নুরুল কবির, জোরারগঞ্জ থানা আমির নুরুল হুদা হামিদী, মিরসরাই উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমির নূরুল কবির প্রমুখ।

মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুর রহমান বলেন, ‘বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে মিরসরাইয়ের উত্তর পশ্চিম উপকূলীয় এলাকা ইছাখালী ইউনিয়নে সিডিএসপি বাঁধের ভাঙনের খবরটি জানতে পারি। গতকাল মিরসরাই উপজেলা জামাতের নেতা-কর্মী ও ভুক্তভোগী লোকজন নিয়ে ওই এলাকা পরিদর্শন করেছি আমরা। বাঁধটির ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে বাঁধের নিরাপত্তা বেষ্টনীতে থাকা শত শত মৎস্য খামার ও জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল বড় ধরনের হুমকির মুখে পড়বে। বাঁধ ভাঙার কারণে যে এই অর্থনৈতিক অঞ্চল বড় ধরনের ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে তা জানতে পারলে বড় বড় বিনিয়োগকারীরা এখান থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে। তাই আমাদের দলীয় অবস্থান থেকে দ্রুত বাঁধটি সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম রসর ই

এছাড়াও পড়ুন:

৮% জনগোষ্ঠীকে বাদ দিয়ে কীভাবে ঐক্য হয়, প্রশ্ন সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনসহ কোনো সংস্কার কমিশনে দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি দেখা যায়নি বলে মন্তব্য করেছে সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলন। তাদের প্রশ্ন, ঐকমত্য কমিশনে কোনো রাজনৈতিক দলকেও প্রশ্ন করতে দেখা গেল না যে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ৮ শতাংশ জনগোষ্ঠীর কোনো প্রতিনিধি না থাকলে বা তাদের বাদ দিয়ে কীভাবে ঐক্য গঠন হয়।

‘অভ্যুত্থান পরবর্তী এক বছরে ৮% জনগোষ্ঠীর অবস্থা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এমন প্রশ্ন তোলা হয়েছে সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের লিখিত বক্তব্যে। আজ শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সংগঠনটি।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) তরুণ রায়। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, গণ-অভ্যুত্থানের আগে হোক বা পরে, রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে এখনো ৮ শতাংশ শুধু রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করার জায়গা। তাদের অধিকার নিয়ে সচেষ্ট হতে দেখা যাচ্ছে না কোনো রাজনৈতিক দলকে। সে ক্ষেত্রে এমন অবস্থা চলমান থাকলে ৮ শতাংশ জনগোষ্ঠীকে নিজেদের অস্তিত্বের জানান দিতে ভবিষ্যতে নির্বাচনের সময় ভোটকেন্দ্র বয়কটের সিদ্ধান্তও নিতে হতে পারে।

সংবাদ সম্মেলন থেকে বলা হয়, গণ-অভ্যুত্থানের পর দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষেরা আক্রান্ত হতে থাকেন। তাৎক্ষণিকভাবে গত বছরের ৯ আগস্ট থেকে সংখ্যালঘুরা জোরালো আন্দোলন গড়ে তোলেন। সেই আন্দোলন থেকে সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় গঠনসহ ৮ দফা দাবি তোলা হয়। সেসব দাবি বাস্তবায়নে তখন অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিল। কিন্তু গত ১ বছরে ৮ দফা দাবি বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তী সরকারের আশানুরূপ কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ পরিলক্ষিত হয়নি।

সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলন লিখিত বক্তব্যে আরও উল্লেখ করেছে, বিগত ৫৩ বছরে কোনো সরকারই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেনি। আগামী দিনের নিরাপত্তা ও অধিকার রক্ষায় ৮ দফার বাস্তবায়ন করতে হবে। ৮ দফা যে দেশের ৮ শতাংশ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রত্যেকের মনের কথা জানান দিতে ২২ আগস্ট ‘জাতীয় সংখ্যালঘু সম্মেলন-২০২৫’ আয়োজন করা হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের আহ্বায়ক সুস্মিতা কর বলেন, সরকারের ঐকমত্য কমিশনে সংখ্যালঘু প্রতিনিধি নেই। দেশের একটি নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীকে নিয়ে তো ঐকমত্য গঠন হতে পারে না। গত বছরের ৯ আগস্ট থেকে দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় নিজেদের অধিকার নিয়ে সচেষ্ট আছে। সংখ্যালঘুদের সব সংগঠন আট দফা দাবিতে একাত্ম। যদি নির্বাচন–পূর্ববর্তী সময়ে সরকার কিংবা রাজনৈতিক দলগুলো থেকে এসব দাবি বাস্তবায়নে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করতে না দেখা যায়, তাহলে হয়তো সংখ্যালঘুরা ভোট বয়কট লড়তে পারে।

এই সংবাদ সম্মেলন সঞ্চালনা করেন সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের প্রচার সম্পাদক সুব্রত বল্লভ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির আদিবাসী সংগঠক সুমন ত্রিপুরা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ