শেষ হচ্ছে ইলিশ ধরার দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা, ভোলায় জাল-নৌকা মেরামতে ব্যস্ত জেলেরা
Published: 27th, April 2025 GMT
শেষ হচ্ছে ইলিশ ধরায় দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা। এ সময়টা অনেক কষ্টে পার করতে হয়েছে ভোলার জেলেদের। নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার আগ মুহূর্তে মহাব্যস্ত হয়ে উঠেছেন তাঁরা। দিন–রাত এক করে জাল, নৌকা মেরামতের কাজে নেমেছেন। ইলিশ ধরে ঋণের টাকা শোধ করবেন, এ আশায় বুক বেঁধে আছেন জেলেরা। গত শুক্র ও শনি এবং আজ রোববার সরেজমিন জেলেদের সঙ্গে কথা এসব তথ্য জানা যায়।
জাটকা সংরক্ষণের লক্ষ্যে মার্চ-এপ্রিল দুই মাস ভোলার ১৯০ কিলোমিটার নদীর জলসীমায় অভয়াশ্রম ঘোষণা করে সরকার। এ সময় অনেকটা বেকার জীবন কাটান ১ লাখ ৭০ হাজার ২৪৩ জন নিবন্ধিতসহ ভোলার প্রায় ৩ লাখ জেলে। নিষেধাজ্ঞার সময় সরকার হতদরিদ্র ৮৯ হাজার ৬০০ জেলের জন্য চার মাসের (ফেব্রুয়ারি-মার্চ) ১৬০ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেয়। কিন্তু এই চাল বেশির ভাগ জেলে পাননি বলে অভিযোগ আছে।
সরেজমিন দেখা যায়, জেলেরা জাল ও নৌকা সংস্কার করছেন। গত দুই মাস অযত্নে-অবহেলায় পড়ে থাকা নৌকার জরা দূর করছেন। পুরোনো নৌকা সংস্কার ও নতুন নৌকা তৈরি করে তাতে আলকাতরা মাখাচ্ছেন। নতুন আলকাতরা নৌকায় মাখানোর সময় এক ঝাঁজালো গন্ধ জেলে পাড়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। অনেক জেলে পুরোনো জাল তুনছেন (সংস্কার)। জালের পুরোনো ছেঁড়া অংশ ফেলে নতুন সুতায় শক্তপোক্ত করে তুলছেন জাল। জালের কিনারে মোটা সুতা, পোড়ামাটির কাঠি ও চাড়া জুড়ে দিচ্ছেন।
জেলেরা জানান, ১ মে থেকে জেলেদের নাম আড়তদারের নতুন খাতায় উঠবে। ওই দিন ইলিশের ভরা মৌসুমের শুরু। অনেকে ওই দিন নতুন নৌকা, জাল নিয়ে নদীতে নামবেন, যাকে জেলেরা বলেন জাল সাভার। জাল সাভারে জেলেরা লাগাচ্ছেন নানা রকম রঙিন বাতি, সোলার। আড়তদারেরা জেলেদের রঙিন পতাকা দেবেন। এসব পতাকায় নিজ নিজ মার্কাজুড়ে দেবেন আড়তদারেরা। ছবিঘরে আর্ট হচ্ছে সেসব মার্কা।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
৪,৫০০ কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক
ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ আমদানি চুক্তিতে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতির অভিযোগ অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সচিব আহমদ কায়কাউসের বিরুদ্ধে অভিযোগটি অনুসন্ধানের দায়িত্ব পেয়েছেন দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক রেজাউল করিম। গতকাল বুধবার এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন।
দুদক গত ১৬ এপ্রিল এ নিয়ে আদেশ জারি করলেও গতকালই বিষয়টি জানাজানি হয়। দুদকের আদেশে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) পাশ কাটিয়ে আদানির সঙ্গে চুক্তি করে সরকারের সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকি দিয়েছেন আহমদ কায়কাউস। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে এ চুক্তি-সংক্রান্ত কাগজপত্র খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। এ জন্য চুক্তির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যাবতীয় নথিপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি, বিদ্যুৎ কেনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীর নাম, পদবি, বর্তমান ঠিকানা এবং এ নিয়ে কোনো বিভাগীয় তদন্ত করা হয়েছে কিনা– খতিয়ে দেখতে হবে।
আদানি গ্রুপের কাছ থেকে বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তিটি শুরু থেকেই বিতর্কিত। ২৫ বছরের এ চুক্তির পদে পদে রয়েছে অসমতা। চুক্তিতে এমন অনেক শর্ত রয়েছে, যেগুলোর কারণে ২৫ বছরে প্রায় ৩ লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকা বাড়তি নিয়ে যাবে আদানি।